ঢাকা ০৯:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

রিমালের প্রভাবে ভেসে গেছে ৭৩ কোটি টাকার মাছ

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:২৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ৩৮০ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। জেলার অন্তত ৩৫ হাজার মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া ঘেরের পাড়েরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) সারাদিন হওয়া মুষলধারে বৃষ্টি, জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের কারণে মাছ চাষিদের অন্তত ৭৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জানা যায়, বাগেরহাটের এসব ঘেরে সাদা মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি ও এর পোনার চাষ হতো। মাছে ক্ষতি হয়েছে ৭০ কোটি টাকার। ঘেরের পাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিন কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

চাষিদের তথ্য অনুযায়ী রামপাল উপজেলায় সব থেকে বেশি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রামপাল উপজেলার দক্ষিণ মল্লিকের বেড়ে গ্রামের মাছ চাষি মোহাম্মদ রেদওয়ান মারুফ বলেন, ঝড় জলোচ্ছ্বাসে ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকার সবাই প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। আর কয়েকটা দিন পরেই আমরা মাছ বিক্রি করতে পারতাম, কিন্তু রিমাল আমাদের শেষ করে দিয়ে গেল।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা সোমবার দুপুর পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা যাচ্ছে আরও বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চাষিদের। ঝড় থামলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও পরিমাণ দেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

রিমালের প্রভাবে ভেসে গেছে ৭৩ কোটি টাকার মাছ

আপডেট সময় : ০২:২৩:৩০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটে ব্যাপক জলোচ্ছ্বাসের সৃষ্টি হয়েছে। জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের পানিতে বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে লোকালয়। জেলার অন্তত ৩৫ হাজার মৎস্য ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। এছাড়া ঘেরের পাড়েরও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।

সোমবার (২৭ মে) সারাদিন হওয়া মুষলধারে বৃষ্টি, জোয়ার-জলোচ্ছ্বাসের কারণে মাছ চাষিদের অন্তত ৭৩ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।

জানা যায়, বাগেরহাটের এসব ঘেরে সাদা মাছ, কাঁকড়া, চিংড়ি ও এর পোনার চাষ হতো। মাছে ক্ষতি হয়েছে ৭০ কোটি টাকার। ঘেরের পাড়ও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় তিন কোটি টাকার অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।

চাষিদের তথ্য অনুযায়ী রামপাল উপজেলায় সব থেকে বেশি ঘের ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রামপাল উপজেলার দক্ষিণ মল্লিকের বেড়ে গ্রামের মাছ চাষি মোহাম্মদ রেদওয়ান মারুফ বলেন, ঝড় জলোচ্ছ্বাসে ঘেরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এলাকার সবাই প্রায় নিঃস্ব হয়ে গেছে। আর কয়েকটা দিন পরেই আমরা মাছ বিক্রি করতে পারতাম, কিন্তু রিমাল আমাদের শেষ করে দিয়ে গেল।

বাগেরহাট জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এ এস এম রাসেল বলেন, ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে বাগেরহাটের মৎস্য চাষিদের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। প্রাথমিকভাবে আমরা সোমবার দুপুর পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করেছি। প্রাথমিকভাবে ধারণ করা যাচ্ছে আরও বেশি ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে চাষিদের। ঝড় থামলে ক্ষয়ক্ষতির পূর্ণাঙ্গ তালিকা ও পরিমাণ দেওয়া হবে।