১১:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৯ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ল্যাবে নতুন ভাইরাস বানাল চীনারা, করোনার চেয়ে ভয়াবহ

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা দেখেছে বিশ্ব। আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ অভিযোগ করেছিল, এই ভাইরাস চীনের ল্যাবে বানানো হয়েছে। যদিও এর কোনো প্রমাণ নেই। চীনও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার জানা গেল, চীনারা ল্যাবে নতুন একটি ভাইরাস বানিয়েছে। এটি করোনার চেয়েও ভয়াবহ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ভয়ঙ্কর ইবোলা ভাইরাসের একটি অংশ নিয়ে ল্যাবে একটি রোগ ও তার লক্ষণ জানতে এই গবেষণা চালান চীনা বিজ্ঞানীরা।

হেবেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করা এই গবেষণার ফল এরই মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী সায়েন্স ডিরেক্টে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া চীনা জার্নাল ভাইরোলজিকা সিনিকায় চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রকাশিত হয়েছে।

চীনা গবেষকেরা বলছেন, ল্যাবে বানানো প্রাণঘাতী ভাইরাসটি একদল হ্যামস্টারের (ইঁদুর জাতীয় প্রাণী) দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। এই ভাইরাস প্রবেশ করানোর তিনদিনের মধ্যেই সবগুলো হ্যামস্টার মারা যায়।

ইবোলা হলে মানুষের দেহে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, এসব হ্যামস্টারের দেহেও সেগুলো দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, দেহের বেশকিছু অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া।

এই গবেষণার জন্য গবাদিপশুর দেহে আক্রমণ করে এমন একটি সংক্রামক রোগ বেছে নেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এরপর এর সঙ্গে যুক্ত করেন ইবোলা ভাইরাসে পাওয়া প্রোটিন। আর এই প্রোটিন দিয়েই দেহের কোষে আক্রমণ করা সম্ভব হয় এবং রোগটি দ্রুত পুরো দেহে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনাভাইরাস ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে—এমন অভিযোগ সামনে আনা হলে গবেষকেরা বলেন, ল্যাবে তারা রোগ নিয়ে গবেষণা করেছেন। এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে মডেল দাঁড় করাতে চান।

ল্যাবে নতুন ভাইরাস বানাল চীনারা, করোনার চেয়ে ভয়াবহ

আপডেট : ১১:০৫:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৪ মে ২০২৪

করোনাভাইরাসের ভয়াবহতা দেখেছে বিশ্ব। আমেরিকাসহ বেশ কয়েকটি দেশ অভিযোগ করেছিল, এই ভাইরাস চীনের ল্যাবে বানানো হয়েছে। যদিও এর কোনো প্রমাণ নেই। চীনও এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। এবার জানা গেল, চীনারা ল্যাবে নতুন একটি ভাইরাস বানিয়েছে। এটি করোনার চেয়েও ভয়াবহ।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইল বলছে, ভয়ঙ্কর ইবোলা ভাইরাসের একটি অংশ নিয়ে ল্যাবে একটি রোগ ও তার লক্ষণ জানতে এই গবেষণা চালান চীনা বিজ্ঞানীরা।

হেবেই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে করা এই গবেষণার ফল এরই মধ্যে বিজ্ঞানভিত্তিক সাময়িকী সায়েন্স ডিরেক্টে প্রকাশিত হয়েছে। এ ছাড়া চীনা জার্নাল ভাইরোলজিকা সিনিকায় চলতি মাসের প্রথম দিকে প্রকাশিত হয়েছে।

চীনা গবেষকেরা বলছেন, ল্যাবে বানানো প্রাণঘাতী ভাইরাসটি একদল হ্যামস্টারের (ইঁদুর জাতীয় প্রাণী) দেহে ইনজেকশনের মাধ্যমে প্রবেশ করানো হয়। এই ভাইরাস প্রবেশ করানোর তিনদিনের মধ্যেই সবগুলো হ্যামস্টার মারা যায়।

ইবোলা হলে মানুষের দেহে যেসব লক্ষণ দেখা যায়, এসব হ্যামস্টারের দেহেও সেগুলো দেখা গিয়েছিল। এর মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হলো, দেহের বেশকিছু অঙ্গ বিকল হয়ে যাওয়া।

এই গবেষণার জন্য গবাদিপশুর দেহে আক্রমণ করে এমন একটি সংক্রামক রোগ বেছে নেন চীনা বিজ্ঞানীরা। এরপর এর সঙ্গে যুক্ত করেন ইবোলা ভাইরাসে পাওয়া প্রোটিন। আর এই প্রোটিন দিয়েই দেহের কোষে আক্রমণ করা সম্ভব হয় এবং রোগটি দ্রুত পুরো দেহে ছড়িয়ে পড়ে।

করোনাভাইরাস ল্যাব থেকে ছড়িয়েছে—এমন অভিযোগ সামনে আনা হলে গবেষকেরা বলেন, ল্যাবে তারা রোগ নিয়ে গবেষণা করেছেন। এর মাধ্যমে রোগ প্রতিরোধে মডেল দাঁড় করাতে চান।