ঢাকা ০৫:৪২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ভবিষ্যৎ মহামারি সামাল দিতে বিশ্বের জন্য দৃঢ় নেতৃত্ব প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪
  • / ৩৮৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যৎ মহামারির জটিলতাগুলো সঠিকভাবে সামাল দিতে উপযোগী বিশ্বের জন্য শক্তিশালী ও দৃঢ় নেতৃত্ব প্রয়োজন হবে।

মঙ্গলবার গণভবন থেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যানেল ফর প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্সের কো-চেয়ারম্যান এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্ধতিগত পরিবর্তনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততা এবং প্রতিশ্রুতি একান্তভাবে প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে মহামারি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং কার্যকরভাবে সামাল দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে পারে।

তিনি বলেন, মহামারি প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্পর্কিত সংস্কারের জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বৈশ্বিক সহযোগিতার ঐক্য তৈরি করে, জনস্বাস্থ্যে আস্থা স্থাপন এবং শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবন বাঁচায়।

সরকারপ্রধান বলেন, জরাজীর্ণ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আর্থিক সক্ষমতা শক্তিশালী করতে আমাদের অবশ্যই সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় অতীতের সাফল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।

জনগণের উপকারে প্রকল্প নিতে হবে

এর আগে সকালে শেখ হাসিনা সকালে গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকন করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।

রূপরেখা প্রত্যক্ষ করার পর, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন।

সাখাওয়াত মুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ভবিষ্যৎ মহামারি সামাল দিতে বিশ্বের জন্য দৃঢ় নেতৃত্ব প্রয়োজন: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৯:৫৬:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৭ মে ২০২৪

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভবিষ্যৎ মহামারির জটিলতাগুলো সঠিকভাবে সামাল দিতে উপযোগী বিশ্বের জন্য শক্তিশালী ও দৃঢ় নেতৃত্ব প্রয়োজন হবে।

মঙ্গলবার গণভবন থেকে ইন্ডিপেন্ডেন্ট প্যানেল ফর প্যান্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস অ্যান্ড রেসপন্সের কো-চেয়ারম্যান এবং নিউজিল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী হেলেন ক্লার্কের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে তিনি এ নিয়ে কথা বলেন। খবর বাসসের।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্ধতিগত পরিবর্তনের জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্বের সম্পৃক্ততা এবং প্রতিশ্রুতি একান্তভাবে প্রয়োজন, যা ভবিষ্যতে মহামারি প্রতিরোধ, শনাক্তকরণ এবং কার্যকরভাবে সামাল দেওয়ার সক্ষমতা বাড়াতে পারে।

তিনি বলেন, মহামারি প্রস্তুতি এবং পরিস্থিতি সামাল দেওয়া সম্পর্কিত সংস্কারের জন্য উচ্চ পর্যায়ের রাজনৈতিক নেতৃত্ব অপরিহার্য। রাজনৈতিক নেতৃত্ব বৈশ্বিক সহযোগিতার ঐক্য তৈরি করে, জনস্বাস্থ্যে আস্থা স্থাপন এবং শেষ পর্যন্ত মানুষের জীবন বাঁচায়।

সরকারপ্রধান বলেন, জরাজীর্ণ বৈশ্বিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সমস্যা সমাধানের মাধ্যমে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার জ্ঞান ও প্রযুক্তি এবং আর্থিক সক্ষমতা শক্তিশালী করতে আমাদের অবশ্যই সম্মিলিত রাজনৈতিক সদিচ্ছা এবং প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে।

তিনি বলেন, জনস্বাস্থ্য রক্ষায় এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রভাব মোকাবিলায় অতীতের সাফল্য বিবেচনা করে বাংলাদেশ এক্ষেত্রে গঠনমূলক ভূমিকা অব্যাহত রাখবে।

জনগণের উপকারে প্রকল্প নিতে হবে

এর আগে সকালে শেখ হাসিনা সকালে গণভবনে স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বিনির্মাণে সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের কার্যক্রমের রূপরেখা সংক্রান্ত উপস্থাপনা অবলোকন করেন শেখ হাসিনা।

প্রধানমন্ত্রী উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করা হলে দেশের অর্থনীতি কতটা চাঙ্গা হবে এবং স্থানীয়রা কতটা উপকৃত হবে তা বিবেচনায় নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন।

তিনি বলেন, আমাদের প্রথমে ভাবতে হবে ফলাফল কি হবে এবং বিপুল পরিমাণ অর্থ বিনিয়োগ করে একটি প্রকল্প নেয়ার পরে জনগণ কতটা উপকৃত হবে। আমাদের দেশের উন্নয়ন এমনভাবে করতে হবে যাতে আমাদের সক্ষমতা বাড়বে এবং অন্যের উপর নির্ভরশীলতা কমবে।

রূপরেখা প্রত্যক্ষ করার পর, প্রধানমন্ত্রী প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন এবং অপ্রয়োজনীয় ব্যয় এড়াতে এবং প্রকল্পগুলি দ্রুত শেষ করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে অগ্রাধিকার দিতে বলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব কে এম সাখাওয়াত মুন।

সাখাওয়াত মুন বলেন, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, প্রকল্প গ্রহণের ক্ষেত্রে দেশের কতটা উন্নয়ন হবে এবং মানুষ কতটা উপকৃত হবে তা আপনাদেরকে বিবেচনা করতে হবে। তিনি বলেন, দ্রুত কিছু অবকাঠামোগত উন্নয়ন হয়েছে বলে দেশবাসী এর সুফল পাচ্ছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, তারা একটি লক্ষ্য নিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় আসার পর তার সরকারের প্রথম অগ্রাধিকার ছিল জনগণের জন্য খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

শেখ হাসিনা বলেন, গবেষণার মাধ্যমে খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধির করে আমরা সফলভাবে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তার সরকার রূপকল্প ২০২১ ঘোষণা করেছিল এবং উন্নয়নশীল দেশের স্বীকৃতি লাভের মধ্যদিয়ে সফলভাবে তা বাস্তবায়ন করেছে।

তিনি বলেন, এখন আমাদের লক্ষ্য ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি উন্নত, সমৃদ্ধ ও স্মার্ট দেশে রূপান্তর করা। আমরা সেই রূপকল্প বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছি।

এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।