ঢাকা ১১:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪
  • / ৪২২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

আসছে কোরবানির ঈদ। সব সময় ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়ে। এছাড়া, ডলার রেট বাড়ায় রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২১ মে পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫ মে গ্রস রিজার্ভ নেমেছিল ২৩ দশমিক ৭২ ‍বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন।

তবে, বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৩ দশ‌মিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন মন্দ সূচকে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।

নিউজটি শেয়ার করুন

দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বেড়েছে

আপডেট সময় : ১০:০৩:৪৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ মে ২০২৪

আসছে কোরবানির ঈদ। সব সময় ঈদের আগে স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় রেমিট্যান্স বা প্রবাসী আয় বাড়ে। এছাড়া, ডলার রেট বাড়ায় রপ্তানি আয়ও বাড়ছে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সঞ্চয় বা রিজার্ভ কিছুটা বেড়েছে। তবে, ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ এখনো ১৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করতে পারেনি।

বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪ হাজার ৮০০ কোটি ডলার (৪৮ বিলিয়ন)। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, ২১ মে পর্যন্ত গ্রস রিজার্ভ ২৪ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) শর্ত অনুযায়ী বিপিএম-৬ ম্যানুয়াল অনুযায়ী গ্রস রিজার্ভ ১৮ দশমিক ৬ বিলিয়ন। গত সপ্তাহে অর্থাৎ ১৫ মে গ্রস রিজার্ভ নেমেছিল ২৩ দশমিক ৭২ ‍বিলিয়ন এবং বিপিএম-৬ ছিল ১৮ দশমিক ৩০ বিলিয়ন।

তবে, বাইরে বাংলাদেশ ব্যাংকের নিট বা প্রকৃত রিজার্ভের আরেকটি হিসাব রয়েছে, যা শুধু আইএমএফকে দেওয়া হয়, প্রকাশ করা হয় না। সেখানে আইএমএফের এসডিআর খাতে থাকা ডলার, ব্যাংকগুলোর বৈদেশিক মুদ্রা ক্লিয়ারিং হিসাবে থাকা বৈদেশিক মুদ্রা এবং আকুর বিল বাদ দিয়ে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভের হিসাব করা হয়। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, সেই হিসাবে দেশের ব্যয়যোগ্য প্রকৃত রিজার্ভ এখন ১৩ দশ‌মিক ৯৮ বিলিয়ন ডলার। প্রতি মাসে ৫ বিলিয়ন ডলার হিসেবে এ রিজার্ভ দিয়ে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সক্ষমতা নেই। সাধারণত একটি দেশের ন্যূনতম ৩ মাসের আমদানি খরচের সমান রিজার্ভ থাকতে হয়। সেই মানদণ্ডে বাংলাদেশ এখন মন্দ সূচকে রয়েছে। একটি দেশের অর্থনীতির অন্যতম সূচক হল বৈদেশিক মুদ্রার মজুত বা রিজার্ভ।