ঢাকা ১০:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ১৭ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

আনারের মরদেহের পাশে বসেই খাবার খান হত্যাকারীরা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
  • / ৩৭২ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, কীভাবে তার মরদেহ গুম করার চেষ্টা চালানো হয়েছে— সেসব তথ্য এখন সামনে আসছে।

গত ১৩ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এমপি আনার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্ট শুক্রবার (২৪ মে) পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যা ও তার মরদেহ টুকরো টুকরো করার পর সেটির পাশে বসেই খাবার ও মদ খায় হত্যাকারীরা।

পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হত্যার পর আনারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমে নেওয়া হয়। সেখানেই বসে টুকরো টুকরো করা হয় তাকে। বাথরুমে যেন হত্যার কোনো আলামত না থাকে সেজন্য কয়েকবার পানি এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে এটি পরিষ্কার করা হয়।

এছাড়া রক্তের যেসব ছোপ ছোপ দাগ রুমে লেগেছিল সেগুলো মুছে ফেলতে পুরো ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করা হয়।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, আনারের মরদেহের বড় বড় হাড্ডি এবং মাথার খুলি টুকরো করার জন্য চাপাতির মতো কোনো কিছু ব্যবহার করা হয়। আর মরদেহটি টুকরো করার কাজ করে জিহাদ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। এই জিহাদ পেশায় একজন কসাই।

সংবাদমাধ্যম মিন্ট জানিয়েছে, কসাই জিহাদের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়। তিনি ভারতের মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে থাকতেন। হত্যার দুই মাস আগে তাকে কলকাতার নিউ টাউনে নিয়ে আসা হয়।

সফলভাবে হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করার পর কসাই জিহাদ মুম্বাই অথবা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তার অন্যান্য সহযোগীরা পারলেও তিনি পালাতে পারেননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আনারের মরদেহের পাশে বসেই খাবার খান হত্যাকারীরা

আপডেট সময় : ০৬:৩৮:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪

ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনারকে কীভাবে হত্যা করা হয়েছে, কীভাবে তার মরদেহ গুম করার চেষ্টা চালানো হয়েছে— সেসব তথ্য এখন সামনে আসছে।

গত ১৩ মে কলকাতার নিউ টাউনের একটি অভিজাত অ্যাপার্টমেন্টের ফ্ল্যাটে নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন এমপি আনার।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম মিন্ট শুক্রবার (২৪ মে) পুলিশের বরাতে জানিয়েছে, এমপি আনারকে হত্যা ও তার মরদেহ টুকরো টুকরো করার পর সেটির পাশে বসেই খাবার ও মদ খায় হত্যাকারীরা।

পুলিশের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, হত্যার পর আনারের মরদেহ ফ্ল্যাটের বাথরুমে নেওয়া হয়। সেখানেই বসে টুকরো টুকরো করা হয় তাকে। বাথরুমে যেন হত্যার কোনো আলামত না থাকে সেজন্য কয়েকবার পানি এবং ডিটারজেন্ট ব্যবহার করে এটি পরিষ্কার করা হয়।

এছাড়া রক্তের যেসব ছোপ ছোপ দাগ রুমে লেগেছিল সেগুলো মুছে ফেলতে পুরো ফ্ল্যাটটি পরিষ্কার করা হয়।

সংবাদমাধ্যমটি আরও জানিয়েছে, আনারের মরদেহের বড় বড় হাড্ডি এবং মাথার খুলি টুকরো করার জন্য চাপাতির মতো কোনো কিছু ব্যবহার করা হয়। আর মরদেহটি টুকরো করার কাজ করে জিহাদ হাওলাদার নামের এক ব্যক্তি। এই জিহাদ পেশায় একজন কসাই।

সংবাদমাধ্যম মিন্ট জানিয়েছে, কসাই জিহাদের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনায়। তিনি ভারতের মুম্বাইয়ে অবৈধভাবে থাকতেন। হত্যার দুই মাস আগে তাকে কলকাতার নিউ টাউনে নিয়ে আসা হয়।

সফলভাবে হত্যাকাণ্ড সম্পন্ন করার পর কসাই জিহাদ মুম্বাই অথবা বাংলাদেশে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু তার অন্যান্য সহযোগীরা পারলেও তিনি পালাতে পারেননি।