রেমিট্যান্স বন্ধ হলে মুখ থুবড়ে পড়বে সরকার: মঈন খান
- আপডেট সময় : ০৯:১৬:৫৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪
- / ৩৯৩ বার পড়া হয়েছে
প্রবাসীরা রেমিট্যান্স বন্ধ করে দিলে সরকার ৭ দিনের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। বুধবার বাংলাদেশ প্রবাসী অধিকার পরিষদের আয়োজনে ‘কর্মক্ষেত্রে প্রবাসীদের সুরক্ষা ও প্রবাসী পরিবারের নিরাপত্তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আবদুল মঈন খান বলেন, প্রবাসীরা সর্বত্র হয়রানির শিকার হচ্ছেন, প্রবাসীদের নিরাপত্তা না থাকলে সরকারেরও নিরাপত্তা থাকবে না। প্রবাসীরা রেমিট্যান্স বন্ধ করে দিলে সরকার ৭ দিনের মধ্যে মুখ থুবড়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, এই সরকার দরিদ্র মানুষকে অর্থনৈতিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে। তারা স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি হলে গণতন্ত্র হরণ করে বাকশাল-২ কায়েম করতে পারতো না। দেশে মানুষের স্বাধীনতা নেই, মানুষের কোন ধরনের অধিকার নেই।
উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দেশের মানুষ যেভাবে ৭ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন করেছে একইভাবে উপজেলা নির্বাচনের ভুয়া নাটক বর্জন করেছে। কোন কোন কেন্দ্রে একজন ভোটাররও নাই। গণতন্ত্র সচেতন মানুষের ভোট বর্জন করায় তাদের শ্রদ্ধা জানাই।
আলোচনা সভায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, উপজেলা নির্বাচনের নামের তামাশা স্থগিত করে দেয়া উচিত। নিয়মতান্ত্রিকভাবে সরকার পরিবর্তনের ন্যুন্যতম সুযোগ বিদায় করে দিয়েছে। কতৃত্ববাদী শাসক বুকের উপর চেপে বসেছে। পৃথিবীর সব ফ্যাসিবাদী শাসকসক নিজের বিকল্প নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
সভায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ও সুপ্রিম কোর্টে সিনিয়র আইনজীবী আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছেন, প্রবাসীদের পরিবারের নিরাপত্তা নেই। তারা রেমিট্যান্স পাঠায়, অথচ দেশে আসলে লীগের নেতাকর্মীদের চাঁদা দিতে হয়। এই সরকারের এসব ব্যর্থতার দায় নিয়ে পদত্যাগ করা উচিত। বাংলাদেশে এই মুহূর্তে কোনো নির্বাচিত সরকার নেই। এই সরকারের পতন ঘটলে তাদের শাসন দেশের ইতিহাসে কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত হবে।
আলোচনা সভায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূর বলেন, ভারত যখন বাংলাদেশের সবকিছু নির্ধারণ করে দেয়, তখন দেশের জনগণ ভারতকে বন্ধু ভাবতে পারে না। ভারত জনগণের বিপরীত আকাঙ্খায় দাঁড়িয়েছে। দেশ রক্ষার জন্য ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে। দেশটা এখন এতোই অরক্ষিত যে, বর্তমানে পরাধীন জাতি হিসেবে আছি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচনকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে এই সরকার। উপজেলা নির্বাচনে ১০ শতাংশ ভোট পড়েনি। অনতিবিলম্বে এই নির্বাচনী তামাশা বন্ধ করতে হবে।