ঢাকা ১০:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আগ্রাসী গতিতে ইউক্রেন দখল করছে রাশিয়া

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪
  • / ৩৮২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৩ সালের শেষ ৬ মাসে ইউক্রেনের দখলে নেয়া অঞ্চলের চেয়েও বেশি অঞ্চল মাত্র ৬ সপ্তাহে দখলে নিয়েছে রাশিয়া। খারকিভে হামলা চালালেও শহরটি দখলের পরিকল্পনা নেই মস্কোর। এদিকে পুতিনের অভিযোগ, শান্তি আলোচনার নামে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইউক্রেন।

গেল বছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বে ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। শীতকালীন এই অভিযানে মস্কোর সেনাদের হাত থেকে বেশকিছু এলাকা দখলমুক্ত করে কিয়েভ। তবে চলতি বছর পাল্টেছে দৃশ্যপট। ইউক্রেনের মাটি পুনর্দখল করছে রাশিয়া।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরে ৫১৫ কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করে ইউক্রেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমারা কিয়েভকে সরবরাহ করে ১ হাজার ৫০০ এর বেশি সাঁজোয়া যান। চলতি বছর রাশিয়া পুর্নদখল করে ইউক্রেনের ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকা। যার অর্ধেকই এসেছে গেল ৬ সপ্তাহের যুদ্ধে। ফলে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের অভিযান।

গেল সপ্তাহে ইউক্রেনের ১২টি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। বর্তমানে অগ্রসর হচ্ছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের দিকে। তবে যুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করা মার্কিন সংস্থা স্ট্যাডি অফ ওয়ারের মতে, শহরটি দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। মূলত নতুন ফ্রন্ট খোলার মাধ্যমে কিয়েভের সব সংরক্ষিত সেনাকে মাঠে নামাতে চাচ্ছে মস্কো। এতে দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সুযোগে সম্মুখসারি থেকে পুরোদমে হামলা চালানোর সুযোগ পাবে রুশ সেনারা।

পশ্চিমাদের প্রভাবে কিয়েভ আলোচনার বদলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। চীন সফরে এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানান, ২০২২ এর ডিসেম্বরে আলোচনার কথায় রুশ সেনারা পিছু হটলে বিশ্বাসঘাতকতা করে জেলেনস্কি প্রশাসন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ওরা বিশ্বাসঘাতক। আলোচনার কথায় আমাদের সেনারা পিছু হটলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু করে। জেলেনস্কি কখনোই শান্তি আলোচনা চায়নি। পশ্চিমাদের মদদে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে আমরা কখনও শান্তি আলোচনায় বাধা দেইনি।’

এদিকে ইউক্রেনের দেড় লক্ষাধিক সেনাকে প্রশিক্ষণের জন্য দেশটিতে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর দ্বারপ্রান্তে ন্যাটো। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। যদিও নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রশিক্ষক পাঠানোর বিষয়ে অনাগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।

নিউজটি শেয়ার করুন

আগ্রাসী গতিতে ইউক্রেন দখল করছে রাশিয়া

আপডেট সময় : ০২:৪৯:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ মে ২০২৪

২০২৩ সালের শেষ ৬ মাসে ইউক্রেনের দখলে নেয়া অঞ্চলের চেয়েও বেশি অঞ্চল মাত্র ৬ সপ্তাহে দখলে নিয়েছে রাশিয়া। খারকিভে হামলা চালালেও শহরটি দখলের পরিকল্পনা নেই মস্কোর। এদিকে পুতিনের অভিযোগ, শান্তি আলোচনার নামে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইউক্রেন।

গেল বছরের দ্বিতীয়ার্ধ্বে ঘোষণা দিয়ে রাশিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা আক্রমণ শুরু করে ইউক্রেন। শীতকালীন এই অভিযানে মস্কোর সেনাদের হাত থেকে বেশকিছু এলাকা দখলমুক্ত করে কিয়েভ। তবে চলতি বছর পাল্টেছে দৃশ্যপট। ইউক্রেনের মাটি পুনর্দখল করছে রাশিয়া।

মার্কিন সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, ২০২৩ সালের জুন থেকে ডিসেম্বরে ৫১৫ কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করে ইউক্রেন। এ সময় যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমারা কিয়েভকে সরবরাহ করে ১ হাজার ৫০০ এর বেশি সাঁজোয়া যান। চলতি বছর রাশিয়া পুর্নদখল করে ইউক্রেনের ১ হাজার ৪০০ কিলোমিটারের বেশি এলাকা। যার অর্ধেকই এসেছে গেল ৬ সপ্তাহের যুদ্ধে। ফলে কার্যত ব্যর্থ হয়েছে ইউক্রেনের পাল্টা আক্রমণের অভিযান।

গেল সপ্তাহে ইউক্রেনের ১২টি অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে রাশিয়া। বর্তমানে অগ্রসর হচ্ছে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর খারকিভের দিকে। তবে যুদ্ধ নিয়ে গবেষণা করা মার্কিন সংস্থা স্ট্যাডি অফ ওয়ারের মতে, শহরটি দখলের কোনো পরিকল্পনা নেই রাশিয়ার। মূলত নতুন ফ্রন্ট খোলার মাধ্যমে কিয়েভের সব সংরক্ষিত সেনাকে মাঠে নামাতে চাচ্ছে মস্কো। এতে দুর্বল প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার সুযোগে সম্মুখসারি থেকে পুরোদমে হামলা চালানোর সুযোগ পাবে রুশ সেনারা।

পশ্চিমাদের প্রভাবে কিয়েভ আলোচনার বদলে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। চীন সফরে এমন মন্তব্য করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। জানান, ২০২২ এর ডিসেম্বরে আলোচনার কথায় রুশ সেনারা পিছু হটলে বিশ্বাসঘাতকতা করে জেলেনস্কি প্রশাসন।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন বলেন, ‘ওরা বিশ্বাসঘাতক। আলোচনার কথায় আমাদের সেনারা পিছু হটলে ইউক্রেন যুদ্ধ শুরু করে। জেলেনস্কি কখনোই শান্তি আলোচনা চায়নি। পশ্চিমাদের মদদে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। উল্টোদিকে আমরা কখনও শান্তি আলোচনায় বাধা দেইনি।’

এদিকে ইউক্রেনের দেড় লক্ষাধিক সেনাকে প্রশিক্ষণের জন্য দেশটিতে সামরিক প্রশিক্ষক পাঠানোর দ্বারপ্রান্তে ন্যাটো। নিউইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে জানানো হয়, ব্রিটেন, ফ্রান্স ও জার্মানি এ সম্পর্কিত একটি প্রস্তাব তৈরি করেছে। যদিও নিরাপত্তা শঙ্কায় প্রশিক্ষক পাঠানোর বিষয়ে অনাগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।