ঢাকা ০৫:০৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ইউরোপে প্যালেস্টাইন কোলার বাজিমাত

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪
  • / ৩৯২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে যখন ইসরাইলি পণ্য বয়কট করা হচ্ছে। তখন কোমল পানীয় বাজারে আধিপত্য দেখাচ্ছে প্যালেস্টাইন কোলা। ইউরোপের বাজারে প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বাড়ছে, মাত্র দুই মাসেরও কম সময়ে প্রায় ৪০ লাখ ক্যান প্যালেস্টাইন কোলা বিক্রি হয়েছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলার জেরে বিশ্বের নানা প্রান্তে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি ও পণ্যের বয়কট আন্দোলন চলছে। গাজা ইস্যুতে ইসরাইলকে সর্মথন জানিয়ে তোপের মুখে পড়ে কেএফসি, স্টারবাকস, ম্যাকডোনাল্ডস, পেপসি, কোকাকোলার মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড।

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সুইডেনের মালমো শহরে ‘প্যালেস্টাইন কোলা’ নামে কোমল পানীয় উৎপাদন শুরু করেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত সুইডিশ তিন ভাই। মূলত কোকাকোলা ও পেপসির বিকল্প হিসেবে এই পানীয় বাজারে আনা হয়। যা এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে। ইউরোপের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, সুপারশপে বাড়ছে এর চাহিদা। অনেকে কোম্পানি প্যালেস্টাইন কোলার অর্ডারও দিচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদন বলছে, সময়োপযোগী ওই সিদ্ধান্তে পানীয়টি বাজারে আসার মাত্র দুই মাসের মধ্যেই বিপুল লাভ করেছেন উদ্যোক্তারা। বিক্রি হয়েছে অন্তত ৪০ লাখ ক্যান প্যালেস্টাইন কোলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্যালেস্টাইন কোলাকে সমর্থন জানাচ্ছেন কোটি মানুষ।

প্যালেস্টাইন কোলার ক্যানের নকশাটি ইতোমধ্যে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। ক্যানটিতে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক প্রতীক জলপাইয়ের ডাল এবং কেফিয়াহর নকশা রয়েছে। পাশাপাশি ‘সবার জন্য স্বাধীনতা’ এমন বার্তা লেখা রয়েছে।

উদ্যোক্তারা জানান, একটি দাতব্য সংস্থার উদ্যোগেই প্যালেস্টাইন কোলা বাজারে আনা হয়েছে। শিগগিরই সুইডেনে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে অসহায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহ করা হবে।

গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর পেপসি-কোকাকোলার পরিবর্তে অন্য ব্র্যান্ডের কোমল পানীয়র দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। লেবাননে জাল্লৌল এবং জি কোলা নামের পানীয় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মিশরে স্পিরো স্পাথিস নামে একটি পানীয়র বিক্রি প্রায় ৩৫০ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে বাংলাদেশের কোমল পানীয় মোজোর বিক্রির লভ্যাংশের একটি অংশ ফিলিস্তিনের তহবিলে দান করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ইউরোপে প্যালেস্টাইন কোলার বাজিমাত

আপডেট সময় : ০১:১৯:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৩ মে ২০২৪

ফিলিস্তিন ইস্যুতে বিশ্বজুড়ে যখন ইসরাইলি পণ্য বয়কট করা হচ্ছে। তখন কোমল পানীয় বাজারে আধিপত্য দেখাচ্ছে প্যালেস্টাইন কোলা। ইউরোপের বাজারে প্রতিনিয়ত এর চাহিদা বাড়ছে, মাত্র দুই মাসেরও কম সময়ে প্রায় ৪০ লাখ ক্যান প্যালেস্টাইন কোলা বিক্রি হয়েছে।

গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরাইলের হামলার জেরে বিশ্বের নানা প্রান্তে ইসরাইলের সঙ্গে যুক্ত কোম্পানি ও পণ্যের বয়কট আন্দোলন চলছে। গাজা ইস্যুতে ইসরাইলকে সর্মথন জানিয়ে তোপের মুখে পড়ে কেএফসি, স্টারবাকস, ম্যাকডোনাল্ডস, পেপসি, কোকাকোলার মতো বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ড।

ফিলিস্তিনের প্রতি সংহতি জানিয়ে সুইডেনের মালমো শহরে ‘প্যালেস্টাইন কোলা’ নামে কোমল পানীয় উৎপাদন শুরু করেন ফিলিস্তিন বংশোদ্ভূত সুইডিশ তিন ভাই। মূলত কোকাকোলা ও পেপসির বিকল্প হিসেবে এই পানীয় বাজারে আনা হয়। যা এরই মধ্যে বিশ্বজুড়ে সাড়া ফেলেছে। ইউরোপের বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, সুপারশপে বাড়ছে এর চাহিদা। অনেকে কোম্পানি প্যালেস্টাইন কোলার অর্ডারও দিচ্ছে।

সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদন বলছে, সময়োপযোগী ওই সিদ্ধান্তে পানীয়টি বাজারে আসার মাত্র দুই মাসের মধ্যেই বিপুল লাভ করেছেন উদ্যোক্তারা। বিক্রি হয়েছে অন্তত ৪০ লাখ ক্যান প্যালেস্টাইন কোলা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্যালেস্টাইন কোলাকে সমর্থন জানাচ্ছেন কোটি মানুষ।

প্যালেস্টাইন কোলার ক্যানের নকশাটি ইতোমধ্যে সবার প্রশংসা কুড়িয়েছে। ক্যানটিতে ফিলিস্তিনের ঐতিহাসিক প্রতীক জলপাইয়ের ডাল এবং কেফিয়াহর নকশা রয়েছে। পাশাপাশি ‘সবার জন্য স্বাধীনতা’ এমন বার্তা লেখা রয়েছে।

উদ্যোক্তারা জানান, একটি দাতব্য সংস্থার উদ্যোগেই প্যালেস্টাইন কোলা বাজারে আনা হয়েছে। শিগগিরই সুইডেনে একটি ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করে অসহায় ফিলিস্তিনিদের সহায়তায় তহবিল সংগ্রহ করা হবে।

গাজায় ইসরাইলের হামলা শুরুর পর পেপসি-কোকাকোলার পরিবর্তে অন্য ব্র্যান্ডের কোমল পানীয়র দিকে ঝুঁকছেন ক্রেতারা। লেবাননে জাল্লৌল এবং জি কোলা নামের পানীয় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছে। মিশরে স্পিরো স্পাথিস নামে একটি পানীয়র বিক্রি প্রায় ৩৫০ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে বাংলাদেশের কোমল পানীয় মোজোর বিক্রির লভ্যাংশের একটি অংশ ফিলিস্তিনের তহবিলে দান করা হচ্ছে।