Dhaka ০৮:৪১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডে কানাডায় ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

শুক্রবার (৩ মে) কানাডিয়ান পুলিশ গত বছর শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার দায়ে তিন ভারতীয় পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ভারত সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিল কিনা তা তারা তদন্ত করছে।

৪৫ বছর বয়সী নিজারকে জুন মাসে সারি’র (Surrey) একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ভ্যানকুভারের পার্শ্ববর্তী এই শহরটিতে একটি বিশাল সংখ্যক শিখ জনসংখ্যার বসবাস রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারত সরকারের সম্পৃক্ততার প্রমাণের কথা প্রকাশ করলে নয়াদিল্লির সাথে কূটনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে।

কানাডার পুলিশ কর্মকর্তা মনদীপ মুকের উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মুকের বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)।

তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা তিনজনই ৩ থেকে ৫ বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন—এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন নিজ্জরের সমর্থকেরা। তাদের ভাষ্য, খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে থাকায় একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিজ্জর।

শিখ নেতা হত্যাকাণ্ডে কানাডায় ৩ ভারতীয় গ্রেপ্তার

আপডেট : ০২:০৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ মে ২০২৪

শুক্রবার (৩ মে) কানাডিয়ান পুলিশ গত বছর শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার দায়ে তিন ভারতীয় পুরুষকে গ্রেপ্তার করেছে। কানাডার অ্যালবার্টা প্রদেশের এডমন্টন শহর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা ভারত সরকারের সাথে সম্পর্ক ছিল কিনা তা তারা তদন্ত করছে।

৪৫ বছর বয়সী নিজারকে জুন মাসে সারি’র (Surrey) একটি শিখ মন্দিরের বাইরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছিল। ভ্যানকুভারের পার্শ্ববর্তী এই শহরটিতে একটি বিশাল সংখ্যক শিখ জনসংখ্যার বসবাস রয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের কয়েক মাস পরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো ভারত সরকারের সম্পৃক্ততার প্রমাণের কথা প্রকাশ করলে নয়াদিল্লির সাথে কূটনৈতিক সঙ্কট সৃষ্টি করে।

কানাডার পুলিশ কর্মকর্তা মনদীপ মুকের উদ্ধৃত করে রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়। মুকের বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন হলেন- করণ ব্রার (২২), কমল প্রিত সিং (২২) ও করণ প্রিত সিং (২৮)।

তারা সবাই এডমন্টন শহরের বাসিন্দা। আদালতের নথিপত্র অনুযায়ী, তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে। তারা তিনজনই ৩ থেকে ৫ বছর ধরে দেশটিতে বসবাস করছেন।

পুলিশ জানিয়েছে, হরদীপ সিং হত্যাকাণ্ডের তদন্ত চলছে। ওই হত্যার সঙ্গে ভারত সরকারের সংশ্লিষ্টতা আছে কিনা, তা-ও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যে স্বাধীন শিখ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে খালিস্তান আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নিজ্জর। তিনি বিচ্ছিন্নতাবাদী একটি সশস্ত্র একটি গোষ্ঠীর নেতৃত্বে ছিলেন—এমন অভিযোগে তাকে সন্ত্রাসী তকমা দিয়েছিল ভারত। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে এসেছেন নিজ্জরের সমর্থকেরা। তাদের ভাষ্য, খালিস্তান আন্দোলনের পক্ষে থাকায় একাধিকবার হত্যার হুমকি পেয়েছিলেন নিজ্জর।