নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মস্কোর সঙ্গে বেড়েই চলছে চীনের বাণিজ্য
- আপডেট সময় : ০৩:১৫:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪
- / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
দিন দিন বেড়েই চলছে চীন-রাশিয়া বাণিজ্য। চীনা কাস্টমসের তথ্যমতে, ২০২৩ সালে দেশ দু’টিতে আমদানি-রপ্তানি হয়েছে প্রায় ২৫০ বিলিয়ন ডলার। আন্তর্জাতিক সব নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মস্কোর সঙ্গে ভালো সম্পর্ক রাখায় এবার তার মাশুল গুনতে হবে চীনকে। এ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার সঙ্গে বাণিজ্য বেড়েছে চীনের। মস্কোর ওপর আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে ব্যবসা-বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে দেশ দু’টি।
চীনা পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ওয়াং ওয়েনবিন বলেন, ‘চীন-রাশিয়া পারস্পরিক সহযোগিতা করে আসছে। রাশিয়ার সঙ্গে চীনের সম্পর্ক আরও উন্নত হচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ কিছু ইস্যুতে দুই দেশের নেতা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন।’
রুশ পার্লামেন্টের নিম্নকক্ষের ডেপুটি স্পীকার আলেকজেন্ডার বাবাকভ বলেন, ‘গেল বছর চীন-রাশিয়ার বাণিজ্য খুবই ভালো ছিলো। দুই দেশের যে বাণিজ্য লক্ষ্য তা পূরণ করেছে। প্রায় ২০০ বিলিয়ন ডলার বাণিজ্য হয়েছে। উভয় পক্ষের মধ্যে সম্পর্ক আরও উন্নয়নের মধ্য দিয়ে বাণিজ্য আরও বাড়বে।’
এছাড়াও ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে মস্কোকে অস্ত্র সহায়তা দিয়ে আসছে চীন। বহুদিন ধরেই এ অভিযোগ পশ্চিমাদের।
‘এবার রাশিয়ার সঙ্গে চীনের এ সম্পর্কের মাশুল দিতে হবে বেইজিংকে’ বুধবার এমন শিরোনামে এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। সেখানে বলা হয়, রাশিয়া -চীন সম্পর্ক নিয়ে যখন বড়াই করছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, তখন তা উদ্বিগ্নের কারণ হতে পারে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের জন্য।
ইতোমধ্যেই মস্কোর সঙ্গে কাজ করে বেইজিং ও হংকংয়ের এমন সব ব্যাংক ও কোম্পানির ওপর নিষেধাজ্ঞা দেয়ার আভাস দিয়েছে ওয়াশিংটন। কারণ হিসেবে ওয়াশিংটন বলছে, চীন যদি রাশিয়ায় অস্ত্র বিক্রি নাও করে তবুও মস্কোকে প্রযুক্তি সহায়তা দিচ্ছে তারা। যা নিয়ে উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্তনিও ব্লিংকেন এরইমধ্যে বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, ঠাণ্ডা যুদ্ধের পর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিরাপত্তায় বড় ধরণের হুমকি চীন।
যুদ্ধ বন্ধে রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিনকে চাপ প্রয়োগে শি জিনপিংকে আহ্বান জানায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। এছাড়াও ইতোমধ্যেই চীনের তৈরি বৈদ্যুতিক গাড়ি, সোলার প্যানেল, ইস্পাতসহ অন্যান্য পণ্যে শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।