উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে জনগণ, ফলও পূর্ব নির্ধারিত: রিজভী
- আপডেট সময় : ০৩:১১:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
- / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনও বর্জন করেছে জনগণ। আবারো প্রমাণ হলো বিএনপির আহ্বানে সাড়া দিয়ে জনগণ ভোট বর্জন করেছে।
নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব অভিযোগ করেন, আওয়ামী সরকারের একতরফা ভারত তোষণ নীতির কারণে বিএসএফ বাংলাদেশিদের মানুষ বলে গণ্য করে না। পঞ্চগড়ের তেতুলিয়া সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই নিরীহ বাংলাদেশি হত্যার সমালোচনা করে তিনি বলেন , ভারত যেন এখন সরাসরি রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে বাংলাদেশে। নতজানু পররাষ্ট্রনীতির কারণে প্রতিবাদ জানাতেও পারছে না সরকার।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, দেশে ডাকাতি লুটের ঘটনা ডাকতে গুম খুন নির্যাতন বাড়ছে। অনাচারের জন্য সুসজ্জিত বাহিনী গড়ে তোলা হয়েছে। জনগণের প্রত্যাখ্যাত নির্বাচন শুরু করেছে সরকার। সকাল থেকে ভোট শুরু হলেও জনগণ কেন্দ্রে যায়নি। কর্তৃত্ববাদী সরকারের অপরাধের প্রতিবাদ হিসেবে ভোট কেন্দ্রে যাচ্ছে না ভোটাররা।
তিনি বলেন, ভোট কেন্দ্রে যেতে হুমকিও দেওয়া হচ্ছে। ভোটারবিহীন নির্বাচনে চেয়ারম্যান শত বিঘা জমির মালিক হচ্ছেন। আগের হলফনামার চেয়ে একহাজার থেকে চারহাজার গুণ সম্পদ বেড়েছে উপজেলা চেযারম্যান ও তার স্বজনদের। দেশের গণতন্ত্রের ছিটে ফোটাও না থাকায় নির্বাচন সুষ্ঠু হতে পারে না। আওয়মী লীগ সরকারের মন্ত্রী-এমপি ও তাদের স্বজনদের লোক ছাড়া কেউ নির্বাচিত হতে পারে না। বাকি তিন দফাতেও কেও ভোট কেন্দ্রে যাবে না।
রিজভী আরও বলেন, পঞ্চগড়ে তেঁতুলিয়া সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ-এর গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় বিএনপি। ভারত যেন এখন সরাসরি রক্তাক্ত আগ্রাসন চালাচ্ছে বাংলাদেশে। আর এটি সম্ভব হয়েছে ডামি সরকারের আত্মা বিক্রির জন্য। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পুলিশের গুলিতে দুজন বাংলাদেশি নিহত হওয়ার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটির বিচার চেয়েছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তুলেছেন। অথচ ভারতের এই রক্তাক্ত নির্মমতার বিষয়ে তিনি নিশ্চুপ। তাদের সব কসুর তিনি মাফ করে দেন।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ—ভারত সীমান্তে বিএসএফ এর রক্তপিপাসুর মাত্রা যেন দিন দিন তীব্র হচ্ছে। আওয়ামী সরকারের একতরফা ভারত তোষণ নীতির কারণেই বিএসএফ বাংলাদেশিদের মানুষ বলে গণ্য করে না। বর্তমান সরকারের অবৈধ ভাবে ক্ষমতায় থাকার একমাত্র গ্যারান্টি ভারত। দুর্নীতির অভিযোগ এনে চরিত্র হরনের চেষ্টা চলছে৷ সাংগঠনিক সহসাংগঠনিক সম্পাদকরা একদিকে সরকারের দ্বারা নির্যাতিত আবার তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করে চরিত্র হরণ করা হচ্ছে। লড়াইয়ের মধ্যে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ গণতন্ত্রের লড়াইয়ে আঘাত করার চেষ্টা সরকারের পক্ষে কাজ করা।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের বিশেষ সহকারী অ্যাডভোকেট শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী সাইদুল আলম বাবুল ও মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আবদুর রহিম প্রমুখ।