প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কেন্দ্রে থাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু করা সহজ হবে।
মঙ্গলবার (৭ মে) সকাল পৌনে ১১টার দিকে উপজেলা নির্বাচন নিয়ে নির্বাচন ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।
তিনি বলেন শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। প্রার্থী ও তাদের সমর্থকদের দায়িত্ব আছে এক্ষেত্রে। নির্বাচন স্বচ্ছভাবে আয়োজনের সর্বাত্মক চেষ্টা করছে ইসি। অনিয়ম হলে তা তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহবান।
নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সেজন্য চেষ্টা করেছে নির্বাচন কমিশন। অনেক মন্ত্রী এমপিকে আমরা নিভৃত করেছি। প্রভাব বিস্তার করতে যেন না পারে সেজন্য স্থানীয় প্রশাসনকে বার্তা দেয়া হয়েছে বলে ও জানান সিইসি।
তিনি আরও বলেন, উৎসাহ উদ্দীপনা বেশি হয় স্থানীয় নির্বাচনে, সেটা থেকে যেন সহিংসতা না হয় সেটা দেখছি।
সিইসি বলেন কে কোন দলের প্রার্থী সেটা বিবেচ্য বিষয় নয় আমাদের কাছে, আমাদের কাছে সব প্রার্থী সমান। কোন দল নির্বাচনে আসলো, কে আসলো না সেটা বিষয় নয়, নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে। প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে উপজেলা নির্বাচনের ভোট প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হচ্ছে। নির্বাচন যাতে প্রভাবিত না হয় সে ব্যাপারে কমিশনের প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া নির্বাচন সুষ্ঠু করতে সব ধরনের প্রস্তুতি নেয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, আগামী ৮ মে প্রথম ধাপে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, ভোট কেন্দ্র ও ব্যালট বাক্সের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং ভোটদানে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে ৪১৮ প্লাটুন বিজিবি ও ১ লাখ ৫৯ হাজার ৮৭৪ জন সদস্য মোতায়েন করেছে বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনী।
এদিকে ভোট উপলক্ষে ভোটের দিন ১৪১টি উপজেলায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা করেছে সরকার।
প্রসঙ্গত, মোট চার ধাপের এই নির্বাচনের পরবর্তীতে তিন ধাপের ভোট ২৩, ২৯ মে ও ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে।