ঢাকা ১০:০৮ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৬:২৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪
  • / ৪৪৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সাধারণভাবে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এর ফেসবুক ভেরিফায়েড পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওই পোস্টে বলা হয়, ‘চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সবধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছরকে মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করে। এমতাবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।’

শিক্ষামন্ত্রণালয় লিখেছে, ‘সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বর্তমান বাস্তবতায় দেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর বিধায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো যৌক্তিক।’

ফেসবুকের ওই পোস্টের নিচে মোহাম্মদ ইব্রাহীম নামে একজন মন্তব্য করে বলেছেন, ‘৩৫ হলে লাভ আছে। এখন পড়াশোনার পর চাকরির জন্য বয়স বেশিদিন থাকে না বলেই সবাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই উঠেপড়ে লাগে। কেউ স্কিল ডেভলপ (দক্ষতা বৃদ্ধি) করতে চায় না। বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনায় ততটা মনযোগী হয় না। ডিপ লার্নিং করে না। গবেষণা করে না। কিন্তু, বয়স ৩৫ হলে সবাই পড়াশোনা ও স্কিল ডেভলপ করবে। কারণ, সে চিন্তা করবে আমার হাতে সময় আছে। তাই আমি আমার ডিপার্টমেন্টে সেরা হব। আর যখন একটা ছাত্রের স্কিল ভালো হবে, সে যখন ভালো একটা জব পাবে বিদেশের বড় কোম্পানিগুলোয়, সে তখন আর গভমেন্ট জবের চিন্তা করবে না। যেমন–ইন্ডিয়ান ম্যাক্সিমাম (ভারতীয় বেশির ভাগ) ভালো স্টুডেন্টরা বিদেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সিইও। এরপর কেউ যদি মনে করে, না প্রাইভেট সেক্টরে আমি ভালো করতে পারছি না, সে তখন আবার সরকারি জবের জন্য চেষ্টা করতে পারবে। তাই ৩৫ হলে বেকারত্ব বাড়বে না, বরং কমবে।’

মোহাম্মদ ফাহিম উদ্দিন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যাদের কোটা আছে, তাদেরতো এত সময় লাগে না চাকরি পেতে! তাদের কেন বেশি সময় দেবে? তাদের চাকরি তো সবার আগে, তাহলে এখানে এই সুযোগ দেওয়া আর না দেওয়া সমান।’

এ ছাড়া নেটিজেনদের অনেকে কমেন্টস বক্সে নানা মন্তব্য করেছেন। যার অধিকাংশই ইতিবাচক।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স ৩৫ করার সুপারিশ

আপডেট সময় : ০৬:২৩:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪

সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়স সাধারণভাবে ৩৫ ও কোটার ক্ষেত্রে ৩৭ বছর করার সুপারিশ করে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেনের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। আজ শুক্রবার (৩ মে) দুপুরে শিক্ষামন্ত্রণালয় বাংলাদেশ এর ফেসবুক ভেরিফায়েড পোস্টে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ওই পোস্টে বলা হয়, ‘চিঠিতে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সরকারি, বেসরকারি, আধাসরকারি, রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান, স্বায়ত্তশাসিতসহ বাংলাদেশে বিদ্যমান সবধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা ৩০ বছরকে মানদণ্ড হিসেবে অনুসরণ করে। এমতাবস্থায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী ন্যূনতম ৩৫ বছর করার দাবির বিষয়টি নিয়ে শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আন্দোলন চালিয়ে আসছেন।’

শিক্ষামন্ত্রণালয় লিখেছে, ‘সরকার বিষয়টি উপলব্ধি করে ২০১৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহারের পাতা নম্বর ৩৩-এর শিক্ষা, দক্ষতা ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধি অনুচ্ছেদে ‘সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর বিষয়ে মেধা ও দক্ষতা বিবেচনায় রেখে বাস্তবতার নিরিখে যুক্তিসংগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে’ বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। বর্তমান বাস্তবতায় দেশের সব পর্যায়ে চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা আজ থেকে ৩৩ বছর আগে ১৯৯১ সালে ২৭ বছর থেকে ৩০ বছরে উন্নীত করা হয়, যখন বাংলাদেশের মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। বর্তমানে দেশের মানুষের গড় আয়ু বেড়ে ৭৩ বছর বিধায় চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানো যৌক্তিক।’

ফেসবুকের ওই পোস্টের নিচে মোহাম্মদ ইব্রাহীম নামে একজন মন্তব্য করে বলেছেন, ‘৩৫ হলে লাভ আছে। এখন পড়াশোনার পর চাকরির জন্য বয়স বেশিদিন থাকে না বলেই সবাই বিশ্ববিদ্যালয় জীবনেই উঠেপড়ে লাগে। কেউ স্কিল ডেভলপ (দক্ষতা বৃদ্ধি) করতে চায় না। বিষয়ভিত্তিক পড়াশোনায় ততটা মনযোগী হয় না। ডিপ লার্নিং করে না। গবেষণা করে না। কিন্তু, বয়স ৩৫ হলে সবাই পড়াশোনা ও স্কিল ডেভলপ করবে। কারণ, সে চিন্তা করবে আমার হাতে সময় আছে। তাই আমি আমার ডিপার্টমেন্টে সেরা হব। আর যখন একটা ছাত্রের স্কিল ভালো হবে, সে যখন ভালো একটা জব পাবে বিদেশের বড় কোম্পানিগুলোয়, সে তখন আর গভমেন্ট জবের চিন্তা করবে না। যেমন–ইন্ডিয়ান ম্যাক্সিমাম (ভারতীয় বেশির ভাগ) ভালো স্টুডেন্টরা বিদেশের বড় বড় প্রতিষ্ঠানের সিইও। এরপর কেউ যদি মনে করে, না প্রাইভেট সেক্টরে আমি ভালো করতে পারছি না, সে তখন আবার সরকারি জবের জন্য চেষ্টা করতে পারবে। তাই ৩৫ হলে বেকারত্ব বাড়বে না, বরং কমবে।’

মোহাম্মদ ফাহিম উদ্দিন নামে একজন মন্তব্য করেছেন, ‘যাদের কোটা আছে, তাদেরতো এত সময় লাগে না চাকরি পেতে! তাদের কেন বেশি সময় দেবে? তাদের চাকরি তো সবার আগে, তাহলে এখানে এই সুযোগ দেওয়া আর না দেওয়া সমান।’

এ ছাড়া নেটিজেনদের অনেকে কমেন্টস বক্সে নানা মন্তব্য করেছেন। যার অধিকাংশই ইতিবাচক।