ট্রেনের ভাড়া বাড়ানোর কারণ জানালেন রেলপথমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০২:১৫:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪
- / ৩৮৬ বার পড়া হয়েছে
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম বলেছেন, এটা ভাড়া বাড়ানো নয়, দূরের যাত্রীদের জন্য আগে যে ছাড় দেয়া হতো তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। তার দাবি ভাড়া বাড়লেও তাতে কোন চাপে পড়বেন না যাত্রীরা।
উপমহাদেশে কম খরচে যাতায়াতের বাহন হিসেবে ট্রেনের চাহিদা ব্রিটিশ আমল থেকেই। দেশের ৪৪ জেলায় ২ হাজার ৮৭৭ কিলোমিটার লাইনে চলছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। ১৯৯২ সালে ট্রেনে ভ্রমণকারী যাত্রীদের জন্য ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরের গন্তব্যের জন্য চালু করা হয় বিশেষ ছাড় বা রেয়াত সুবিধা। এমন বাস্তবতায় বছরে ২ হাজার কোটি টাকার বেশি লোকসান দিচ্ছে রেলওয়ে।
রেলপথমন্ত্রী জিল্লুল হাকিম জানিয়েছেন, জ্বালানিসহ রেলের যন্ত্রপাতির দাম বাড়ায় সরকারি এই পরিবহন খাতের লোকসানের পরিমাণ বাড়লেও ভাড়া বাড়াতে চাচ্ছে না সরকার। তাই আগের বাড়তি সুবিধা তুলে নেয়া হচ্ছে।
শনিবার (৪ মে) মাদারীপুরের শিবচরে ঢাকা-ভাঙ্গা-রাজবাড়ী রুটে নতুন ট্রেনের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এ কথা জানান তিনি।
আগের ছাড়া বা রেয়াত প্রত্যাহার করা হলে ১০০ কিলোমিটারের বেশি দূরত্বের যাত্রীদের বর্তমান ভাড়ার চেয়ে দিতে হবে ২০ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়তি ভাড়া। ফলে নতুন হিসাব অনুযায়ী ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যেতে শোভন শ্রেণির ভাড়া বাড়বে ৬০ টাকা। এসি স্নিগ্ধা আসনের জন্য ১২০ টাকা। আর এসি স্লিপিং-এ যেতে বাড়তি দিতে হবে ২১৫ টাকা।
ছাড় বা রেয়াত তুলে নিলে ভাড়া যতোটা বাড়বে, এতে যাত্রীদের ওপর তেমন কোনো চাপ পড়বে না বলে মনে করেন রেলমন্ত্রী।
যাত্রীদের ট্রেনে ভ্রমণে আগ্রহী ও নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করতে কাজ করছে রেল মন্ত্রণালয়। এরই অংশ হিসেবে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে রেল সেবা ছড়িয়ে দিতে বড় পরিকল্পনার কথা জানালেন মন্ত্রী জিল্লুল হাকিম।
মন্ত্রী জানান, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে চট্টগ্রামের পায়রা বন্দর পর্যন্ত আরেকটি রেললাইন চালু হবে। এটি আটটি জেলাকে সংযুক্ত করবে এবং পুরো লাইনটিই হবে এলিভেটেড। এ অঞ্চলের মাটি ভালো না, তাই এখানে জমির ওপর দিয়ে ট্রেন যথোপযুক্ত হবে না। সে কারণে পুরো রেললাইন হবে এলিভেটেড বা উপর দিয়ে।
তিনি বলেন, এই দুটো লাইন চালু হয়ে গেলে ভাঙ্গা, শিবচর- এসব অঞ্চলের গুরুত্ব অনেক বেড়ে যাবে। এছাড়া আমরা ডিভিশনগুলো একপেশে করতে চাই না। সমন্বিতভাবে, সব অঞ্চলের লোকজন যাতে পায় সেভাবে আমরা করার চেষ্টা করছি।
সাম্প্রতিক সময়ে ট্রেন দুর্ঘটনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন দু’এক জায়গায় হঠাৎ করে দুর্ঘটনা ঘটে। গতকালও (শুক্রবার) একটা দুর্ঘটনা ঘটেছে। আমাদের সমস্যাটা হলো- বিএনপির সময় ‘গোল্ডেন হ্যান্ডসেকের’ মাধ্যমে যেভাবে সমস্ত প্রতিষ্ঠানকে পঙ্গু করে দেয়া হয়েছে, দক্ষ জনশক্তি রিটায়ারমেন্টে (অবসরে) চলে গেছে। এখন আমাদের চুক্তির ভিত্তিতে ড্রাইভারসহ অন্যান্য যারা গার্ড, স্টেশন মাস্টার- এসব পদে লোক নিয়ে চালাতে হচ্ছে। তবে আমরা নতুন নিয়োগের ব্যবস্থা করেছি। এদের প্রশিক্ষণ দিয়ে আমরা নিয়োগ দান করতে পারলে আমাদের কার্যক্রম আরও দক্ষভাবে পরিচালনা করা সম্ভব হবে।