ঢাকা ০৮:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছে চাকরিজীবীরাও

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

পাকিস্তানে হঠাৎ সবকিছুর অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ। সবকিছু মিলে কঠিন চাপে আছেন ভোক্তরা। মূল্যস্ফীতি এখন সেখানকার মানুষের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাকরিজীবীরাও। বেঁচে থাকার তাগিদে কখনও কখনও প্রতারণা বা দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হচ্ছে তাদের।

মূল্যস্ফীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং লাহোরের বাসিন্দা আমজাদ ইকবাল বলেছেন, ‌’মূল্যস্ফীতির কারণে পাকিস্তানে একজন মানুষেরও আয় বাড়েনি। তবে মুদ্রাস্ফীতির কারণে ব্যবসায়ী শ্রেণির মানুষেরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কারণ, তারা মুনাফা বৃদ্ধি এবং হ্রাস করে তাদের আয় সমন্বয় করতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন নির্দিষ্ট মাসিক বেতনের চাকরিজীবীরা।’

তিনি বলেন, এই নির্দিষ্ট মাসিক আয়ের বেতনের চাকরিজীবীরা অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের কাছে অর্থ থাকলে তারাই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলে। বিভিন্ন উৎসবে তারা ব্যয় করে উৎপাদন চাঁকাকে সচল রাখে।

‘পাকিস্তানের অর্থনীতির এই অংশটিই এখন সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

কর জালিয়াতির বিষয়ে ইকবাল বলেন, ‘আমাদের জিডিপিতে কর থেকে আসা অর্থের অনুপাত খুব বেশি নয়। কারণ, আমরা সততার সঙ্গে ট্যাক্স পরিশোধ করি না। পাকিস্তানের প্রত্যেকেই তাদের কর বাঁচানোর চেষ্টা করে থাকে।’

‘ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীরাই ব্যাংকে টাকা রাখার পরিবর্তে ক্যাশ টাকা রাখে। কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের আয় গোপন করতে চায় এবং ট্যাক্স থেকে বাঁচতে চায়।’, বলেন তিনি।

পাকিস্তানে এসব সমস্যার পেছনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো- দেশটিতে স্পষ্ট কোনো শ্রম আইন নেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

পাকিস্তানে মূল্যস্ফীতি বাড়ায় হিমশিম খাচ্ছে চাকরিজীবীরাও

আপডেট সময় : ০৬:১৫:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

পাকিস্তানে হঠাৎ সবকিছুর অস্বাভাবিক দাম বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছে দেশটির সাধারণ মানুষ। সবকিছু মিলে কঠিন চাপে আছেন ভোক্তরা। মূল্যস্ফীতি এখন সেখানকার মানুষের বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমনকি সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন চাকরিজীবীরাও। বেঁচে থাকার তাগিদে কখনও কখনও প্রতারণা বা দুর্নীতির আশ্রয় নিতে হচ্ছে তাদের।

মূল্যস্ফীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ এবং লাহোরের বাসিন্দা আমজাদ ইকবাল বলেছেন, ‌’মূল্যস্ফীতির কারণে পাকিস্তানে একজন মানুষেরও আয় বাড়েনি। তবে মুদ্রাস্ফীতির কারণে ব্যবসায়ী শ্রেণির মানুষেরা খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি। কারণ, তারা মুনাফা বৃদ্ধি এবং হ্রাস করে তাদের আয় সমন্বয় করতে পারে। কিন্তু সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখোমুখি হচ্ছেন নির্দিষ্ট মাসিক বেতনের চাকরিজীবীরা।’

তিনি বলেন, এই নির্দিষ্ট মাসিক আয়ের বেতনের চাকরিজীবীরা অর্থনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং তারা ক্রমাগত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তাদের কাছে অর্থ থাকলে তারাই অর্থনীতিকে চাঙ্গা করে তোলে। বিভিন্ন উৎসবে তারা ব্যয় করে উৎপাদন চাঁকাকে সচল রাখে।

‘পাকিস্তানের অর্থনীতির এই অংশটিই এখন সবচেয়ে ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে মনে করেন তিনি।

কর জালিয়াতির বিষয়ে ইকবাল বলেন, ‘আমাদের জিডিপিতে কর থেকে আসা অর্থের অনুপাত খুব বেশি নয়। কারণ, আমরা সততার সঙ্গে ট্যাক্স পরিশোধ করি না। পাকিস্তানের প্রত্যেকেই তাদের কর বাঁচানোর চেষ্টা করে থাকে।’

‘ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ীরাই ব্যাংকে টাকা রাখার পরিবর্তে ক্যাশ টাকা রাখে। কারণ ব্যবসায়ীরা তাদের আয় গোপন করতে চায় এবং ট্যাক্স থেকে বাঁচতে চায়।’, বলেন তিনি।

পাকিস্তানে এসব সমস্যার পেছনে আরও গুরুত্বপূর্ণ কারণ হলো- দেশটিতে স্পষ্ট কোনো শ্রম আইন নেই।