ঢাকা ০১:০৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

হায়দার আকবর খান রনোর মরণোত্তর চক্ষুদান

নিজস্ব প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪
  • / ৩৯৬ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর দান করা চোখ দুটি গ্রহণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী। মারা যাওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর চোখ দুটি সংগ্রহ করে সংগঠনটি।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে হায়দার আকবর খান রনো মারা যান। এরপর সন্ধানীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘রনো ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই সন্ধানীকে ফোন দিই। জানানো হয়, তারা তাদের সমন্বয়কের সাথে কথা বলে জানাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

মানবেন্দ্র জানান, রাত ২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত একনাগাড়ে চেষ্টা করা হয়েছে। একপর্যায়ে জানানো হলো যে, তারা তাদের কো-অর্ডিনেটরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। তাদের অনুরোধ করে কো-অর্ডিনেটর সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর নম্বর নেওয়া হলো। সরাসরি তাঁকে ফোন করা হলো। নানা নম্বর থেকে উপস্থিত অনেকেই তাঁকে ফোন দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষে সন্ধানী ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখায় যোগাযোগ করা হয়। ফোনে কাজ না হওয়ায় সেখানে সশরীরে যাওয়া হয়। কিন্তু কাজ হয়নি।

পরে ভোর ৫টার দিকে সংগঠনটি আকবর খান রনোর দান করা চোখ দুটি গ্রহণ করে। আকবর খান রনোর মেয়ে রানা সুলতানা আজ শনিবার ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, আগামী সোমবার দাফন করা হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। দু-দিন তাঁর মরদেহ রাখা হবে শমরিতা হাসপাতালের মরচুয়ারিতে।

সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার জানান, সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ সিপিবি অফিসে রাখা হবে। এরপর শোভাযাত্রা করে মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত দেশবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে। এরপর বেলা ১টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার বনানীতে বাবা ও মা’র কবরের পাশে হায়দার আকবর খান রনোকে দাফন করা হবে বলেও জানান জলি তালুকদার।

রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যায় পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে এর আগে জানান হাসপাতালটির পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হায়দার আকবর খান রনোকে হাসপাতালটির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়।

হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক প্রবাদ পুরুষ। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তাঁর মায়ের নাম কানিজ ফাতেমা মোহসিনা ও বাবা হাতেম আলী খান। হায়দার আকবর খান রনোর একমাত্র ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ প্রয়াত হায়দার আনোয়ার খান জুনো।

নিউজটি শেয়ার করুন

হায়দার আকবর খান রনোর মরণোত্তর চক্ষুদান

আপডেট সময় : ০১:৫২:২৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১১ মে ২০২৪

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) উপদেষ্টা হায়দার আকবর খান রনোর দান করা চোখ দুটি গ্রহণ করেছে স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সন্ধানী। মারা যাওয়ার সাড়ে তিন ঘণ্টা পর চোখ দুটি সংগ্রহ করে সংগঠনটি।

শুক্রবার দিবাগত রাত ২টা ৫ মিনিটে হায়দার আকবর খান রনো মারা যান। এরপর সন্ধানীর সঙ্গে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁদের সাড়া পাওয়া যায়নি।

সাবেক ছাত্রনেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মানবেন্দ্র দেব ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে বলেন, ‘রনো ভাইয়ের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পরপরই সন্ধানীকে ফোন দিই। জানানো হয়, তারা তাদের সমন্বয়কের সাথে কথা বলে জানাচ্ছে। কিন্তু দীর্ঘ সময়েও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।’

মানবেন্দ্র জানান, রাত ২টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত একনাগাড়ে চেষ্টা করা হয়েছে। একপর্যায়ে জানানো হলো যে, তারা তাদের কো-অর্ডিনেটরের সাথে যোগাযোগ করতে পারছে না। তাদের অনুরোধ করে কো-অর্ডিনেটর সাইফুল ইসলাম চৌধুরীর নম্বর নেওয়া হলো। সরাসরি তাঁকে ফোন করা হলো। নানা নম্বর থেকে উপস্থিত অনেকেই তাঁকে ফোন দিয়েছেন। কিন্তু কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। শেষে সন্ধানী ঢাকা মেডিকেল কলেজ শাখায় যোগাযোগ করা হয়। ফোনে কাজ না হওয়ায় সেখানে সশরীরে যাওয়া হয়। কিন্তু কাজ হয়নি।

পরে ভোর ৫টার দিকে সংগঠনটি আকবর খান রনোর দান করা চোখ দুটি গ্রহণ করে। আকবর খান রনোর মেয়ে রানা সুলতানা আজ শনিবার ইনডিপেনডেন্ট ডিজিটালকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এদিকে, আগামী সোমবার দাফন করা হবে এই প্রবীণ রাজনীতিবিদকে। দু-দিন তাঁর মরদেহ রাখা হবে শমরিতা হাসপাতালের মরচুয়ারিতে।

সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জলি তালুকদার জানান, সোমবার সকাল ১০টা থেকে ১১টা শ্রদ্ধা জানানোর জন্য তাঁর মরদেহ সিপিবি অফিসে রাখা হবে। এরপর শোভাযাত্রা করে মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। সেখানে ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত দেশবাসীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ রাখা হবে। এরপর বেলা ১টার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে জানাজার নামাজ অনুষ্ঠিত হবে।

সোমবার বনানীতে বাবা ও মা’র কবরের পাশে হায়দার আকবর খান রনোকে দাফন করা হবে বলেও জানান জলি তালুকদার।

রাজনীতিবিদ ও লেখক হায়দার আকবর খান রনো তীব্র শ্বাসতন্ত্রীয় অসুখ (টাইপ-২ রেসপিরেটরি ফেইল্যুর) নিয়ে গত ৬ মে সন্ধ্যায় পান্থপথের হেলথ অ্যান্ড হোপ হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বলে এর আগে জানান হাসপাতালটির পরিচালক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী। অবস্থার অবনতি হওয়ায় হায়দার আকবর খান রনোকে হাসপাতালটির হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রেখে বিশেষ পদ্ধতিতে অক্সিজেন দেওয়া হয়।

হায়দার আকবর খান রনো বাংলাদেশের কমিউনিস্ট আন্দোলনের এক প্রবাদ পুরুষ। তাঁর জন্ম ১৯৪২ সালের ৩১ আগস্ট অবিভক্ত ভারতের কলকাতায়। তাঁর মায়ের নাম কানিজ ফাতেমা মোহসিনা ও বাবা হাতেম আলী খান। হায়দার আকবর খান রনোর একমাত্র ভাই বীর মুক্তিযোদ্ধা ও রাজনীতিবিদ প্রয়াত হায়দার আনোয়ার খান জুনো।