ঢাকা ০৪:৪২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

ডলার সংকট, ভাবিয়ে তুলছে পোশাক ব্যবসায়ীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪
  • / ৩৮৮ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

খোলা বাজারে অভাব নেই আর এলসি খুলতে ডলার নেই। সংকটের ডলার কার পকেটে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। ডলার সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমদানি, দাবি ব্যবসায়ীদের। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, ডলার সংকটে আরও বাড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘ডলারে কোনো সংকট নেই। ঢাকা শহরে বহু ঘরে লাখ লাখ ডলার রয়েছে।’

কোথায় ডলার সংকট? কে বলেছে? এমন প্রশ্ন ৩০ বছর মানি এক্সচেঞ্জের সাথে জড়িত এই ব্যবসায়ীর। খোলা বাজারে হাত বাড়ালেই মিলছে ডলার। তবে সে জন্য পরিশোধ করতে হবে অতিরিক্ত অর্থ।

আরেকজন বলেন, ‘ডলার পর্যাপ্ত রয়েছে। সরকার যদি ডলার সঠিকভাবে দেয় তাহলে ডলারের কোনো সংকট থাকছে না। ব্যাংক তো ডলার দেয় না।’

খোলা বাজারে এত ডলার আসে কিভাবে? সে মন্ত্র জানে এখানকার সব ব্যবসায়ীরা। কিভাবে এলসির ডলার পাওয়া যাবে সে পথও দেখিয়ে দিলেন আরেক ব্যবসায়ী।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘ডলার ১১৭ টাকার দামের পরিবর্তে ১২৫ টাকা করে ব্যাংক ম্যানেজারকে দিলে এলসির ডলার পাওয়া যাচ্ছে।’

ডলার সংকটের প্রভাব ইতিমধ্যেই ভাবিয়ে তুলছে পোশাক ব্যবসায়ীদের। খোদ ব্যবসায়ী নেতারাও পারছে না এলসি খুলতে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘কেন কটনের এলসি খুলছে না? কারণ ডলার নেই। যদি এলসিই খুলতে না পারি তাহলে সুতা বানাবো কি করে?’

তিনি আরও বলেন, ‘এলসি যদি না করতে পারি তাহলে এই সুতা সেক্টর কোথায় যাবে। সংকটটা অনেক গভীরে দেখছি। ডলার রেটের যে ভিন্নতা বিগত ১ বছরে ব্যবসায়ীদের চরমভাবে ভোগান্তিতে নিয়ে গেছে।’

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘এই মহূর্তে যে সমস্যা তার তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়ীদের উপরে। কিন্তু এর বড় প্রভাব পড়বে কিছুদিনের ভিতর সাধারণ মানুষের উপরে। ডলারে কৃত্রিম সংকটে তৈরি করার জন্য দায় নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে শক্ত হতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ম্যাক্রো ইকোনমি স্ট্যাবিলিটি ফিরে আসবে যদি আরও বেশি ডলার আনতে পারি। বাংলাদেশ ব্যাংক আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ডলার রাখলে একটা ইন্টরেস্ট দেয়ার কথা ভাবছে। বাইরে থেকে এভাবে ডলার আসতে থাকলে রিজার্ভও বাড়বে, রেমিট্যান্সও বাড়বে।’

একদিনে ডলারের দাম বেড়েছে ৭ টাকা। তার ওপরে ডলার সংকট দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও লাগাম ছাড়া করতে পারে বলে মত খাত সংশ্লিষ্টদের।

নিউজটি শেয়ার করুন

ডলার সংকট, ভাবিয়ে তুলছে পোশাক ব্যবসায়ীদের

আপডেট সময় : ০১:১৬:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

খোলা বাজারে অভাব নেই আর এলসি খুলতে ডলার নেই। সংকটের ডলার কার পকেটে? এটাই এখন বড় প্রশ্ন। ডলার সংকটে ক্ষতিগ্রস্ত হবে আমদানি, দাবি ব্যবসায়ীদের। অর্থনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, ডলার সংকটে আরও বাড়বে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য ও সেবার দাম।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ীদের একজন বলেন, ‘ডলারে কোনো সংকট নেই। ঢাকা শহরে বহু ঘরে লাখ লাখ ডলার রয়েছে।’

কোথায় ডলার সংকট? কে বলেছে? এমন প্রশ্ন ৩০ বছর মানি এক্সচেঞ্জের সাথে জড়িত এই ব্যবসায়ীর। খোলা বাজারে হাত বাড়ালেই মিলছে ডলার। তবে সে জন্য পরিশোধ করতে হবে অতিরিক্ত অর্থ।

আরেকজন বলেন, ‘ডলার পর্যাপ্ত রয়েছে। সরকার যদি ডলার সঠিকভাবে দেয় তাহলে ডলারের কোনো সংকট থাকছে না। ব্যাংক তো ডলার দেয় না।’

খোলা বাজারে এত ডলার আসে কিভাবে? সে মন্ত্র জানে এখানকার সব ব্যবসায়ীরা। কিভাবে এলসির ডলার পাওয়া যাবে সে পথও দেখিয়ে দিলেন আরেক ব্যবসায়ী।

মানি এক্সচেঞ্জ ব্যবসায়ী আরও বলেন, ‘ডলার ১১৭ টাকার দামের পরিবর্তে ১২৫ টাকা করে ব্যাংক ম্যানেজারকে দিলে এলসির ডলার পাওয়া যাচ্ছে।’

ডলার সংকটের প্রভাব ইতিমধ্যেই ভাবিয়ে তুলছে পোশাক ব্যবসায়ীদের। খোদ ব্যবসায়ী নেতারাও পারছে না এলসি খুলতে।

বাংলাদেশ নিটওয়্যার ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিকেএমইএ) নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘কেন কটনের এলসি খুলছে না? কারণ ডলার নেই। যদি এলসিই খুলতে না পারি তাহলে সুতা বানাবো কি করে?’

তিনি আরও বলেন, ‘এলসি যদি না করতে পারি তাহলে এই সুতা সেক্টর কোথায় যাবে। সংকটটা অনেক গভীরে দেখছি। ডলার রেটের যে ভিন্নতা বিগত ১ বছরে ব্যবসায়ীদের চরমভাবে ভোগান্তিতে নিয়ে গেছে।’

অর্থনীতিবিদ ড. মাহফুজ কবির বলেন, ‘এই মহূর্তে যে সমস্যা তার তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়ছে ব্যবসায়ীদের উপরে। কিন্তু এর বড় প্রভাব পড়বে কিছুদিনের ভিতর সাধারণ মানুষের উপরে। ডলারে কৃত্রিম সংকটে তৈরি করার জন্য দায় নিতে হবে বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোকে। এজন্য বাংলাদেশ ব্যাংকে শক্ত হতে হবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশে যে ম্যাক্রো ইকোনমি স্ট্যাবিলিটি ফিরে আসবে যদি আরও বেশি ডলার আনতে পারি। বাংলাদেশ ব্যাংক আরএফসিডি অ্যাকাউন্টে ডলার রাখলে একটা ইন্টরেস্ট দেয়ার কথা ভাবছে। বাইরে থেকে এভাবে ডলার আসতে থাকলে রিজার্ভও বাড়বে, রেমিট্যান্সও বাড়বে।’

একদিনে ডলারের দাম বেড়েছে ৭ টাকা। তার ওপরে ডলার সংকট দেশে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম আরও লাগাম ছাড়া করতে পারে বলে মত খাত সংশ্লিষ্টদের।