ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে তীব্র ঝড়ো হওয়া শুরু হয়েছে উপকূলীয় জেলা বাগেরহাটে। জেলার উপকূলীয় উপজেলা মোংলা, শরণখোলা, মোড়লগঞ্জে বাতাসের চাপ সবচেয়ে বেশি। রোববার (২৬ মে) রাতে দমকা হাওয়া বয়ে যায় পুরো জেলা জুড়ে।
বিকেল থেকেই থেমে থেমে বৃষ্টি ও বাতাস হলেও এখন তীব্র ঝড় হওয়ার কারণে আতঙ্ক আরও বেড়েছে স্থানীয়দের মাঝে। নদী তীরবর্তী বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা আশ্রয় নিয়েছে ঘুর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রগুলোতে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে রোববার সকাল থেকেই বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন জেলার অধিকাংশ এলাকা। এর মধ্যে মোড়েলগঞ্জ, শরণখোলা, মোংলা ও রামপাল উপজেলার প্রায় অধিকাংশ এলাকায় বিদ্যুৎ ছিল না সারাদিনই। অন্যান্য এলাকাতেও বিদ্যুৎ ছিল আশা যাওয়ার মাঝে। তবে জেলা সদরের পৌর শহরে রোববার রাত সাড়ে ১০টায়ও ওয়েস্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানির বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রেখেছে।
কিন্তু পল্লীবিদ্যুত সন্ধ্যা থেকে পুরোপুরি সরবরাহ বন্ধ রেখেছে। ঝড়ো হাওয়ায় বিদ্যুতের লাইনে গাছপালা উপড়ে পড়ায় এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছে বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি।
সমিতির মহাব্যবস্থাপক সুশান্ত রায় বলেন, বাগেরহাট জেলায় ৪ লাখ ৮৫ হাজারের বেশি গ্রাহক রয়েছে। ঝড়ের প্রভাবের দমকা ঝড়ো হাওয়ায় পল্লী বিদ্যুতের মূল সঞ্চালন লাইনের বিভিন্ন স্থানে গাছপালা উপড়ে পড়ায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিড়ে পড়েছে।
এতে কমবেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুর্যোগ শেষ হলে লাইনে কাজ করে বিদ্যুৎ সংযোগ পুনরায় চালু করা হবে বলে জানান তিনি।