ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশে দেশে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪
  • / ৩৭৯ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

দেশে দেশে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি। ইউরোপ-আমেরিকা সবখানেই তাই চাপ বাড়ছে অভিবাসীদের ওপর। যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দায় কঠোর বিভিন্ন দেশের সরকার। এ অবস্থায় আগামী দিনে দক্ষ কর্মীদের নিয়েও বাড়ছে শঙ্কা।

বর্তমান সময়ে বিশ্ব রাজনীতি-অর্থনীতির অন্যতম বড় নিয়ামক অভিবাসন ইস্যু। উন্নত জীবন, কাজ, অর্থ আয়, পড়াশোনাসহ নানা কারণে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাড়ি দেয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। হাজার বছর ধরে মানুষ এ পথে হাঁটলেও বিভিন্ন দেশের সরকার কড়াকড়ি আরোপ করছে নতুন করে।

জরিপ বলছে, ইউরোপের প্রতি ১০ জনের সাতজনই মনে করেন, তাদের দেশ অনেক বেশি সংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করেছে। শাসকরাও এখন আগের তুলনায় কট্টর অবস্থানে। ব্রিটেনে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইতোমধ্যে রুয়ান্ডায় পাঠানো শুরু করেছে ঋষি সুনাকের সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাও কঠোর নিয়মনীতি করছে। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগে অভিবাসন ইস্যুতে সরগরম রাজনীতি।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদার বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে যেসব দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল, তাদের বাজেটে কাটছাট করতে হয়েছিল। কারণ যারা শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করছে তাদের প্রয়োজন মতো সুযোগ সুবিধা দিতে পারছে না। সেজন্য যারা সঠিক উপায়ে আসছে তারা সঠিক সার্ভিস পাচ্ছে। অন্যরা সেটা পাচ্ছে না।’

মস্কো-কিয়েভ যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। তাই অন্য দেশের অভিবাসী বা শরণার্থীদের নিতে বাড়ছে অনীহা। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেও অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ন্ত।

এ অবস্থায় দক্ষ কর্মীদের জন্যও বেড়েছে সমস্যা। স্বল্প ও অদক্ষ কর্মীদের অবস্থা আরও বেগতিক হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশে দেশে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি

আপডেট সময় : ০১:৩৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪

দেশে দেশে কঠোর হচ্ছে অভিবাসন নীতি। ইউরোপ-আমেরিকা সবখানেই তাই চাপ বাড়ছে অভিবাসীদের ওপর। যুদ্ধ, অর্থনৈতিক মন্দায় কঠোর বিভিন্ন দেশের সরকার। এ অবস্থায় আগামী দিনে দক্ষ কর্মীদের নিয়েও বাড়ছে শঙ্কা।

বর্তমান সময়ে বিশ্ব রাজনীতি-অর্থনীতির অন্যতম বড় নিয়ামক অভিবাসন ইস্যু। উন্নত জীবন, কাজ, অর্থ আয়, পড়াশোনাসহ নানা কারণে এক দেশ থেকে আরেক দেশে পাড়ি দেয়া মানুষের সংখ্যা বাড়ছে। হাজার বছর ধরে মানুষ এ পথে হাঁটলেও বিভিন্ন দেশের সরকার কড়াকড়ি আরোপ করছে নতুন করে।

জরিপ বলছে, ইউরোপের প্রতি ১০ জনের সাতজনই মনে করেন, তাদের দেশ অনেক বেশি সংখ্যক অভিবাসী গ্রহণ করেছে। শাসকরাও এখন আগের তুলনায় কট্টর অবস্থানে। ব্রিটেনে অভিবাসন প্রত্যাশীদের ইতোমধ্যে রুয়ান্ডায় পাঠানো শুরু করেছে ঋষি সুনাকের সরকার। যুক্তরাষ্ট্র, কানাডাও কঠোর নিয়মনীতি করছে। আসন্ন মার্কিন নির্বাচনের আগে অভিবাসন ইস্যুতে সরগরম রাজনীতি।

অভিবাসন বিশেষজ্ঞ ড. মোহাম্মদ জালাল উদ্দিন শিকদার বলেন, ‘করোনা পরবর্তী সময়ে যেসব দেশগুলোতে অর্থনৈতিক মন্দা চলছিল, তাদের বাজেটে কাটছাট করতে হয়েছিল। কারণ যারা শরণার্থী হিসেবে প্রবেশ করছে তাদের প্রয়োজন মতো সুযোগ সুবিধা দিতে পারছে না। সেজন্য যারা সঠিক উপায়ে আসছে তারা সঠিক সার্ভিস পাচ্ছে। অন্যরা সেটা পাচ্ছে না।’

মস্কো-কিয়েভ যুদ্ধের জেরে ইউক্রেনের সাধারণ মানুষ আশ্রয় নিচ্ছে ইউরোপ-আমেরিকায়। তাই অন্য দেশের অভিবাসী বা শরণার্থীদের নিতে বাড়ছে অনীহা। জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতিকর প্রভাবের কারণেও অভিবাসীদের সংখ্যা বাড়ন্ত।

এ অবস্থায় দক্ষ কর্মীদের জন্যও বেড়েছে সমস্যা। স্বল্প ও অদক্ষ কর্মীদের অবস্থা আরও বেগতিক হবে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা।