১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড় কবে জানাল আবহাওয়া অফিস

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ১৫ তারিখের পর এটি আসতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি থেকে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।

মে মাসের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখী সবকিছুরই সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। এ মাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ থাকবে না। তাপমাত্রা এপ্রিলের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও অবশ্য কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মের পর থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে সারা দেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াস বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এরপরের ২৪ ঘণ্টা বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আগামীকাল শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াস বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড় কবে জানাল আবহাওয়া অফিস

আপডেট : ১২:৩০:১৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড়ের আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ১৫ তারিখের পর এটি আসতে পারে। বঙ্গোপসাগরে এক থেকে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। সেটি থেকে একটি নিম্নচাপ ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। এছাড়া তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা ধরনের কালবৈশাখী হতে পারে।

মে মাসের জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এমন তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের পরিচালক মো. আজিজুর রহমানের দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মে মাসে তাপপ্রবাহ, বৃষ্টি, শিলা বৃষ্টি, নিম্নচাপ, ঘূর্ণিঝড় ও কালবৈশাখী সবকিছুরই সম্ভাবনা রয়েছে। তবে তাপপ্রবাহ এপ্রিলের মতো অবস্থায় যাবে না। এ মাসে এত দীর্ঘ সময় ধরে তাপপ্রবাহ থাকবে না। তাপমাত্রা এপ্রিলের চেয়ে কিছুটা কম থাকবে।

পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এ মাসে দিনের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি থাকবে। স্বাভাবিক বৃষ্টিই হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও অবশ্য কয়েকটি তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

আরেক পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আগামী ১০ মের পর থেকে বৃষ্টিপাতের ফলে সারা দেশে তাপমাত্রা কমার সম্ভাবনা রয়েছে। পরবর্তী ৫ থেকে ৬ দিন দমকা হাওয়া, ঝড়ো বাতাস ও বজ্র ঝড়সহ বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর আবারও আসতে পারে তাপপ্রবাহ।

এদিকে, শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

পূর্বাভাসে বলা হয়, বরিশাল, পটুয়াখালী, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর দিয়ে পশ্চিম অথবা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর সতর্কতা সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

অপরদিকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।

বর্তমানে রাজশাহী, পাবনা, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলাসমূহের ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। পাশাপাশি চাঁদপুর জেলাসহ ঢাকা, রংপুর, ময়মনসিংহ ও বরিশাল বিভাগ এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের অবশিষ্টাংশে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা দেশের কিছু জায়গা হতে প্রশমিত হতে পারে।

আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ঢাকা, ময়মনসিংহ, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াস বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।

এরপরের ২৪ ঘণ্টা বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগে এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে। এছাড়া আগামীকাল শনিবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রংপুর, ঢাকা এবং বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়াস বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টি হতে পারে।