বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশ : মির্জা ফখরুল
- আপডেট সময় : ০৩:৪৮:০৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘জন্ম হওয়ার পর থেকেই বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করছে প্রতিবেশী দেশ। এই সরকার পুরোপুরি নতজানু সরকারে পরিণত হয়ে গেছে।’
আজ বৃহস্পতিবার (১৬ মে) রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চ দিবস উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব। আলোচনা সভাটি আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশের জন্ম হওয়ার পর থেকেই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে। গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পাওয়ার জন্য বহু রাজনৈতিক দল এক হয়ে লড়াই করছে, অনেকে প্রাণ দিয়েছে। বিএনপির ৬০ লাখ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। আজও নির্যাতন-নিপীড়ন চলছে। নেতাকর্মীদের সাজা দিয়ে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সরকার তাদের প্রভুদের স্বার্থ রক্ষার জন্য জনগণের ওপর নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। পরাজয়ের ভয়ে, নিশ্চিহ্ন হওয়ার ভয়ে নিজেদের মতো নির্বাচন করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে আওয়ামী লীগ।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কোনো বিকল্প নেই, সবাইকে দল-মত নির্বিশেষে এক হতে হবে। গণতান্ত্রিক শক্তির সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করলে জয়যুক্ত হব। আমাদেরকে কোনো শক্তি রুখতে পারবে না।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘সরকারের একমাত্র কাজ হচ্ছে নিজেদের বিত্ত তৈরি করা এবং অন্য দেশের স্বার্থ রক্ষা করা। তাই আমাদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে নিজেদের দাবি নিজেদেরই আদায় করতে হবে, অন্য কেউ এসে কাজ করে দেবে না।’
এ সময় আলোচনা সভায় জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ‘আজকে বাংলাদেশের জাতির জীবনে চরম বিপর্যয় নেমে এসেছে। আন্তর্জাতিক ফারাক্কা দিবসের প্রয়োজনীতা অপরিসীম। ফারাক্কার সমস্যার কারণে উত্তরবঙ্গ মরুভূমিতে পরিণত হয়েছে।’
সভায় নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘নির্বাচনের নামে এবার ফোর টোয়েন্টি হয়ে গেছে। সরকার বেশি দিন টিকতে পারবে না। সরকার নড়বড়ে অবস্থায়, রিজার্ভ নেই। দেশ বিক্রি হওয়ার অবস্থায় চলে গেছে। আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আবেগ দিয়ে নয়, কর্মসূচি দিয়ে, যুক্তি দিয়ে মানুষকে রাজপথে এক করতে হবে।’
ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ুম, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সহসভাপতি তানিয়া রব, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সদস্য সচিব ড. আবু ইউসুফ সেলিম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল ও অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মাহবুব উল্লাহসহ আরও অনেকে।