ফেডারেশন কাপের গত আসরে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আবাহনীকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঐতিহ্যবাহী মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। এবারও শিরোপার পথে এগিয়ে গেল তারা। আবারও ফেডারেশন কাপের ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করেছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন মোহামেডান।
মঙ্গলবার (৭ মে) মুন্সিগঞ্জের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশ পুলিশ এফসিকে ২-১ গোলে হারিয়ে এক বছরের মধ্যে তৃতীয়বারের মতো কাপ টুর্নামেন্টের ফাইনালে উঠল মোহামেডান। সর্বশেষ ফেডারেশন কাপ, এরপর স্বাধীনতা কাপ এবং আজ ফেডারেশন কাপের ফাইনালে উঠল আলফাজ আহমেদের দল।
পুলিশ এফসির বিপক্ষে সপ্তাহ দুই আগেও লিগে ড্র করেছিল মোহামেডান। আজ ফেডারেশন কাপে পুলিশের শুরুটাও ছিল সুন্দর। প্রথমার্ধে বেশ কয়েকবার লিড নেয়ার সুযোগ পেয়েছিল। পক্ষান্তরে মোহামেডানও গোলের সুযোগ মিস করেছে।
গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচটির তিনটি গোলই হয়েছে দ্বিতীয়ার্ধে। ৪৭ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে বক্সের মধ্যে হেডে গোল করেন পুলিশের উজবেক ফুটবলার উক্তামভ। ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে মোটেও ঘাবড়ায়নি আলফাজের মোহামেডান। বরং পিছিয়ে উল্টো যেন জেগে উঠে সাদা-কালোরা।
জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক আলফাজ আহমেদের শিষ্যরা ১১ মিনিটে দুই গোল দিয়ে ম্যাচের চিত্র বদলে দেন। টানা দুই গোল করে ম্যাচের চিত্র ঘুরিয়ে দেয় সাদা-কালোরা। ৬৮ মিনিটে নাইজেরিয়ান এমানুয়েল সানডে বক্সের মধ্যে ভলি করে সমতা আনেন। ঐ গোলে অবশ্য পুলিশের ফুটবলারদের অফ সাইড আপত্তি ছিল প্রবলভাবে। তবে শাহরিয়ার ইমনের জয়সূচক গোলে পুলিশের গোলরক্ষক ও ডিফেন্স ছিল পুরো পরাস্ত। বক্সের মধ্যে সুন্দর হেড করে গোল করেন ইমন।
ম্যাচরে বাকি সময় পুলিশ সমতা আনার চেষ্টা করে ব্যর্থ হলে মোহামেডান একই মৌসুমে দুই টুর্নামেন্টে ফাইনাল নিশ্চিত করল। মৌসুমের প্রথম টুর্নামেন্ট স্বাধীনতা কাপেও ফাইনাল খেলেছিল সাদা-কালোরা।
টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সেমিফাইনাল আগামী মঙ্গলবার। আবাহনী-বসুন্ধরা কিংসের মধ্যকার বিজয়ীরা ২১মে ময়মনসিংহের রফিকউদ্দিন আহমেদ ভূইয়া স্টেডিয়ামে শিরোপা লড়াইয়ে মোহামেডানের মুখোমুখি হবে।