প্রত্নসম্পদ আইনের খসড়া : সংশোধন করতে বলেছে মন্ত্রিসভা
- আপডেট সময় : ০৮:৩৭:৪৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
- / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
‘প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪’- এর খসড়া অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে উপস্থাপন করেছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। তবে আজ (সোমবার) এটি অনুমোদন করা হয়নি। খসড়ার কয়েকটি জায়গায় সংশোধন করতে বলেছে মন্ত্রিসভা।
সোমবার (৬ মে) প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এই খসড়া উপস্থাপন করা হয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এতে সভাপতিত্ব করেন। বৈঠক শেষে বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘প্রত্নসম্পদ আইন, ২০২৪’- এর খসড়া উপস্থাপনের উদ্যোক্তা ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়। বিষয়টি উপস্থাপিত হওয়ার পর বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। এটি কয়েক জায়গায় পরিমার্জনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপর পুনরায় উপস্থাপনের জন্য অনুশাসন দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এ আইনের খসড়ায় মূলত বাংলাদেশের যে প্রত্নসম্পদ আছে সেগুলো সংরক্ষণ করা এবং সেগুলো হস্তান্তর, নিয়ন্ত্রণ করার বিষয়গুলো ছিল। এসব বিষয় যদি কেউ অমান্য করে তখন তাদের জন্য শাস্তির বিধান ছিল।
এই খসড়া পরবর্তী মিটিংয়ে আবার আনতে বলা হয়েছে বলেও জানান মো. মাহবুব হোসেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কয়েকটি জায়গায় কারেকশনের জন্য বলা হয়েছে। কারেকশন করে আবার উপস্থাপন করার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, বাংলাদেশ ও উজবেকিস্তানের মধ্যে স্বাক্ষরের লক্ষ্যে দ্বিপাক্ষিক বিমান চলাচল সংক্রান্ত চুক্তির খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন হয়েছে। এর উদ্যোক্তা ছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়। এই চুক্তির আওতায় উজবেকিস্তানের সঙ্গে সরাসরি বিমান চলাচল কার্যক্রম শুরু হবে। ৯৩ সালে একটা চুক্তির মাধ্যমে এর জার্নিটা শুরু হয়েছিল। ২০০৫ সালে এসে এটি বন্ধ হয়ে যায়। এখন নতুনভাবে শুরু করার জন্য উজবেকিস্তানের পক্ষ থেকে আগ্রহ প্রকাশ করার পরিপ্রেক্ষিতে দুই পক্ষ মিলে খসড়াটির চুক্তি হয়।
এখন সর্বশেষ আন্তর্জাতিক বিমান চলাচল মানদণ্ড অনুযায়ী এটি সম্পন্ন হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
সাংবাদিকদের মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন বলেন, সুন্দরবনে যে আগুন লেগেছিল, সেই আগুনের সবশেষ অবস্থা জানতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান এ বিষয়ে অবহিত করেছেন।
মাহবুব হোসেন সাংবাদিকদের আরও বলেন, সর্বশেষ পরিস্থিতি যেটা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানিয়েছেন, সেটা হচ্ছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন শতভাগ নিভে গেছে, এমন কিছু না- নিয়ন্ত্রণে আছে। আগুন কন্ট্রোল করা গেছে, কর্ডন করা গেছে। আগামী কয়েকদিন এটা পর্যবেক্ষণে থাকবে। তারা এটি দেখবেন।
সচিব বলেন, বনের আগুন কিন্তু স্বাভাবিকভাবে নেভে না। আপতদৃষ্টিতে মনে হবে, নিভে গেছে। কিন্তু কোনো একটি লতা বা অন্য কিছু দিয়ে আগুনটা অনেক দূর চলে যাবে। নতুন করে আগুন জেগে ওঠে। বনের আগুন নেভানোর ক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ঘোষণা করা যায় না।
প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে অবহিত হয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জানিয়ে মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, এখন সুন্দরবনের আগুন নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হবে কয়েকদিন। ফায়ার সার্ভিসের পুরো টিম ওখানে গেছেন, কাজ করছেন। জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগণ কাজ করছেন।
সচিব আরও বলেন, ফায়ার সার্ভিসের ৫৫ সদস্য এবং দেড়শোর বেশি স্বেচ্ছাসেবী কাজ করছেন। দেড় থেকে দুই কিলোমিটার দূরে ছিল পানির উৎস। সেখান থেকে পাওয়ার পাম্পের মাধ্যমে পানি এনে ব্যবহার করা হয়েছে।
মাহবুব হোসেন, তারা অনেক পরিশ্রম করেছেন। গভীর জঙ্গল হওয়ায় রাতে কাজ করা যায় না। দিনে দিনে কাজ করতে হয়েছে। ওখানে অনেক ঝুঁকি ছিল। সবমিলিয়ে খুব চ্যালেঞ্জিং কাজ তারা করেছেন। যে কারণে তারা ধন্যবাদ পাওয়ার যোগ্য।