বাংলাদেশ ব্যাংকে এখন ‘ডাল মে কুচ কালা হে’
- আপডেট সময় : ০১:৩৯:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
- / ৪১২ বার পড়া হয়েছে
বেসরকারি সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মানীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, এতদিন তথ্যে নৈরাজ্য চলছিল। এখন অপঘাত ঘটছে। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না। এর মানে তা কী বার্তা দিচ্ছে। এখন ওখানে এমন কিছু ঘটছে তা যদি জনসমক্ষে প্রকাশ পায় তাহলে বড় ধরনের নাশকতা হয়ে যাবে। এই নাশকতাকারীরা হচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সাংবাদিকরা। বাংলাদেশ ব্যাংকে সাংবাদিক প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’ —এমনটাই ইঙ্গিত দেয় বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (৭ মে) রাজধানীর পল্টনে ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরামের (ইআরএফ) প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মোয়াজ্জেম হোসেনের স্মরণে ‘মোয়াজ্জেম হোসেন স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
তথ্য লুকাতে বাংলাদেশ ব্যাংক সেখানে সাংবাদিক প্রবেশ করতে দিচ্ছে না জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, আমাদের একটা গর্ব ছিল, বিদেশি ঋণ নিয়ে কখনো খেলাপি হইনি আমরা। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে তেল আমদানি করে আমরা অর্থ পরিশোধ করতে পারছি না। বিদেশিরা মুনাফার নিতে পারছে না। এয়ারলাইন্স ব্যাবসায়ীরা অর্থ পাচ্ছে না। তার মানে গর্বের জায়গায় ফাঁটল ধরিয়ে দিয়েছে। এসব তথ্য উপাত্ত বাংলাদেশ ব্যাংক দেয়। সেখানে প্রবেশ নিষেধ। তার মানে সেখানে ‘ডাল মে কুচ কালা হে’। এখন এটা কি মসুর ডাল না কি মুগ ডাল নাকি সব জায়গায় ডাল। এটাই এখন বুঝার বিষয়।
দেশ এখন এলডিসির দিকে যাচ্ছে। সরকার ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশ বলছে। এই সময় তথ্যের নৈরাজ্য সম্পূর্ণভাবে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন সিপিডির এ সম্মানীয় ফেলো।
ইআরএফ -এর সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন সংগঠনটির প্রতিষ্ঠাকালীন আহ্বায়ক ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ফাইন্যান্সিয়াল এক্সপ্রেসের সম্পাদক শামসুল হক জাহিদ এবং ইআরএফ সভাপতি রেফায়েত উল্লাহ মীরধা।
ড. দেবপ্রিয় তার বক্তব্যে দেশের সম-সাময়িক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি, ব্যাংকিংখাতসহ সামগ্রিক আর্থিকখাতের বর্তমান পরিস্থিতি তুলে ধরেন।