ইরানের অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হিসেবে মোহাম্মদ মোখবেরের নাম অনুমোদন করেছেন দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি। তিনি দুই মাস এ দায়িত্ব পালন করবেন।
ইরানের সংবিধান অনুযায়ী, আগামী ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন করতে হবে।
ইরানের সংবিধানের ১৩১ নম্বর ধারায় বলা হয়েছে: মৃত্যু, বরখাস্ত, পদত্যাগ কিংবা অসুস্থতা বা অন্য কোনো কারণে প্রেসিডেন্ট দুই মাসের বেশি অনুপস্থিত থাকলে অথবা প্রেসিডেন্টের মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর কোনো কারণে নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে দেরি হলে সর্বোচ্চ নেতার অনুমোদনক্রম প্রথম ভাইস প্রেসিডেন্ট তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন। এরপর ভাইস প্রেসিডেন্ট, পার্লামেন্ট স্পিকার ও বিচার বিভাগের প্রধানের সমন্বয়ে গঠিত পরিষদ পরবর্তী ৫০ দিনের মধ্যে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে।
বর্তমানে ইরানের ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মাদ মোখবের। গতকাল হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার খবর প্রচারিত হওয়ার পরপরই তার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক হয়েছে। সর্বোচ্চ নেতা অনুমোদন করেছেন এখন তিনি আগামী ৫০ দিনের জন্য প্রেসিডেন্টের দায়িত্ব পালন করবেন। এরপর নির্বাচিত প্রেসিডেন্টের হাতে চলে যাবে রাষ্ট্রের দায়িত্বভার।
এখন প্রেসিডেন্ট রায়িসির নিহত হবার পর ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান উদ্ভূত পরিস্থিতি কীভাবে মোকাবিলা করে এবং গত প্রায় পাঁচ দশকের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে কীভাবে সামনের দিকে এগিয়ে যায় সেটাই এখন দেখার বিষয়। তবে বাস্তবতা হচ্ছে, ইরান বিগত বছরগুলোতে এর চেয়েও কঠিন সময় খুব ভালোভাবে পার করে এসেছে এবং নিজের বয়সের পূর্ণতা প্রমাণ করেছে। যেমনটি প্রবাদে বলা হয়েছে, “যা তোমাকে হত্যা করতে পারবে না তা তোমাকে শক্তিশালী করবে।