রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদানে ১৮৪ ব্যবসায়ীকে সিআইপি হিসেবে স্বীকৃতি দিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে ১৪০ জনকে রপ্তানির জন্য এবং ৪৪ ব্যবসায়ীকে ট্রেড সিআইপিতে ভূষিত করা হলো। এদিকে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে ইতোমধ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে বলে জানান বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী।
দেশের শীর্ষ রপ্তানি খাত তৈরি পোশাক। গেল অর্থবছর এ খাত থেকে রপ্তানি আয় এসেছে ৪ হাজার ৬৯৯ কোটি ১৬ লাখ ডলার।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য বলছে, তৈরি পোশাকসহ দেশ থেকে ৩০ ক্যাটাগরির ৫৭ ধরনের বেশি পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ২০০ এর বেশি দেশে ৭৫০টির বেশি পণ্য রপ্তানি করে গেল ২০২২-২৩ অর্থবছরে আয় হয়েছে ৫ হাজার ৫৫৫ কোটি ৮৭ লাখ ইউএস ডলার।
বৃহস্পতিবার (৯ মে) রপ্তানির মাধ্যমে যারা দেশের অর্থনীতির চাকা সচল রেখেছেন তাদের জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সিআইপি স্বীকৃতির আয়োজন করে। ২০২২ সালে রপ্তানি বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখায় ১৮৪ জন ব্যবসায়ীকে কমার্শিয়াল ইমপোর্টান্ট পার্সন বা সিআইপি হিসেবে স্বীকৃতি দিলো বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। এই স্বীকৃতি ব্যবসাকে আরও ত্বরান্বিত করবেন বলে জানান সিআইপি ব্যবসায়ীরা।
তারা বলেন, সিআইপিদের অনেক বাণিজ্যবান্ধব সুযোগ সুবিধা দেয়া হয়। এই উদ্যোগটা আমাদের মধ্যে একটা প্রতিযোগিতার সৃষ্টি করে। বছরের প্রথম থেকেই রপ্তানি বাড়ানো আমাদের লক্ষ্য থাকবে।
রপ্তানিকে আরও গতিশীল ও ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরির জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম। এছাড়া অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ব্যবসায়ীদের গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ করার দাবি তার।
তিনি বলেন, 'ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ তৈরি করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সরকারকে অনুরোধ জানাই। আমরা যেন নির্বিঘ্নে ব্যবসা করতে পারি সেই সুযোগ করে দিবেন।'
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, 'দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে ইতোমধ্যে সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। ২৬টি দেশের সাথে আমাদের আলোচনা চলমান রয়েছে। রপ্তানি পণ্য বৈচিত্রকরণে সরকার ব্যবসায়ীদের সাথে নিয়ে কাজ করছে।'
বাণিজ্যিক সম্পর্ক বাড়াতে আগামী বছর দেশের সবগুলো দূতাবাসে বৈশাখী মেলার আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি।