রিমালের প্রভাবে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন ২ কোটির বেশি মানুষ
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২২ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
- / ৩৯২ বার পড়া হয়েছে
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাসহ দেশের অনেক এলাকা বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এতে প্রায় আড়াই কোটি গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে অনেক এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ রাখা হয়েছে। কিছু কিছু এলাকায় গাছ পড়ে লাইন বিচ্ছিন্ন ও অনেক জায়গায় মোবাইল ফোনের নেটওয়ার্ক অচল হয়ে পড়েছে।
সোমবার (২৭ মে) দুপুরে গণমাধ্যমকে এসব তথ্য জানান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের সদস্য (পরিচালন ও বিতরণ) দেবাশীষ চক্রবর্তী।
তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রায় ২ কোটি ৩৫ লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক এলাকায় কাজ শুরু হয়েছে।
তিনি আরও জানান, আশা করছি, রাতের মধ্যেই বিদ্যুৎ সরবারহ স্বাভাবিক হবে। পাশাপাশি পশ্চিমাঞ্চল বিদ্যুৎ বিতরণ কোম্পানির ওজোপাডিকোর প্রায় দুই লাখ গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে।
ঢাকায় বিদ্যুৎ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা বলেছেন, দুর্ঘটনা এড়াতে আগে থেকেই উপকূলীয় কিছু এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। অনেক উপকূলীয় শহরে গাছ পড়ে এবং বিদ্যুতের লাইন ভেঙে যাওয়ায় বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটছে।
উপকূলীয় জেলা সাতক্ষীরার বাসিন্দা রাহাত রাজা বলেন, ‘‘রাত থেকে আমাদের এখানে কোনো বিদ্যুৎ নেই। যে কোনো সময় আমার মোবাইলের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যাবে। আল্লাহর রহমতে আমরা যতটা ভেবেছিলাম ঘূর্ণিঝড়টি ততটা সহিংস হয়নি।’’
বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) বলেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের তাণ্ডবের সময় ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে এসব গ্রাহকের বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে। ফলে অনেক এলাকা ১৬ থেকে ১৭ ঘণ্টা যাবৎ বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। ঝড় পুরোপুরি থেমে গেলে বিদ্যুৎ সংযোগ ফিরিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিয়ে অপেক্ষায় আছেন পল্লীবিদ্যুতের কর্মীরা।
বিতরণ কোম্পানির কর্মকর্তারা জানান, বিদ্যুতের খুঁটি উপড়ে, তার ছিঁড়ে এবং সঞ্চালন লাইনে গাছপালা ভেঙে পড়ে পড়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়েছে। এর ফলে মানুষ বিদ্যুৎহীন রয়েছে।
পিডিবির মুখপাত্র শামীম হাসান বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের সময় সারাদেশের অনেক বৈদ্যুতিক পোল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে-মূলত খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলে। ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণের পর আবারও বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করা হবে।