গাজায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৬২২
- আপডেট সময় : ০২:০৩:০৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
- / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যা যুদ্ধের ২১০ তম দিনে প্রবেশ করল। গাজা উপত্যকা জুড়ে “ইসরায়েল” ফিলিস্তিনি পরিবারের বিরুদ্ধে তিনটি গণহত্যা করেছে। এতে নতুন করে ২৬ জন নিহত হয়েছে এবং আহত হয়েছে ৫১ জন।
গাজার হামাস-নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সেখানে প্রায় সাত মাস ধরে চলা সংঘাতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৩৪ হাজার ৬২২ ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছে। এছাড়া গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি বাহিনীর আগ্রাসনে ৭৭ হাজার ৮৬৭ ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
আরবভিত্তিক সংবাদ পোর্টালের প্রতিবেদনে প্রকাশ, হামাসের একটি প্রতিনিধিদল যুদ্ধবিরতির বিষয়ে আলোচনার জন্য মিশরে পৌঁছেছে। ইসরায়েল হামাসকে যুদ্ধবিরতি এবং বন্দি বিনিময় চুক্তিতে সম্মত হওয়ার জন্য এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে। হামাস এ বিষয়ে সম্মত না হলে রাফায় স্থল অভিযান শুরু হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
গাজার জনগণ, জিম্মি এবং তাদের পরিবার এবং ওই অঞ্চল বিস্তৃত বিশ্বের স্বার্থ রক্ষায় একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর জন্য ইসরায়েল এবং হামাসকে চাপ দিচ্ছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তনিও গুতেরেস।
ফিলিস্তিনে জাতিসংঘের ত্রাণবিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ-এর বরাত দিয়ে আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গাজা উপত্যকায় দিন দিন পানির সংকট তীব্র হচ্ছে। এতে দেড় লাখেরও বেশি অন্তঃসত্ত্বা নারী চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েলি আগ্রাসনের মুখে গাজায় লাখ লাখ অন্তঃসত্ত্বা বা স্তন্যপান করানো নারী প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাচ্ছেন না। তারা স্যানিটেশন সমস্যায়ও ভুগছেন।
সেখানে বলা হয়, ওই নারীদের মধ্যে প্রায় এক লাখ ৫৫ হাজার নারী রয়েছেন, যারা খুব কঠিন সময় পার করছেন। তাদের বেশিরভাগই পানিশূন্যতায় ভুগছেন বলে জানানো হয়েছে।
ইউএনআরডব্লিউএর তথ্যানুযায়ী, গাজায় গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে এখন পর্যন্ত ১০ হাজারের বেশি নারীর প্রাণহানি হয়েছে। ১৯ হাজার ফিলিস্তিনি নারী আহত হয়েছেন। যেসব নারী মারা যাচ্ছেন তাদের অনেকেই সন্তানের মা। ফলে গড়ে প্রতিদিন মা হারাচ্ছে অন্তত ৩৭ ফিলিস্তিনি শিশু।
গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, এপ্রিলে প্রতিদিন গড়ে ১৬৩টি ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে ইসরায়েল। তবে ইসরায়েল যে সংখ্যক ত্রাণবাহী ট্রাক গাজায় প্রবেশের অনুমোদন দিয়েছে তা প্রয়োজনের তুলনায় অত্যন্ত কম। কারণ অবরুদ্ধ এলাকায় প্রতিদিন এক হাজার ত্রাণবাহী ট্রাক দরকার।