১১:২৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চরম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে প্রায় ১৫ ঘণ্টা অনুসন্ধান কাজ চালানোর পর আজ (সোমবার) সকাল ৭টা নাগাদ ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া য়ায়। প্রাপ্ত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ঘন পাহাড়ি জঙ্গলে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। হেলিকপ্টারের লেজের একটি অংশ ছাড়া বাকি পুরো অংশ আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, রোববার উত্তর-পশ্চিম ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে।

অন্যদিকে আল জাজিরাও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদুল্লাহিয়ান-সহ হেলিকপ্টারে থাকা অন্যরা মারা গেছেন বলে একাধিক ইরানি সংবাদ সংস্থা নিশ্চিত করেছে।

যদিও আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ ও সংবাদ সংস্থা তাসনিম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছিল, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।

গতকাল (রোববার) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রায়িসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। প্রেসিডেন্ট গতকাল সকালে তেহরান থেকে বিমানে করে তাবরিজে পৌঁছান এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জলাধার উদ্বোধনের স্থানে পৌঁছেন।

হেলিকপ্টারটিতে যারা ছিলেন: ওই হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। হেলিকপ্টারের মোট ৯ আরোহীর বাকি পাঁচ আরোহী হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ মেহদি মুসাভি (প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী), আনসারুল মাহদি বাহিনীর এক সদস্য (পরিচয় জানা যায়নি), পাইলট (পরিচয় জানা যায়নি), কো-পাইলট (পরিচয় জানা যায়নি), ক্রু (পরিচয় জানা যায়নি)।

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট রাইসি ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী নিহত

আপডেট : ১২:৩৮:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ মে ২০২৪

হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আব্দুল্লাহিয়ান। ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ইরানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে সোমবার (২০ মে) এই তথ্য জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম বিবিসি ও আল জাজিরা।

দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় চরম দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যে প্রায় ১৫ ঘণ্টা অনুসন্ধান কাজ চালানোর পর আজ (সোমবার) সকাল ৭টা নাগাদ ইরানের প্রেসিডেন্ট সাইয়্যেদ ইব্রাহিম রায়িসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পাওয়া য়ায়। প্রাপ্ত ছবি ও ভিডিওতে দেখা যায়, ঘন পাহাড়ি জঙ্গলে হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ পড়ে রয়েছে। হেলিকপ্টারের লেজের একটি অংশ ছাড়া বাকি পুরো অংশ আগুনে পুড়ে ভস্মিভূত হয়েছে।

বিবিসি বলছে, রোববার উত্তর-পশ্চিম ইরানে হেলিকপ্টার দুর্ঘটনায় প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান এবং আরও কয়েকজন নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করা হয়েছে বলে রাষ্ট্রীয় টিভি জানিয়েছে।

অন্যদিকে আল জাজিরাও জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট রাইসি এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির-আবদুল্লাহিয়ান-সহ হেলিকপ্টারে থাকা অন্যরা মারা গেছেন বলে একাধিক ইরানি সংবাদ সংস্থা নিশ্চিত করেছে।

যদিও আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ ও সংবাদ সংস্থা তাসনিম প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিসহ অন্যদের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছে।

এর আগে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টার দুর্ঘটনার কবলে পড়ার বেশ লম্বা সময় পর অবশেষে উদ্ধারকারীরা রাইসির হেলিকপ্টার খুঁজে পান। তবে ইরানের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা আইআরআইএনএন এবং আধা-সরকারি বার্তা সংস্থা মেহর নিউজ জানিয়েছিল, ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসিকে বহনকারী হেলিকপ্টারটির দুর্ঘটনাস্থলে ‘কোনও জীবিত ব্যক্তি’ পাওয়া যায়নি।

গতকাল (রোববার) আজারবাইজানের সীমান্তবর্তী এলাকায় দুই দেশের যৌথভাবে নির্মিত একটি বাঁধ উদ্বোধন করতে যান ইব্রাহিম রায়িসি। সেখানে আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভও ছিলেন। সেখান থেকে তিনটি হেলিকপ্টারের বহর নিয়ে ইরানের পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের রাজধানী তাবরিজে ফিরছিলেন ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গে থাকা অন্য কর্মকর্তারা।

পথে পূর্ব আজারবাইজানের জোলফা এলাকার কাছে দুর্গম পাহাড়ে প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারটি বিধ্বস্ত হয়। অন্য দুটি হেলিকপ্টার নিরাপদে গন্তব্যে পৌঁছায়। প্রেসিডেন্ট গতকাল সকালে তেহরান থেকে বিমানে করে তাবরিজে পৌঁছান এবং সেখান থেকে হেলিকপ্টারে করে জলাধার উদ্বোধনের স্থানে পৌঁছেন।

হেলিকপ্টারটিতে যারা ছিলেন: ওই হেলিকপ্টারে প্রেসিডেন্ট রায়িসি ছাড়াও পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির-আব্দুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের গভর্নর মালেক রাহমাতি এবং এই প্রদেশে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার মুখপাত্র আয়াতুল্লাহ মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম ছিলেন। হেলিকপ্টারের মোট ৯ আরোহীর বাকি পাঁচ আরোহী হলেন- ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইয়্যেদ মেহদি মুসাভি (প্রেসিডেন্টের দেহরক্ষী), আনসারুল মাহদি বাহিনীর এক সদস্য (পরিচয় জানা যায়নি), পাইলট (পরিচয় জানা যায়নি), কো-পাইলট (পরিচয় জানা যায়নি), ক্রু (পরিচয় জানা যায়নি)।