চার ধাপে ৪৮১টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। প্রথম ধাপে ৮ মে, দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে, তৃতীয় ধাপে ১৮ মে এবং চতুর্থ ধাপে ২৫ মে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে নির্বাচন উপযোগী ৪৮১টির ভোটের তালিকা প্রকাশ করেছে ইসি। এতে প্রথম ধাপে ১৫৩টি, দ্বিতীয় ধাপে ১৬৫টি, তৃতীয় ধাপে ১১১টি এবং শেষ ধাপে ৫২টি উপজেলায় ভোট হবে।
প্রথম ধাপে যে ১৫৩ উপজেলায় ভোট হবে তার মধ্যে রয়েছে : রাজশাহী অঞ্চলের জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল, কালাই ও আক্কেলপুর, বগুড়ার সারিয়াকান্দা, সোনাতলা ও গাবতলী, চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল, গোমস্তাপুর ও ভোলাহাট, নওগাঁর ধামইরহাট, পত্নীতলা, মহাদেবপুর ও বদলগাছী, রাজশাহীর গোদাগাড়ী ও তানোর, নাটোরের নাটোর সদর, নলডাঙ্গা ও সিংড়া, সিরাজগঞ্জের সিরাজগঞ্জ সদর, কাজিপুর ও বেলকুচি, পাবনার সাঁথিয়া, সুজানগর ও বেড়া।
রংপুর অঞ্চল : পঞ্চগড় সদর, তেঁতুলিয়া ও আটোরিয়া, ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী ও হরিপুর; নীলফামারীর ডোমার ও ডিমলা, দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট, হাকিমপুর ও বিরামপুর; লালমনিরহাটের পাটগ্রাম ও হাতীবান্ধা; রংপুরের কাউনিয়া ও পীরগাছা; কুড়িগ্রামের রৌমারী, চর রাজিবপুর ও চিলমারী; গাইবান্ধার সাঘাটা ও ফুলছড়ি।
খুলনা অঞ্চল : মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর; কুষ্টিয়ার খোকসা, কুষ্টিয়া সদর ও কুমারখালী; চুয়াডাঙ্গার জীবননগর ও দামুড়হুদা; ঝিনাইদহের ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ; যশোরের মনিরামপুর ও কেশবপুর; মাগুরার মাগুরা সদর ও শ্রীপুর; নড়াইলের কালিয়া; বাগেরহাটের বাগেরহাট সদর, রামপাল ও কচুয়া; সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ ও শ্যামনগর।
বরিশাল অঞ্চল : বরিশাল সদর ও বাকেরগঞ্জ; পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া ও ভান্ডারিয়া।
ঢাকা অঞ্চল : ঢাকার দোহার, নবাবগঞ্জ ও কেরানীগঞ্জ; গোপালগঞ্জের গোপালগঞ্জ সদর, কোটালীপাড়া ও টুঙ্গিপাড়া; নারায়ণগঞ্জের নারায়ণগঞ্জ সদর ও বন্দর; গাজীপুরের গাজীপুর সদর, কালীগঞ্জ ও কাপাসিয়া; রাজবাড়ীর কালুখালী ও পাংশা; মানিকগঞ্জের সিংগাইর ও হরিরামপুর; ফরিদপুরের চরভদ্রাসন, মধুখালী ও ফরিদপুর সদর; মাদারীপুরের মাদারীপুর সদর, শিবচর ও রাজৈর; শরীয়তপুরের নড়িয়া ও ভেদরগঞ্জ; নরসিংদীর নরসিংদী সদর ও পলাশ; টাঙ্গাইলের ধনবাড়ী, মধুপুর ও গোপালপুর; মুন্সিগঞ্জের মুন্সিগঞ্জ সদর ও গজারিয়া; কিশোরগঞ্জের কিশোরগঞ্জ সদর, হোসেনপুর ও পাকুন্দিয়া। ময়মনসিংহ অঞ্চলের মধ্যে রয়েছে: ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট, ধোবাউড়া ও ফুলপুর; জামালপুরের জামালপুর সদর ও সরিষাবাড়ী; শেরপুরের ঝিনাইগাতী ও শ্রীবরদী; নেত্রকোনার দুর্গাপুর ও কলমাকান্দা।
সিলেট অঞ্চল : সুনামগঞ্জের দিরাই ও শাল্লা; সিলেটের সিলেট সদর, বিশ্বনাথ, গোলাপগঞ্জ ও দঃ সুরমা; মৌলভীবাজারের জুড়ি, কুলাউড়া ও বড়লেখা; হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও বানিয়াচং।
কুমিল্লা অঞ্চল : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসির নগর, সরাইল; কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ, লাকসাম, লাঙ্গলকোট, চৌদ্দগ্রাম; চাঁদপুরের মতলব উত্তর, মতলব দক্ষিণ, চাঁদপুর সদর; ফেনীর পরশুরাম ও ফুলগাজী; নোয়াখালীর সুবর্ণচর ও হাতিয়া; লক্ষ্ণীপুরের রামগতি ও কমলনগর।
চট্টগ্রাম অঞ্চল : চট্টগ্রামের মিরসরাই, সীতাকুন্ডু ও সন্দ্বীপ; কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, কক্সবাজার সদর ও মহেশখালী; খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি, লক্ষ্ণীছড়ি, রামগড়, গুইমারা, মাটিরাঙ্গা; রাঙ্গামাটির রাঙ্গামাটি সদর, কাউখালী, জুরাছড়ি ও বরকল; বান্দরবানের বান্দরবান সদর, রোয়াংছড়ি, থানচি ও আলীকদম।
এদিকে প্রথম ধাপ নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে মোট ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
প্রতিটি নির্বাচন কেন্দ্রের নিরাপত্তায় মোট ১৩ জন বা ততোধিক আনসার ও ভিডিপি সদস্য সোমবার থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। তাদের মধ্যে একজন প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) ও দুইজন সহকারী প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) এর নেতৃত্বে ৬ জন পুরুষ ও ৪ জন মহিলা আনসার-ভিডিপি সদস্য রয়েছেন। কোনো কেন্দ্রে বুথ সংখ্যা ৬টির বেশি হলে বুথ প্রতি অতিরিক্ত আরও একজন করে আনসার-ভিডিপি সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। পিসি ও এপিসি ৩ জন অস্ত্রসহ এবং আনসার-ভিডিপি সদস্য-সদস্যরা অস্ত্রবিহীন ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবেন।