যা বলবেন বুঝে শুনে বলবেন, ফখরুলকে নানক
- আপডেট সময় : ১১:৩৬:৩৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪
- / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এক বক্তব্যের কঠোর সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য এবং বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতাকে হুঁশিয়ার করে তিনি বলেন, ওরা বেহায়া, ওদের লজ্জা নেই। যা বলবেন বুঝে শুনে বলবেন। ইট মারলে পাটকেল খাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকবেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কোনো দিনও কারও দয়া-দাক্ষিণ্য নিয়ে ক্ষমতায় আসেনি।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক সেমিনারে জাহাঙ্গীর কবির নানক এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে সেমিনারটির আয়োজন করে বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরাম।
‘এই সরকার পুরোপুরি নতজানু’ মির্জা ফখরুলের এই বক্তব্যের জবাবে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, আওয়ামী লীগ ৭০ এর নির্বাচনে পাকিস্তানি শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। জেনারেল আইয়ুব খানের বিরুদ্ধে লড়াই করে জনতার জয়ের মধ্য দিয়ে ৭০-এর নির্বাচনে বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে আওয়ামী লীগ। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জেনারেল জিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করেছে, এরশাদের সামরিক শাসনের বিরুদ্ধে নিরবচ্ছিন্ন লড়াই করেছে।
বিএনপি মহাসচিবকে উদ্দেশ্য করে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, হাজার হাজার সামরিক অফিসারকে আপনাদের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান হত্যা করেছে। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আজ বাংলাদেশে একটি গুলির শব্দ পর্যন্ত শোনা যায় না।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমালোচনা করে নানক বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেন, একটা সাংবিধানিক সরকারকে উৎখাত করলেন। সেই জেনারেল জিয়াদের মাধ্যমে বাংলাদেশে কারা আশ্রিত হলো? সেই পঁচাত্তরের খুনিরা। একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের শুধু ফিরিয়ে আনা হলো না, তাদের রাজনীতি করার অধিকার দেওয়া হলো।
তিনি আরও বলেন, ২৪ বছর সংগ্রামের মাধ্যমে যাদের আমরা বিদায় করেছিলাম, তাদের আবার ফিরিয়ে এনে দেশকে একটা অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করা হলো। এমন প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ছিল একটা সাহসী সিদ্ধান্ত।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন প্রসঙ্গে নানক বলেন, শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকেই তিনি দেশে ফিরে আসার বিষয়ে ব্যাকুল ছিলেন। শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন শুধু শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ছিল না, শেখ হাসিনার প্রত্যাবর্তন ছিল বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধের ধারার প্রত্যাবর্তন।
বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সভাপতি ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন– বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ বদরুজ্জামান ভূঁইয়া, বাংলাদেশ প্রগতিশীল কলামিস্ট ফোরামের সহ-সভাপতি অধ্যাপক ড. রাশিদ আসকারী, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ।