যুক্তরাজ্য ও বাংলাদেশ ফাস্ট ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তিতে সম্মত হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে এক চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে হাজার হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে যুক্তরাজ্য। এরই মধ্যে যে কারণে প্রায় ১১ হাজার বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠাতে পারে যুুক্তরাজ্য।
যুক্তরাজ্যে আশ্রয় প্রার্থীদের তালিকায় সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ হয়ে উঠেছে বাংলাদেশ। কিন্তু গত কয়েকমাস ধরে যুক্তরাজ্যে বাঙালি এলাকায় একের পর এক অভিযান পরিচালনা করে সে দেশের পুলিশ। চলতি সপ্তাহে লন্ডনে যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ স্বরাষ্ট্র বিষয়ক যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ এই ফিরতি চুক্তিতে সম্মত হয়। আর বৃহস্পতিবার (১৬ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ।
‘দ্রুত প্রত্যাবাসন’ (ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন) চুক্তির আওতায় অ্যাসাইলাম আবেদন প্রত্যাখান হওয়া নাগরিকদের বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। ছাত্র, ওয়ার্কার বা ভিজিটর ভিসায় গিয়ে অ্যাসাইলাম আবেদনকারী বাংলাদেশিদের জন্য এটি একটি বড় রকমের দুঃসংবাদ।
টেলিগ্রাফের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যাসাইলাম আবেদন করে ব্যর্থ হওয়া আশ্রয় প্রার্থীদের ফাস্ট-ট্র্যাক রিটার্ন চুক্তির অধীনে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হবে। মূলত ভিসা নিয়ে যুক্তরাজ্যে প্রবেশের পর দেশটির ভিসা ব্যবস্থার অপব্যবহারকারীদের মধ্যে বাংলাদেশিরা শীর্ষস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে।
ব্রিটেনের অবৈধ অভিবাসন প্রতিরোধ প্রতিমন্ত্রী টমলিনসন বলেন, লোকজনের আসা-যাওয়া ঠেকাতে আমাদের পরিকল্পনার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে বিদেশিদের অপসারণ কার্যক্রম ত্বরান্বিত করা। বাংলাদেশ আমাদের মূল্যবান অংশীদার। এটি চমৎকার যে, আমরা এই বিষয়সহ অন্যান্য বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক জোরদার করছি। আমরা ইতোমধ্যেই স্পষ্ট প্রমাণ দেখেছি, এসব চুক্তি অবৈধ অভিবাসনের ওপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলে।
গত মাসে ফাঁস হওয়া এবং ২০২৩ সালের মার্চ পর্যন্ত ফাঁস হওয়া সরকারি নথিতে দেখা গেছে, ভিসাধারীরা রেকর্ড ২১ হাজার ৫২৫টি আশ্রয় দাবি করেছেন। ভিসা নিয়ে ব্রিটেনে প্রবেশ করা প্রতি ১৪০ জনের মধ্যে একজন আশ্রয় চেয়েছেন।
ব্রিটেনে আশ্রয় চাওয়াদের মধ্যে পাকিস্তান ছিল সবার উপরে। দেশটি থেকে প্রায় ১৭ হাজার ৪০০ জন যুক্তরাজ্যে আশ্রয় চান। এরপরেই আছে বাংলাদেশ- ১১ হাজার বাংলাদেশি আশ্রয় চেয়েছেন। ভারত থেকে ৭৪০০, নাইজেরিয়া থেকে ৬৬০০ এবং আফগানিস্তান থেকে ৬০০০ জন আশ্রয় চেয়েছেন ইউরোপের দেশটিতে।