ঘূর্ণিঝড় রিমালের শক্তি কমে নিম্নচাপে পরিণত
- আপডেট সময় : ১২:৪০:০৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
- / ৩৮৭ বার পড়া হয়েছে
কয়রা ও খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টি ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ১৯ নম্বর বিশেষ ও সিরিজের সর্বশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, কয়রা, খুলনায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে স্থল গভীর নিম্নচাপ হিসেবে বর্তমানে যশোর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত ঝরিয়ে স্থল নিম্নচাপে পরিণত হবে। এই অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরকে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।
অন্যদিকে, কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৯ নম্বর মহাবিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। এছাড়া উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার পাশাপাশি সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জলোচ্ছ্বাসের কারণে উপকূলীয় বিভিন্ন এলাকায় বেরিবাঁধ ভেঙে কিছু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। উপকূলীয় জেলাগুলোতে জলোচ্ছ্বাসের কারণে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে গেছে। সরকারি হিসেবে আট লক্ষাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিলেও আরও কয়ে লাখ মানুষ সহায় সম্বল নিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন।
ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলের বিভিন্ন এলাকার প্রায় ২৬ লাখ গ্রাহক বিদ্যুৎহীন হয়ে পড়েছে। উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে ঝোড়ো বাতাসে গাছ পড়ে দুর্ঘটনা এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রেখেছে পল্লী বিদ্যুৎ।