০৯:৩৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবন বাঁচাতে রাফা ছেড়েছেন ৮ লাখ ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরু করার পর জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আট লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিওএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। খবর আলজাজিরার।

ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনিরা নিরাপত্তার আশায় ইউএনআরডব্লিওএর আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার পালিয়ে গেছেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা তারা পাননি।’

লাজারিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার কারণে মানুষ যখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যান, তখন তারা প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হন। প্রতিটা সময় তাদের সহায়সম্বল যেমন, মাদুর বা চাদর, তাঁবু, রান্নার সরঞ্জাম ইত্যাদি নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করেন। প্রতিবার আকস্মিকভাবে তাদের একেবারে শূন্য থেকে আবার সবকিছু শুরু করতে হয়।’

এদিকে গতকাল শনিবার শুধু রাফাতেই নয়, পুরো গাজায় প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে হামাস যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে। সংঘাতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আলজাজিরা অ্যারাবিকের প্রতিনিধি ইসমাইল আলঘৌল শনিবার জানান, গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলার পর কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ৪০টি মরদেহ আনা হয়।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রাফা শহরের উত্তরে খান ইউনিসে ইসরায়েলের বোমা হামলায় চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় মারা গেছেন আরও তিনজন ফিলিস্তিনি।

যুদ্ধ শুরুর দিকে ইসরায়েল গাজার বেসামরিক লোকদের প্রথমে উপত্যকার দক্ষিণ অংশে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়, কেননা তারা আক্রমণ শুরু করেছিল ভূখণ্ডটির উত্তর দিক থেকে। তখন গাজাবাসী উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নেন আর কিছু মানুষ ছুটে যান দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিস শহরে। এরপরও ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মুখে আরও দক্ষিণে রাফা শহরে গিয়ে আশ্রয় নেন লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ। এখন আবার সেই রাফা থেকে জীবন বাঁচাতে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ছুটছেন ফিলিস্তিনিরা।

জীবন বাঁচাতে রাফা ছেড়েছেন ৮ লাখ ফিলিস্তিনি : জাতিসংঘ

আপডেট : ০১:৪৬:২৪ অপরাহ্ন, রোববার, ১৯ মে ২০২৪

যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজা উপত্যকার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর রাফায় ইসরায়েলি বাহিনী হামলা শুরু করার পর জীবন বাঁচাতে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে আট লাখেরও বেশি ফিলিস্তিনি পালাতে বাধ্য হয়েছেন। গতকাল শনিবার (১৮ মে) এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানিয়েছেন ফিলিস্তিনি শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করা জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিওএ’র প্রধান ফিলিপ লাজারিনি। খবর আলজাজিরার।

ফিলিপ লাজারিনি বলেন, ‘গাজায় যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর ফিলিস্তিনিরা নিরাপত্তার আশায় ইউএনআরডব্লিওএর আশ্রয়কেন্দ্রসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার পালিয়ে গেছেন, কিন্তু কাঙ্ক্ষিত নিরাপত্তা তারা পাননি।’

লাজারিনি বলেন, ‘নিরাপত্তাহীনতার কারণে মানুষ যখন এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় যান, তখন তারা প্রতিকূল পরিস্থিতির শিকার হন। প্রতিটা সময় তাদের সহায়সম্বল যেমন, মাদুর বা চাদর, তাঁবু, রান্নার সরঞ্জাম ইত্যাদি নিয়ে তারা যাত্রা শুরু করেন। প্রতিবার আকস্মিকভাবে তাদের একেবারে শূন্য থেকে আবার সবকিছু শুরু করতে হয়।’

এদিকে গতকাল শনিবার শুধু রাফাতেই নয়, পুরো গাজায় প্রচণ্ড লড়াই হয়েছে হামাস যোদ্ধা ও ইসরায়েলি সেনাদের মধ্যে। সংঘাতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৩ জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন বলে জানিয়েছে গাজার হামাস নিয়ন্ত্রিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

আলজাজিরা অ্যারাবিকের প্রতিনিধি ইসমাইল আলঘৌল শনিবার জানান, গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলের হামলার পর কামাল আদওয়ান হাসপাতালে ৪০টি মরদেহ আনা হয়।

ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, রাফা শহরের উত্তরে খান ইউনিসে ইসরায়েলের বোমা হামলায় চারজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে হামলায় মারা গেছেন আরও তিনজন ফিলিস্তিনি।

যুদ্ধ শুরুর দিকে ইসরায়েল গাজার বেসামরিক লোকদের প্রথমে উপত্যকার দক্ষিণ অংশে সরে যাওয়ার নির্দেশ দেয়, কেননা তারা আক্রমণ শুরু করেছিল ভূখণ্ডটির উত্তর দিক থেকে। তখন গাজাবাসী উপত্যকার মধ্যাঞ্চলে আশ্রয় নেন আর কিছু মানুষ ছুটে যান দক্ষিণাঞ্চল খান ইউনিস শহরে। এরপরও ইসরায়েলের অব্যাহত হামলার মুখে আরও দক্ষিণে রাফা শহরে গিয়ে আশ্রয় নেন লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ। এখন আবার সেই রাফা থেকে জীবন বাঁচাতে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে ছুটছেন ফিলিস্তিনিরা।