০৭:২৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাহিত্যে নোবেলজয়ী এলিস মুনরো মারা গেছেন

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কানাডীয় লেখক এলিস মুনরো মারা গেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে অন্টারিওর নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় এই খ্যাতিমান সাহিত্যিকের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯২ বছর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এলিস মুনরোর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তাঁর প্রকাশক ও পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘অন্টারিওর পোর্ট হোপে নিজ বাড়িতেই মারা গেছেন এলিস মুনরো। সারা বিশ্বে এই মহান লেখকের পাঠকেরা রয়েছেন। তিনি তাঁর লেখায় গভীর জীবনবোধ ও মানবতা তুলে ধরার কারণে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এলিস মুনরো দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছোট গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর সাহিত্যের প্রধান অনুষঙ্গ ছিল কানাডার গ্রামীণ জীবন। গভীরতম সাহিত্যবোধের কারণে তাঁকে কিংবদন্তী রুশ লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তিনি ২০১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেছিলেন।

১৯৬৮ সালে প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন এলিস মুনরো। তাঁর ছোটগল্প ‘ডান্স অব দ্য হ্যাপি শেড’ কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার গভর্নর জেনারেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। জীবদ্দশায় তিনবার তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

এলিস মুনরো তাঁর জীবদ্দশায় তেরটি ছোটগল্পের বই, একটি উপন্যাস ও দুটি নির্বাচিত ছোটগল্পের সংকলন প্রকাশ করেছেন। একটিমাত্র উপন্যাস ‘লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইমেনস’ লিখে তিনি বিশ্বজুড়ে পাঠকদের মন জয় করেছেন।

মুনরোর লেখা ‘দ্য বিয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন’ গল্প থেকে ২০০৬ সালে ‘অ্যাওয়ে ফ্রম হার’ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন। ম্যান বুকার পুরস্কার দেওয়ার সময় বিচারকেরা বলেছিলেন, ‘এলিস মুনরো পড়ার অর্থ হচ্ছে, প্রতিবার আপনি এমন কিছু শিখবেন যা আগে কখনো ভাবেননি।’

১৯৩১ সালে অন্টারিওর উইংহামে জন্মেছিলেন এলিস মুনরো। তাঁর বাবা ছিলেন খামারচাষী ও মা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। মুনরোর বেশির ভাগ লেখায় এই অঞ্চলের মানুষ, সংস্কৃতি ও তাদের জীবনযাপন উঠে এসেছে। তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।

সাহিত্যে নোবেলজয়ী এলিস মুনরো মারা গেছেন

আপডেট : ১২:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

সাহিত্যে নোবেল বিজয়ী কানাডীয় লেখক এলিস মুনরো মারা গেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার রাতে অন্টারিওর নিজ বাসভবনে মৃত্যু হয় এই খ্যাতিমান সাহিত্যিকের। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৯২ বছর। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

এলিস মুনরোর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে তাঁর প্রকাশক ও পেঙ্গুইন র‌্যান্ডম হাউস কানাডার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘অন্টারিওর পোর্ট হোপে নিজ বাড়িতেই মারা গেছেন এলিস মুনরো। সারা বিশ্বে এই মহান লেখকের পাঠকেরা রয়েছেন। তিনি তাঁর লেখায় গভীর জীবনবোধ ও মানবতা তুলে ধরার কারণে বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় হয়েছেন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়, এলিস মুনরো দীর্ঘ ৬০ বছরেরও বেশি সময় ধরে ছোট গল্প ও উপন্যাস লিখেছেন। তাঁর সাহিত্যের প্রধান অনুষঙ্গ ছিল কানাডার গ্রামীণ জীবন। গভীরতম সাহিত্যবোধের কারণে তাঁকে কিংবদন্তী রুশ লেখক আন্তন চেখভের সঙ্গে তুলনা করা হয়। তিনি ২০১৩ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার জয় করেছিলেন।

১৯৬৮ সালে প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশের মাধ্যমে আলোচনায় আসেন এলিস মুনরো। তাঁর ছোটগল্প ‘ডান্স অব দ্য হ্যাপি শেড’ কানাডার সর্বোচ্চ সাহিত্য পুরস্কার গভর্নর জেনারেল অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিল। জীবদ্দশায় তিনবার তিনি এই পুরস্কার পেয়েছিলেন।

এলিস মুনরো তাঁর জীবদ্দশায় তেরটি ছোটগল্পের বই, একটি উপন্যাস ও দুটি নির্বাচিত ছোটগল্পের সংকলন প্রকাশ করেছেন। একটিমাত্র উপন্যাস ‘লাইভস অব গার্লস অ্যান্ড উইমেনস’ লিখে তিনি বিশ্বজুড়ে পাঠকদের মন জয় করেছেন।

মুনরোর লেখা ‘দ্য বিয়ার কাম ওভার দ্য মাউন্টেন’ গল্প থেকে ২০০৬ সালে ‘অ্যাওয়ে ফ্রম হার’ চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য ২০০৯ সালে তিনি ম্যান বুকার পুরস্কার পেয়েছেন। ম্যান বুকার পুরস্কার দেওয়ার সময় বিচারকেরা বলেছিলেন, ‘এলিস মুনরো পড়ার অর্থ হচ্ছে, প্রতিবার আপনি এমন কিছু শিখবেন যা আগে কখনো ভাবেননি।’

১৯৩১ সালে অন্টারিওর উইংহামে জন্মেছিলেন এলিস মুনরো। তাঁর বাবা ছিলেন খামারচাষী ও মা ছিলেন স্কুলশিক্ষক। মুনরোর বেশির ভাগ লেখায় এই অঞ্চলের মানুষ, সংস্কৃতি ও তাদের জীবনযাপন উঠে এসেছে। তিনি লন্ডনের ইউনিভার্সিটি অব ওয়েস্টার্নে বৃত্তি নিয়ে পড়াশোনা করেছেন।