পুরো শক্তি নিয়ে উপকূলীয় এলাকায় তাণ্ডব চালিয়েছে ঘূর্ণিঝড় রিমাল। রিমালের প্রভাবে সারাদেশেই বৃষ্টি পড়ে। এছাড়া উপকূলীয় এলাকাতে ঘর-বাড়ি ভেঙে পড়ে। অনেক এলাকাতে বিদ্যুৎ ও ইন্টারনেট সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। রিমালের প্রভাবে আগামীকাল মঙ্গলবার (২৮ মে) পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি এবং ঝোড়ো বাতাস বয়ে যাবে। এ সময় তাপমাত্রা কমে আসবে।
এদিকে, দেশের ১১ জেলার ওপর দিয়ে সর্বোচ্চ ৮৯ কিলোমিটার বেগে ঝড়সহ বজ্রবৃষ্টির আশঙ্কা করছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সোমবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া এক পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফরিদপুর, মাদারীপুর, যশোর এবং কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে পূর্ব অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৮৯ কিলোমিটার বা তার বেশি বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। সেইসঙ্গে বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
পূর্বাভাসে আরও বলা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘রিমাল’ উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করে বর্তমানে কয়রা, খুলনার নিকট অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর দিকে অগ্রসর হয়ে ক্রমশ বৃষ্টিপাত বাড়িয়ে পরবর্তী ২-৩ ঘণ্টার মধ্যে কিছুটা দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিতে পারে। সোমবার (২৭ মে) সকালে আবহাওয়ার ১৭ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।