ঢাকা ১২:৩৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বিপদ সংকেতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলছেন তারেককে ফিরিয়ে আনা হবে: বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪
  • / ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে অনেক জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন দেশের উপকূলীয় এলাকায় মহাবিপদ সংকেত চলছে। তখন মানুষের পাশে না দাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলছেন তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জেষ্ঠ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার (২৭ মে) মানববন্ধন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।

এ সময় তারা অভিযোগ করেন, উন্নয়নের কথা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখতে আনন্দ পান সরকার প্রধান। সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতির জন্য সরকারের সিন্ডিকেটই দায়ী। ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত টাকার মূল্য কমে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, যত ঋণ নিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সুদ হয়েছে। ওই সুদ পরিশোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকারের পাপের সুদসহ আপনার যে বিচার হবে ওই বিচারের জন্য আপনি প্রস্তুত থাকেন। আপনার ছাত্রলীগ ডাকাতি করে, নারীর শ্লীলতাহানি করে, যুবলীগ টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে গত ১৬-১৭ বছরে প্রায় ৫০ জন লোককে হত্যা করেছে। এই পাপগুলোর জন্য কি এদেশের আইনে বিচার হবে না?

ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। টাকা পাচার করতে করতে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত ক্ষমতাসীনরা। খুনি ডাকাতদের দায় সরকারকেই নিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, যাদের আপনি এমপি বানিয়েছেন তারাই তো টাকাগুলো পাচার করেছে। তাদের প্রতিপক্ষ এমপিকে কলকাতায় কয়েক টুকরা করে কোন খালে-বিলে ফেলেছে এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এরা এমপি হয় কী করে?

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন। এতে বক্তব্য রাখেন— স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

বিপদ সংকেতের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী বলছেন তারেককে ফিরিয়ে আনা হবে: বিএনপি

আপডেট সময় : ০৩:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ মে ২০২৪

বিএনপি নেতারা বলেছেন, ঘূর্ণিঝড় জলোচ্ছ্বাসে অনেক জনপদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যখন দেশের উপকূলীয় এলাকায় মহাবিপদ সংকেত চলছে। তখন মানুষের পাশে না দাড়িয়ে প্রধানমন্ত্রী বলছেন তারেককে দেশে ফিরিয়ে আনা হবে।

বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক এবং ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির জেষ্ঠ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাকের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সোমবার (২৭ মে) মানববন্ধন করে ঢাকা জেলা বিএনপি।

এ সময় তারা অভিযোগ করেন, উন্নয়নের কথা ও বিএনপি নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখতে আনন্দ পান সরকার প্রধান। সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের উধর্বগতির জন্য সরকারের সিন্ডিকেটই দায়ী। ব্যাংকগুলো লুট হয়ে যাচ্ছে। প্রতিনিয়ত টাকার মূল্য কমে যাচ্ছে।

বর্তমান সরকার দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে দিয়েছে দাবি করে রিজভী বলেন, যত ঋণ নিয়েছেন তার চেয়ে অনেক বেশি পরিমাণ সুদ হয়েছে। ওই সুদ পরিশোধ করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আপনার সরকারের পাপের সুদসহ আপনার যে বিচার হবে ওই বিচারের জন্য আপনি প্রস্তুত থাকেন। আপনার ছাত্রলীগ ডাকাতি করে, নারীর শ্লীলতাহানি করে, যুবলীগ টেন্ডারবাজি করতে গিয়ে গত ১৬-১৭ বছরে প্রায় ৫০ জন লোককে হত্যা করেছে। এই পাপগুলোর জন্য কি এদেশের আইনে বিচার হবে না?

ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি। টাকা পাচার করতে করতে নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত ক্ষমতাসীনরা। খুনি ডাকাতদের দায় সরকারকেই নিতে হবে। বেগম খালেদা জিয়াকে সুচিকিৎসার সুযোগ না দিয়ে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়া হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন বিএনপি নেতারা।

বিএনপির সিনিয়র এই যুগ্ম-মহাসচিব বলেন, যাদের আপনি এমপি বানিয়েছেন তারাই তো টাকাগুলো পাচার করেছে। তাদের প্রতিপক্ষ এমপিকে কলকাতায় কয়েক টুকরা করে কোন খালে-বিলে ফেলেছে এখন খুঁজে পাচ্ছেন না। এরা এমপি হয় কী করে?

মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি খন্দকার শাহ মাইনুল হোসেন। এতে বক্তব্য রাখেন— স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সাধারণ সম্পাদক নিপুন রায় চৌধুরী, বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ, সহসাংগঠনিক সম্পাদক বেনজির আহমেদ টিটো প্রমুখ।