যারা দলের শৃঙ্খলা ভাঙবে তাদের শাস্তি পেতেই হবে : ওবায়দুল কাদের
- আপডেট সময় : ০৮:৪৩:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ৬ মে ২০২৪
- / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
যারা দলের নিয়ম-শৃঙ্খলা ভঙ্গ করবে, সময় মতো তাদের কোনো কোনো শাস্তি পেতে হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
আজ সোমবার বিকেলে ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা’র রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত দলের সম্পাদকমন্ডলীর সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চাওয়া মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের পরিবারের সদস্যদের নিবৃত্ত করতে দলের সাংগঠনিক বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। তারা সক্রিয় উদ্যোগে রয়েছেন।
দলের শৃঙ্খলা নিয়ে তিনি বলেন, যারা শৃঙ্খলা ভাঙবে, সময় মতো তাদের কোনো না কোনো শাস্তি পেতেই হবে। আমাদের একশন কোনো না কোনোভাবে থাকেই। ৭০ জনের বেশি সংসদ সদস্যকে মনোনয়ন না দেয়া, আগের মন্ত্রিপরিষদের ২৫ জনকে নতুন কেবিনেটে না রাখা কি এর উদাহরণ নয়?
বিএনপিকে উদ্দেশ্যে করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে ১৯৭৫ সাল থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত ধ্বংস করেছে তারা। প্রহসনের নির্বাচন, এক কোটি ভুয়া ভোটার, হ্যাঁ-না ভোটতো তাদেরই সৃষ্টি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্রকে শৃঙ্খলমুক্ত করার কাজ শেখ হাসিনাই করেছেন। বিএনপি মাগুরা মার্কা আর ১৫ ফেব্রুয়ারির নির্বাচন করেছে। বিএনপিরই গণতন্ত্রে কোনোদিন আগ্রহ ছিল না।
শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপজেলা পর্যন্ত পালন করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, থানা, জেলা, উপজেলা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হবে। বিশেষ প্রার্থনা করা হবে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, গির্জা ও জাতীয় মন্দিরে। বিকেলে আলোচনা সভা হবে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে। এছাড়া ১৬মে অসচ্ছল ও গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতর করা হবে। কোথায় কোথায় বিতরণ করা হবে সে স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর প্রস্তুতি নিয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমাদের সব অনুষ্ঠানে বিএনপিকে দাওয়াত দিয়েছি। এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতেও পাবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে দলের প্লাটিনাম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করব আগামী ২৩ জুন। আমরা ব্যাপকভাবে পালন করার চিন্তা ভাবনা করছি। এটা থানা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা করা হবেসেদিন।সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ দলের নেতা, বুদ্ধিজীবীদের আমন্ত্রণ জানাবো। আলোচনা সভার আগে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ‘সবুজ ধরিত্রী’ কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওয়ার্ড পর্যায় পর্যন্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি পালন করা হবে। তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আলোকসজ্জা বাদ দেওয়া হয়েছে বিদ্যুৎ সংকটের কথা চিন্তা করে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আনন্দ র্যালি করবে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ সহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠন।
এছাড়া ১৬ মে অসচ্ছল ও গরিব মানুষদের মধ্যে খাদ্য বিতর করা হবে। কোথায় কোথায় বিতরণ করা হবে সে স্থান পরে জানিয়ে দেওয়া হবে।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ ও ডা. দীপু মনি, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, এস এম কামাল হোসেন ও মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মৃনাল কান্তি দাশ, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সবুর, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।