দ্বিতীয় দিনের মতো শুরু হয়েছে নিহত ইরানি প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি ও তার সঙ্গীদের শেষকৃত্য অনুষ্ঠান। বুধবার সকালে ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে তাদের আরেক দফা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইমামতি করেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ খামেনি।
ইউনিভার্সিটি অব তেহরানে অনুষ্ঠিত এই জানাজায় অংশ নেয় সর্বস্তরের মানুষ। এরপর আজাদি চত্বরের পথে একটি শোকযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। এতেও যোগ নেন অগণিত শোকার্ত জনতা।
এর আগে, মঙ্গলবার তাবরিজ এবং কোম শহরে নিহতদের পৃথক জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। রাতে মরদেহগুলো নিয়ে যাওয়া হয় তেহরানের গ্রান্ড মোসাল্লায়।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুরে উত্তর-পূর্ব ইরানের পবিত্র শহর মাশহাদে দাফন করা হবে ইব্রাহিম রাইসিকে। ওই শহরেই ইমাম রেজা (আ.)-এর মাজার অবস্থিত।
রোববার আজারবাইজানের সীমান্তের কাছে দুটি বাঁধ উদ্বোধন করেন প্রেসিডেন্ট রাইসি। এরপর হেলিকপ্টারে চড়ে ইরানের উত্তর-পশ্চিমের তাবরিজ শহরের দিকে যাচ্ছিলেন তিনি ও তার সহযাত্রীরা। পথিমধ্যে পাহাড়ি এলাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে তাদের বহনকারী হেলিকপ্টারটি। সোমবার সকালে পূর্ব আজারবাইজান প্রদেশের পাহাড়ি ও তুষারাবৃত এলাকায় ইরানি প্রেসিডেন্টকে বহনকারী হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ খুঁজে পায় অনুসন্ধানী দল।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানানো হয়, সেখানে প্রাণের কোনো চিহ্ন নেই। পুরো হেলিকপ্টার ভস্মীভূত হয়ে গেছে। এই দুর্ঘটনায় নিহত হন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি, পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমিরাবদুল্লাহিয়ান, পূর্ব আজারবাইজানের গভর্নর মালেক রহমাতি, পূর্ব আজারবাইজানে ইরানের সর্বোচ্চ নেতার প্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী আলে-হাশেম, প্রেসিডেন্ট গার্ডের প্রধান মেহেদি মুসাভি। প্রাণ হারিয়েছেন হেলিকপ্টারের পাইলট, কো-পাইলটও।