০৬:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৬ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড দেশের উপকূলীয় অঞ্চল

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। এখনো বহু এলাকা রয়েছে পানির নিচে। গাছপালা পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাছচাপায় ও দেয়াল ভেঙে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়া ১৯ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। এসব এলাকার মানুষ এখন সংগ্রাম করছে ঘুরে দাঁড়ানোর । তবে তারা জানেন না কবে তারা আগের মত জীবন যাপন করতে পারবে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের সময় জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয় পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা। কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে বসতঘরেও। এই দুর্বিপাকে স্থানীয় লোকজন সংকটে পড়েন। কিছু স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে বাঁধ ভেঙে সাগরের লোনাপানি ঢুকে পড়েছে। সুপেয় পানির উৎসগুলো তলিয়ে গেছে।

ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতটি পানিতে তলিয়ে ছিল। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, কুয়াকাটা সৈকত গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে ছিল।

খুলনার পাইকগাছায় ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে সাগরের লোনাপানিতে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষ। খাবার পানির উৎসগুলো তলিয়ে গেছে।

বাঁধ ভেঙে উপজেলার লতা, সোলাদানা, গড়াইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, রাড়ুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

উপজেলার গড়াইখালী ইউনিয়নের কুমখালী গ্রামে শিবসা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় গড়াইখালী ও চাঁদখালী ইউনিয়নের ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জেলার দাকোপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে যায়।

পানির চাপে বাগেরহাটে ভেসে গেছে মাছের কয়েক হাজার ঘের। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলায় মাছের প্রায় ২২ হাজার ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলায়।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের অনেক স্থানে ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামে গাছের ডাল ভেঙে কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। মুন্সিগঞ্জ থেকে নীলডুমুর যাওয়ার সড়কের দুই পাশের চিংড়িঘেরগুলো একাকার হয়ে গেছে ।

কক্সবাজারের মহেশখালী পৌর এলাকা, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নে কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় জোয়ারের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রায় ৫২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। সেখানকার বেশির ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে পুরো নিঝুম দ্বীপ চার-পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।

ঝালকাঠিতে দুই শতাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন শতাধিক গ্রামের মানুষ। রোববার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে খুলনা নগরের মুজগুন্নী, লবণচরা, মোল্লাপাড়া, টুটপাড়া, মহিরবাড়ি খালপাড়, শিপইয়ার্ড সড়ক, চানমারী বাজার, রূপসাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বরিশাল ও ভোলায় তিনজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মানুষ মারা গেছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ডাল ভেঙে ও গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক কোটি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তবে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও এখনো প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎসুবিধার বাইরে আছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। অনেক স্থানে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না ।

রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড দেশের উপকূলীয় অঞ্চল

আপডেট : ০১:০৬:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে দেশের উপকূলীয় অঞ্চল। এখনো বহু এলাকা রয়েছে পানির নিচে। গাছপালা পড়ে বিধ্বস্ত হয়েছে ঘরবাড়ি। ছয় জেলায় অন্তত ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাঁদের বেশির ভাগই মারা গেছেন গাছচাপায় ও দেয়াল ভেঙে পড়ে।

ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতির মুখে পড়া ১৯ জেলা হলো সাতক্ষীরা, খুলনা, বাগেরহাট, ঝালকাঠি, বরিশাল, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, বরগুনা, ভোলা, ফেনী, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষীপুর, চাঁদপুর, নড়াইল, গোপালগঞ্জ, শরীয়তপুর ও যশোর। এসব এলাকার মানুষ এখন সংগ্রাম করছে ঘুরে দাঁড়ানোর । তবে তারা জানেন না কবে তারা আগের মত জীবন যাপন করতে পারবে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে জোয়ারের সময় জলোচ্ছাসে প্লাবিত হয় পটুয়াখালী জেলা শহরের বিভিন্ন এলাকা। কিছু এলাকায় পানি প্রবেশ করেছে বসতঘরেও। এই দুর্বিপাকে স্থানীয় লোকজন সংকটে পড়েন। কিছু স্থানে বন্ধ হয়ে গেছে সড়ক যোগাযোগ। অধিক উচ্চতার জলোচ্ছাসে বাঁধ ভেঙে সাগরের লোনাপানি ঢুকে পড়েছে। সুপেয় পানির উৎসগুলো তলিয়ে গেছে।

ঝড়ের তান্ডবে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ সৈকতটি পানিতে তলিয়ে ছিল। কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র মো. আনোয়ার হাওলাদার জানান, কুয়াকাটা সৈকত গতকাল রাত আটটা পর্যন্ত কয়েক ফুট পানিতে তলিয়ে ছিল।

খুলনার পাইকগাছায় ছয়টি ইউনিয়নের অন্তত ২০টি স্থানে নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। এতে সাগরের লোনাপানিতে প্লাবিত হয়েছে অর্ধশতাধিক গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন উপজেলার প্রায় এক লাখ মানুষ। খাবার পানির উৎসগুলো তলিয়ে গেছে।

বাঁধ ভেঙে উপজেলার লতা, সোলাদানা, গড়াইখালী, চাঁদখালী, দেলুটি, রাড়ুলী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। অনেক ঘরবাড়ি উড়ে গেছে। গাছপালা উপড়ে পড়েছে।

উপজেলার গড়াইখালী ইউনিয়নের কুমখালী গ্রামে শিবসা নদীর বাঁধ ভেঙে গেছে। দীর্ঘদিন ধরে বাঁধটি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। বাঁধটি ভেঙে যাওয়ায় গড়াইখালী ও চাঁদখালী ইউনিয়নের ২০টির বেশি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে।

জেলার দাকোপে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বাঁধ ভেঙে লোকালয়ে পানি ঢুকছে। গত রোববার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার শিবসা ও ঢাকী নদীর বাঁধ ভেঙে তিলডাঙ্গা ইউনিয়নের কামিনীবাসিয়া গ্রামের ৪ ও ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকা তলিয়ে যায়।

পানির চাপে বাগেরহাটে ভেসে গেছে মাছের কয়েক হাজার ঘের। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, প্রাথমিকভাবে জেলায় মাছের প্রায় ২২ হাজার ঘের তলিয়ে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মোংলা, মোরেলগঞ্জ, শরণখোলা ও রামপাল উপজেলায়।

সাতক্ষীরার শ্যামনগরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বেড়িবাঁধের কয়েকটি স্থানে ফাটল দেখা দিয়েছে। শ্যামনগরের মুন্সিগঞ্জ ও বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের অনেক স্থানে ঘরের ছাউনি উড়ে গেছে। বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের দাতিনাখালি গ্রামে গাছের ডাল ভেঙে কয়েকটি কাঁচা ঘরবাড়ি ভেঙে পড়েছে। মুন্সিগঞ্জ থেকে নীলডুমুর যাওয়ার সড়কের দুই পাশের চিংড়িঘেরগুলো একাকার হয়ে গেছে ।

কক্সবাজারের মহেশখালী পৌর এলাকা, কুতুবজোম ও মাতারবাড়ী ইউনিয়নে কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এ সময় জোয়ারের কবলে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কয়েক শ কাঁচা ঘরবাড়ি।

ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ঘরবাড়ি ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। নোয়াখালীর হাতিয়ায় প্রায় ৫২ হাজার পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে উপজেলা প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে। সেখানকার বেশির ভাগ কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জোয়ারের পানিতে পুরো নিঝুম দ্বীপ চার-পাঁচ ফুট পানিতে তলিয়ে গেছে।

ঝালকাঠিতে দুই শতাধিক গাছপালা ভেঙে পড়েছে। জোয়ারের পানিতে প্লাবিত হয়েছে গ্রামের পর গ্রাম। পানিবন্দী হয়ে পড়েছেন শতাধিক গ্রামের মানুষ। রোববার রাত থেকে ভারী বৃষ্টিতে খুলনা নগরের মুজগুন্নী, লবণচরা, মোল্লাপাড়া, টুটপাড়া, মহিরবাড়ি খালপাড়, শিপইয়ার্ড সড়ক, চানমারী বাজার, রূপসাসহ বিভিন্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে।

গতকাল সোমবার বিকেলে সচিবালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মহিববুর রহমান জানান, ঘূর্ণিঝড় রিমালের আঘাতে খুলনা, সাতক্ষীরা, বরিশাল, পটুয়াখালী, ভোলা ও চট্টগ্রামে ১০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এর মধ্যে বরিশাল ও ভোলায় তিনজন করে মারা গেছেন। এ ছাড়া খুলনা, সাতক্ষীরা, পটুয়াখালী ও চট্টগ্রাম জেলায় একজন করে মানুষ মারা গেছেন।

ঘূর্ণিঝড়ের তান্ডবে বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনে ডাল ভেঙে ও গাছ উপড়ে পড়ে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে কয়েকটি জেলার বিস্তীর্ণ অঞ্চল। বিদ্যুৎ না থাকায় ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার বাসিন্দারা। কয়েক কোটি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছেন। তবে ধীরে ধীরে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে। যদিও এখনো প্রায় পৌনে তিন কোটি গ্রাহক বিদ্যুৎসুবিধার বাইরে আছেন।

গতকাল সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা জানানো হয়েছে। অনেক স্থানে মুঠোফোনের নেটওয়ার্ক পাওয়া যাচ্ছে না ।