১১:১৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আয়ারল্যান্ড

আয়ারল্যান্ড সরকার বুধবার (২২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থ্য গার্ডিয়ানের বুধবারের (২২ মে) প্রতিদেবনে এই তথ্য জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আয়ারল্যান্ড মাসের শেষ নাগাদ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে ইঙ্গিত দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশের নেতারা স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (০৭০০ জিএমটি) একটি সংবাদ সম্মেলন যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম আরটিই এবং আইরিশ টাইমস উভয়ই রিপোর্ট করেছে যে, সিদ্ধান্তটি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হবে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গত সপ্তাহে বলেছেন, তিনি বুধবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করবেন। এরপরেই আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস, উপপ্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এবং মন্ত্রী ইমন রায়ানের প্রত্যাশিত ঘোষণাটি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সানচেজ মার্চ মাসে বলেছিলেন, স্লোাভেনিয়া এবং মাল্টার সাথে স্পেন এবং আয়ারল্যান্ড ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দিকে তাদের প্রথম পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে। তারা স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে অপরিহার্য মনে করে।

তবে, আয়ারল্যান্ডের এমন ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রন্ত্রনালয় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে তা আপনাকে ইরান এবং হামাসের হাতে একটি দাবার গুটিতে পরিণত করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’ এতে আরো বলা হয়, এই পদক্ষেপ ‘কেবলমাত্র চরমপন্থা এবং অস্থিতিশীলতাকে প্রজ্জ্বলিত করবে’।

ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বীকৃতির পরিকল্পনা একটি ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার’ যা গাজা যুদ্ধে একটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেবে।

কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের ইসরায়েলি প্রতিবেশীদের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার শেষ প্রক্রিয়া হিসাবে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশিরভাগ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ বলেছে, তারা একদিন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক। তবে চূড়ান্ত সীমানা এবং জেরুজালেমের অবস্থার (নিয়ন্ত্রন কিভাবে হবে) মতো কঠিন বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে নয়।

কিন্তু হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা এবং গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানের পর কূটনীতিকরা বিতর্কিত ধারণাগুলো পুনর্বিবেচনা করছেন।

পশ্চিম ইউরোপে প্রথম ইইউ সদস্য হিসেবে সুইডেন ২০১৪ সালে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। সুইডেনে একটি বৃহৎ ফিলিস্তিনি সম্প্রদায় রয়েছে।

এটি এর আগে ছয়টি ইউরোপীয় দেশ বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।

ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি দেবে আয়ারল্যান্ড

আপডেট : ০২:৪১:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ২২ মে ২০২৪

আয়ারল্যান্ড সরকার বুধবার (২২ মে) আনুষ্ঠানিকভাবে ফিলিস্তিনকে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার দিকে অগ্রসর হবে বলে আশা করা হচ্ছে। আন্তর্জাতিক সংবাদসংস্থ্য গার্ডিয়ানের বুধবারের (২২ মে) প্রতিদেবনে এই তথ্য জানিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।

আয়ারল্যান্ড মাসের শেষ নাগাদ ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেবে বলে ইঙ্গিত দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশের নেতারা স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় (০৭০০ জিএমটি) একটি সংবাদ সম্মেলন যোগ দেয়ার কথা রয়েছে।

জাতীয় সম্প্রচার মাধ্যম আরটিই এবং আইরিশ টাইমস উভয়ই রিপোর্ট করেছে যে, সিদ্ধান্তটি সংবাদ সম্মেলনে ঘোষণা করা হবে।

স্পেনের প্রধানমন্ত্রী পেদ্রো সানচেজ গত সপ্তাহে বলেছেন, তিনি বুধবার ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার তারিখ ঘোষণা করবেন। এরপরেই আইরিশ প্রধানমন্ত্রী সাইমন হ্যারিস, উপপ্রধানমন্ত্রী মাইকেল মার্টিন এবং মন্ত্রী ইমন রায়ানের প্রত্যাশিত ঘোষণাটি দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

সানচেজ মার্চ মাসে বলেছিলেন, স্লোাভেনিয়া এবং মাল্টার সাথে স্পেন এবং আয়ারল্যান্ড ইসরায়েলের পাশাপাশি একটি ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতির দিকে তাদের প্রথম পদক্ষেপ নিতে সম্মত হয়েছে। তারা স্থায়ী শান্তির জন্য দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানকে অপরিহার্য মনে করে।

তবে, আয়ারল্যান্ডের এমন ঘোষণায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক্স-এ ইসরায়েলের পররাষ্ট্র মন্ত্রন্ত্রনালয় একটি ভিডিও বার্তা পোস্ট করে সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিলে তা আপনাকে ইরান এবং হামাসের হাতে একটি দাবার গুটিতে পরিণত করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ হবে।’ এতে আরো বলা হয়, এই পদক্ষেপ ‘কেবলমাত্র চরমপন্থা এবং অস্থিতিশীলতাকে প্রজ্জ্বলিত করবে’।

ইসরায়েল বলেছে, ফিলিস্তিনি স্বীকৃতির পরিকল্পনা একটি ‘সন্ত্রাসবাদের জন্য পুরস্কার’ যা গাজা যুদ্ধে একটি আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের সম্ভাবনাকে কমিয়ে দেবে।

কয়েক দশক ধরে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রের আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি ফিলিস্তিনিদের এবং তাদের ইসরায়েলি প্রতিবেশীদের মধ্যে শান্তি প্রক্রিয়ার শেষ প্রক্রিয়া হিসাবে দেখা হচ্ছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বেশিরভাগ পশ্চিম ইউরোপীয় দেশ বলেছে, তারা একদিন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিতে ইচ্ছুক। তবে চূড়ান্ত সীমানা এবং জেরুজালেমের অবস্থার (নিয়ন্ত্রন কিভাবে হবে) মতো কঠিন বিষয়ে চুক্তিতে পৌঁছানোর আগে নয়।

কিন্তু হামাসের ৭ অক্টোবরের হামলা এবং গাজায় ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক অভিযানের পর কূটনীতিকরা বিতর্কিত ধারণাগুলো পুনর্বিবেচনা করছেন।

পশ্চিম ইউরোপে প্রথম ইইউ সদস্য হিসেবে সুইডেন ২০১৪ সালে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়। সুইডেনে একটি বৃহৎ ফিলিস্তিনি সম্প্রদায় রয়েছে।

এটি এর আগে ছয়টি ইউরোপীয় দেশ বুলগেরিয়া, সাইপ্রাস, চেক প্রজাতন্ত্র, হাঙ্গেরি, পোল্যান্ড এবং রোমানিয়া ফিলিস্তিন রাষ্ট্রের স্বীকৃতি দেয়।