আনারের মাংসের ‘কিমা’ বানিয়ে কমোডে ফ্ল্যাশ করে খুনীরা
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৩৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৫ মে ২০২৪
- / ৩৮৯ বার পড়া হয়েছে
ধীরে ধীরে সামনে আসছে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আজীম (আনার) হত্যার বিষয়ে চাঞ্চল্যকর সব তথ্য। কিলিং মিশনে নেতৃত্ব দেয়া আমানুল্লাহ ওরফে শিমুল ভুইয়া জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এমপি আজীমকে ‘হানি ট্র্যাপে’ ফেলে ফ্ল্যাটে নেওয়ার পর ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করে প্রথমে তাকে অচেতন করা হয়। পরে বালিশচাপা দিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়। হত্যার পরে উল্লাসে মেতে উঠে তার মরদেহের পাশেই খুনীরা বসায় মদ ও হেরোইনের আসর।
শিমুল ভুইয়া জানায়, তাদের পরিকল্পনা ছিলো বেহুঁশ করার পরে হত্যার আগে সিলিস্তি রহমানের সঙ্গে এমপির নগ্ন ছবি তোলার। কিন্তু অতিমাত্রায় ক্লোরোফর্ম ব্যবহার করায় গভীরঘুমে অচেতন হয়ে পড়েন আনোয়ারুল। তাই ভেস্তে যায় সেই পরিকল্পনা। তাই সরাসরি বালিশচাপা দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে মরদেহের পাশেই মদ আর হেরোইন সেবন করে তারা।
পুরো কিলিং মিশনের নেতৃত্বে ছিলো সৈয়দ আমানুল্লাহ আমান ওরফে শিমুল ভূঁইয়া। গোয়েন্দা পুলিশকে সে জানায়, নেশাদ্রব্য সেবনের পরেই তারা শুরু করে মরদেহ থেকে মাংস ও হাড় আলাদা করা। এমপি আনারের মাংসের ‘কিমা’ বানিয়ে তা ফ্ল্যাশ করে দেয়া হয় টয়লেটের কমোডে। আর হাড় ও মাথার খুলি নেওয়া হয় বাইরে। সেগুলো ফেলা হয়েছে নিউটাউন এলাকা থেকে ১০ কিলোমিটার দূরত্বের হাতিশালার বর্জ্য খালে।
তদন্ত সংশ্লিষ্ট ডিবির একজন কর্মকর্তা জানান, এমপি আনোয়ারুলকে হত্যার বিস্তারিত বর্ণনা শুনে তারা নিজেরাই আঁতকে উঠেন। তার পুলিশি ক্যারিয়ারে অনেক খুনের ঘটনার বর্ণনা শুনেছেন, কিন্তু এত নৃশংস বর্ণনা কখনই শোনেননি।
এরপর প্রথমে আনোয়ারুলের মরদেহ গুমের জন্য হাড়-মাংস আলাদা করা হয়। হাড়-মাংস ট্রলি ব্যাগের মাধ্যমে বাইরে ফেলার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু পরবর্তী সময়ে মাংসগুলো ‘কিমা’ করে টয়লেটের কমোডে ফেলে ফ্ল্যাশ করা হয়। হাড় ও মাথার খুলি ট্রলিব্যাগে নিয়ে প্রথমে একটি শপিংমলের সামনে যায় সিয়াম। সেখান থেকে সিয়াম ও জিহাদ মিলে সেগুলো ফেলে দেয়।