জাবালিয়ায় তুমুল সংঘর্ষ, বহু ইসরাইলি সেনা হতাহত
- আপডেট সময় : ০১:২৬:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
- / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে
ফিলিস্তিনের উত্তর গাজার জাবালিয়া শহর এখন রণক্ষেত্র। উপত্যকার ছোট এই শহরে হামাস যোদ্ধাদের সাথে ইসরাইলি বাহিনীর তুমুল সংঘর্ষ চলছে। এখন পর্যন্ত এক দখলদার সেনারা মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তবে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা এখনও জানা যায়নি।
ইসরাইলি কমান্ডাররা বলছেন, গত অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া যুদ্ধের মধ্যে সম্ভবত শুক্রবার সবচেয়ে ভয়াবহ লড়াই হয়েছে। কারণ, ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা এ শরণার্থী শিবিরের সরু গলির আপেক্ষিক সুবিধা পাচ্ছে। তারা রকেট চালিত গ্রেনেড এবং বিস্ফোরক ডিভাইস দিয়ে আক্রমণ করছে।
শনিবার যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক দ্য ইনস্টিটিউট ফর দ্য স্টাডি অফ ওয়ার (আইএসডব্লিউ) এবং ক্রিটিক্যাল থ্রেটস প্রজেক্টের (সিটিপি) বরাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
এর আগে শুক্রবার ফিলিস্তিনি যোদ্ধারা জাবালিয়াতে দখলদার বাহিনীর অন্তত ২২টি অবস্থানে হামলা চালিয়েছে। হামাস বলেছে, তাদের আক্রমণের ফলে শত্রুরা জাবালিয়া এলাকায় তাদের অবস্থান একাধিকবার পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছে।
এদিকে এ যুদ্ধে আরও এক দখলদার সেনা নিহত হয়েছে। তেল আবিবের বরাতে এ কথা জানিয়েছে ইসরাইলি গণমাধ্যমগুলো।
এতে বলা হয়েছে শুক্রবার উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের কাছে প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সাথে প্রচণ্ড বন্দুকযুদ্ধের সময় সার্জেন্ট বেন আভিশে নামে এক সেনা নিহত হয়।
ইসরাইলি গণমাধ্যমে সার্জেন্ট বেন আভিশের নিহত হওয়ার খবর প্রকাশের আগেই হামাস জানিয়েছিল, তাদের হামলায় জাবালিয়া শহরের পূর্বাঞ্চলে এক ইসরাইলি সেনা নিহত হয়েছে।
গাজা উপত্যকার বিভিন্ন এলাকায় ভয়াবহ লড়াইয়ের কথা উল্লেখ করে হামাসের সামরিক শাখা আল-কাসসাম ব্রিগেড জানিয়েছে, তাদের যোদ্ধারা জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের পূর্বে শত্রু লাইনের পিছনে ঢুকে পড়েছিল এবং এই এলাকায় একটি ট্যাংক এবং একটি সৈন্যবাহী গাড়ি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এতে অনেক সেনা হতাহত হয়েছে।
তেল আবিব স্বীকার করেছে যে, প্রতিরোধকামী যোদ্ধাদের সাথে ভয়াবহ লড়াইয়ে গত দুইদিনে তাদের পাঁচ সেনা নিহত এবং ৪০ জনের বেশি আহত হয়েছে।
এ নিয়ে গত অক্টোবর থেকে যুদ্ধ শুরুর পর এ পর্যন্ত ৬২৬ জন দখলদার সেনা নিহত এবং ১৭২৩ জন আহত হয়েছে।
তবে হামাস বলছে, তাদের হামলায় এর চেয়ে অনেক বেশি সেনা নিহত হয়েছে। কিন্তু নেতানিয়াহু সরকার তথ্য গোপন করছে।
সম্প্রতি লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়েদ হাসান নাসরুল্লাহ জানিয়েছেন, এ পর্যন্ত ইসরাইলের দেড় হাজার সেনা নিহত হয়েছে।
বিপুল সংখ্যক সেনা হতাহত হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে নেতানিয়াহু সরকার। তেল আবিবসহ ইসরাইলের অন্যান্য শহরে সরকারের বিরুদ্ধে প্রায় রোজই সভা ও বিক্ষোভ মিছিল হচ্ছে।
ইসরাইলি নাগরিকদের একাংশ বলছেন, নেতানিয়াহু সরকার হামসকে ঠেকাতে ব্যর্থ হয়েছে। তার এখনই পদত্যাগ করা উচিত। অন্যথায় অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়তে পারে ইসরাইল।