০৯:২৪ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বিশ্বজুড়ে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত সাড়ে ৭ কোটি

২০২৩ সালে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭ কোটির ওপর। যা গত ৫ বছরে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এর পেছনে দায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত ও যুদ্ধ। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন করে জীবন সাজাতে বাস্তুচ্যুতদের কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

যুদ্ধ, সংঘাতসহ নানা কারণে যারা নিজ দেশের সীমানায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা স্থানান্তরিত হয়, তারা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু। নিজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য দেশে যেতে বাধ্য হলে, তাদের ধরা হয় শরণার্থী। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছরই বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। গত ৫ বছরে এ সংখ্যা বেড়েছে অন্তত ৫০ শতাংশ।

বিশ্বে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের তথ্য প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংগঠন ইন্টারনাল ডিসপ্লেসড মনিটরিং সেন্টার বা আইডিএমসি। সংগঠনটি বলছে, ২০১৯ সালের অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুর সংখ্যা ৫ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ১৫১ টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। যেখানে নিউজিল্যান্ড ও কানাডার মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোও আছে।

সংগঠনটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাড়ে ৭ কোটির মধ্যে দুর্যোগের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ মানুষ। সংঘাত ও সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ। সুদানের গৃহযুদ্ধ এবং গাজায় চলমান যুদ্ধ উদ্বাস্তুর সংখ্যা রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৩ সালে যুদ্ধে ২ কোটি এবং দুর্যোগে আড়াই কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

আইডিএমসির পরিচালক আলেকজান্দ্রা বিলাক বলেন, গত দুই বছরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগজনক হারে সংঘাত ও সহিংসতায় রেকর্ডসংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাস্তুচ্যুত সমস্যা সমাধানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় বিশ্ববাসীর আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন।’

অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের ধরণ ও প্রভাব অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে। ২০২৩ সালে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ছিল সাব-সাহারা আফ্রিকা।

বিশ্বজুড়ে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত সাড়ে ৭ কোটি

আপডেট : ১১:৫৭:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

২০২৩ সালে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৭ কোটির ওপর। যা গত ৫ বছরে বেড়েছে ৫০ শতাংশ। এর পেছনে দায়ী প্রাকৃতিক দুর্যোগ, সংঘাত ও যুদ্ধ। বিশ্লেষকরা বলছেন, নতুন করে জীবন সাজাতে বাস্তুচ্যুতদের কয়েক বছর সময় লেগে যায়।

যুদ্ধ, সংঘাতসহ নানা কারণে যারা নিজ দেশের সীমানায় এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা স্থানান্তরিত হয়, তারা অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তু। নিজ দেশের সীমানা ছাড়িয়ে অন্য দেশে যেতে বাধ্য হলে, তাদের ধরা হয় শরণার্থী। বিশ্বজুড়ে প্রতি বছরই বাড়ছে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের সংখ্যা। গত ৫ বছরে এ সংখ্যা বেড়েছে অন্তত ৫০ শতাংশ।

বিশ্বে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুত মানুষের তথ্য প্রকাশ করেছে বেসরকারি সংগঠন ইন্টারনাল ডিসপ্লেসড মনিটরিং সেন্টার বা আইডিএমসি। সংগঠনটি বলছে, ২০১৯ সালের অভ্যন্তরীণ উদ্বাস্তুর সংখ্যা ৫ কোটি থেকে বেড়ে সাড়ে ৭ কোটিতে দাঁড়িয়েছে। ১৫১ টি দেশ ও অঞ্চলের ওপর এই জরিপ চালানো হয়। যেখানে নিউজিল্যান্ড ও কানাডার মতো উচ্চ আয়ের দেশগুলোও আছে।

সংগঠনটির প্রতিবেদন অনুযায়ী, সাড়ে ৭ কোটির মধ্যে দুর্যোগের কারণে অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে প্রায় ৭৭ লাখ মানুষ। সংঘাত ও সহিংসতায় বাস্তুচ্যুতের সংখ্যা ৬ কোটি ৮৩ লাখ মানুষ। সুদানের গৃহযুদ্ধ এবং গাজায় চলমান যুদ্ধ উদ্বাস্তুর সংখ্যা রেকর্ড উচ্চতায় নিয়ে গেছে। ২০২৩ সালে যুদ্ধে ২ কোটি এবং দুর্যোগে আড়াই কোটির বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

আইডিএমসির পরিচালক আলেকজান্দ্রা বিলাক বলেন, গত দুই বছরে বিশ্বজুড়ে উদ্বেগজনক হারে সংঘাত ও সহিংসতায় রেকর্ডসংখ্যক মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের কারণে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়ছে। প্রতিবেদনে এ বিষয়ে উদ্যোগ নেয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে। বাস্তুচ্যুত সমস্যা সমাধানে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থায় বিশ্ববাসীর আরও বিনিয়োগ প্রয়োজন।’

অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের ধরণ ও প্রভাব অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে। ২০২৩ সালে অভ্যন্তরীণ বাস্তুচ্যুতের মাধ্যমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত অঞ্চল ছিল সাব-সাহারা আফ্রিকা।