ঢাকা ০৭:২৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

স্বজনদের কাছে এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:৫১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪
  • / ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

উদ্বেগ উৎকণ্ঠা আগেই কেটেছিল, এবার অপেক্ষার পালও শেষ। প্রিয়জনের কাছে ফিরে এসেছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জাহাজ মালিকরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়। সবার মাঝে তখন স্বস্তি আর আনন্দ। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হন স্বজনরা।

এই আনন্দঘন মুহূর্তের জন্য দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় অধীর অপেক্ষায় ছিল স্বজনেরা। তাদের সেই অপেক্ষা ফুরালো মঙ্গলবার বিকেলে। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে তাই আবেগ আপ্লুত ২৩ নাবিকের স্বজনেরা।

সোমালিয়ার জলদূস্যদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার একমাস পর ২৩ নাবিকসহ দুবাই হয়ে সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে বাংলাদেশের পতাকাবাহী কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পা রাখেন চট্টগ্রম বন্দরে।

কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের বহনকারী লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে জেটিতে ভিড়লে একে একে নেমে আসেন নাবিকরা। এসময় আগে থেকে অপেক্ষায় স্বজনরা তাদের জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই অশ্রু আনন্দের।

জাহাজের নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করেন নেন চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, বন্দর চেয়ারম্যান, এমভি আবদুল্লাহর পরিচালক, সিইও সহ বন্দরের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।

দ্রুততম সময়ে নাবিকদের নিরাপদে ফেরাতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হয়েছে বলে জানান মালিক পক্ষ।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গেলো ১২ই মার্চ সোমালিয়ার উপকূলে সোমালি দস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। পরে মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ই এপ্রিল জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

স্বজনদের কাছে এমভি আব্দুল্লাহর নাবিকরা

আপডেট সময় : ১০:৫১:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৪ মে ২০২৪

উদ্বেগ উৎকণ্ঠা আগেই কেটেছিল, এবার অপেক্ষার পালও শেষ। প্রিয়জনের কাছে ফিরে এসেছে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কাছ থেকে মুক্ত বাংলাদেশি জাহাজের ২৩ নাবিক। মঙ্গলবার বিকেলে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছালে পরিবারের সদস্য এবং বন্দর কর্তৃপক্ষ ও জাহাজ মালিকরা তাদের ফুলেল শুভেচ্ছায় বরণ করে নেয়। সবার মাঝে তখন স্বস্তি আর আনন্দ। দীর্ঘদিন পর প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে আবেগ আপ্লুত হন স্বজনরা।

এই আনন্দঘন মুহূর্তের জন্য দীর্ঘ একমাসের বেশি সময় অধীর অপেক্ষায় ছিল স্বজনেরা। তাদের সেই অপেক্ষা ফুরালো মঙ্গলবার বিকেলে। চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিতে প্রিয়জনকে কাছে পেয়ে তাই আবেগ আপ্লুত ২৩ নাবিকের স্বজনেরা।

সোমালিয়ার জলদূস্যদের কবল থেকে মুক্ত হওয়ার একমাস পর ২৩ নাবিকসহ দুবাই হয়ে সোমবার কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় নোঙর করে বাংলাদেশের পতাকাবাহী কেএসআরএম গ্রুপের জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ। সেখান থেকে মঙ্গলবার বিকেলে পা রাখেন চট্টগ্রম বন্দরে।

কুতুবদিয়া থেকে নাবিকদের বহনকারী লাইটার জাহাজ চট্টগ্রাম বন্দরের নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালে জেটিতে ভিড়লে একে একে নেমে আসেন নাবিকরা। এসময় আগে থেকে অপেক্ষায় স্বজনরা তাদের জড়িয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এই অশ্রু আনন্দের।

জাহাজের নাবিকদের ফুল দিয়ে বরণ করেন নেন চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, বন্দর চেয়ারম্যান, এমভি আবদুল্লাহর পরিচালক, সিইও সহ বন্দরের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তারা।

দ্রুততম সময়ে নাবিকদের নিরাপদে ফেরাতে সম্ভাব্য সবকিছু করা হয়েছে বলে জানান মালিক পক্ষ।

আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিক থেকে কয়লা নিয়ে দুবাই যাওয়ার পথে গেলো ১২ই মার্চ সোমালিয়ার উপকূলে সোমালি দস্যুরা বাংলাদেশি জাহাজ এমভি আব্দুল্লাহ ও এর ২৩ নাবিককে জিম্মি করে। পরে মুক্তিপণ দিয়ে গত ১৩ই এপ্রিল জাহাজ ও নাবিকদের মুক্ত করা হয়।