ঢাকা ১২:২১ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

বেনজীর বা আজিজ নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে নেই: কাদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১১:২৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ৩৭৭ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ইস্যুতে সরকার মোটেও অস্বস্তিতে নেই। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুদকের কোনো বাধা নেই।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদক স্বাধীন তদন্ত করছে। দুদককে এই স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার দিয়েছে।

তিনি বলেন, যিনি সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, তিনিও যদি অপরাধী হন, তার বিরুদ্ধেও দুদক তদন্ত করতে পারবে। অপরাধী হলে শাস্তি পেতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশের হত্যার রাজনীতি, গুমের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাতে। তিন হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও হত্যা করেছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের অপরাধকে ডাকার জন্য আজ অপপ্রচার করছে। অপরাধীদের ক্ষমা করেছে। অপরাধীদের শাস্তি দেয়নি। সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স। দুর্নীতির ব্যাপারে শেখ হাসিনা আপসহীন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজিজ, বেনজীর ইস্যুতে সরকার বিব্রত নয়। কারণ সরকারের বিচার করার সৎ-সাহস আছে। সরকার তাদের অপরাধ অস্বীকার করে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়নি। দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারপ্রধান আপসহীন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তার মূলে তার সততা ও পরিশ্রম। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

সরকার পরিবর্তন নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পরিবর্তনের উপায় দুটি, একটা হলো গণঅভ্যুত্থান, আরেকটা হলো নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থান বিএনপির গলাবাজিতে ছিল, বাস্তবে ছিল না। গণআন্দোলনও তারা করতে পারেনি। যে আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত নয় সে আন্দোলন কখনো সফল হয় না। জনগণ সম্পৃক্ত ছিল না বলেই তাদের আন্দোলন বার বার ব্যর্থ হয়েছে। তারা নির্বাচন বয়কট করার পরও ভোটার টার্ন আউট ৪২ শতাংশেরও বেশি। তারা বয়কট করে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, জনগণের অংশগ্রহণও ঠেকাতে পারেনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য অপপ্রচার করছে এবং অপরাধীদের ক্ষমা করেছে। তাদের আমলে অপরাধীদের কোনো দিন শাস্তি পেতে হয়নি। আজকে তারা বলে তারেক রহমানকে কীভাবে শাস্তি দেবেন? শাস্তি তো তিনি পেয়ে গেছেন। দুদকের মামলায় ৯ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের কিছু টাকা বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছে। অর্থ পাচারের মামলায় তারেক রহমানের সাত বছর সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এখন শাস্তির বাস্তবায়নটা করতে হবে। শাস্তি কার্যকরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে। তার শাস্তি হতেই হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে গুম করে খুন করেছে বিএনপি। এর বিচার কে করেছে? সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ব্যাপারে দুদক তদন্ত করে বের করছে। দুদক স্বাধীন। এই স্বাধীনতা শেখ হাসিনা দুদককে দিয়েছেন। দুদক সূত্র জানিয়েছে, বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে এখনো তদন্ত হচ্ছে এবং আরও তদন্ত হবে। তদন্ত হচ্ছে মানে মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কোনো অপরাধী শাস্তি ছাড়া পার পাবে না শেখ হাসিনার আমলে। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তিনি যদি অপরাধী হন তার বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে পারবে দুদক। অপরাধী হলে অপরাধের জন্য শাস্তি পেতেই হবে। তিনি যেই হোন।

ফখরুল এবং বিএনপি নেতারা এখন কথায় কথায় সাবেক আইজিপির দুর্নীতির কথা বলে। তাদের আমলে সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা তার বিচার কি করেছেন তারা? রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের সঙ্গে জড়িত এর বিচার কি বিএনপি করেছে? এসপি কহিনুর, যার হাতে কত রাজনৈতিক কর্মী নির্যাতিত হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা নারী পর্যন্ত রাজপথে মিছিল করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার নির্যাতন, দুর্নীতির কথা ঢাকা শহরের মানুষের মুখে মুখে। তার বিচার কি হয়েছে? তাদের আমলে যেসব নেতাকর্মী দুর্নীতি করেছে, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, এসবের বিচার কি তারা করেছে?

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

বেনজীর বা আজিজ নিয়ে সরকার অস্বস্তিতে নেই: কাদের

আপডেট সময় : ১১:২৪:০০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ এবং পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ ইস্যুতে সরকার মোটেও অস্বস্তিতে নেই। অপরাধী যেই হোক তার বিরুদ্ধে তদন্ত করতে দুদকের কোনো বাধা নেই।

মঙ্গলবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বেনজীর আহমেদের বিরুদ্ধে দুদক স্বাধীন তদন্ত করছে। দুদককে এই স্বাধীনতা শেখ হাসিনা সরকার দিয়েছে।

তিনি বলেন, যিনি সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন, তিনিও যদি অপরাধী হন, তার বিরুদ্ধেও দুদক তদন্ত করতে পারবে। অপরাধী হলে শাস্তি পেতে হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, এ দেশের হত্যার রাজনীতি, গুমের রাজনীতির গোড়াপত্তন হয়েছিল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের হাতে। তিন হাজার নেতাকর্মীকে গুম ও হত্যা করেছেন তিনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের অপরাধকে ডাকার জন্য আজ অপপ্রচার করছে। অপরাধীদের ক্ষমা করেছে। অপরাধীদের শাস্তি দেয়নি। সরকার দুর্নীতির ব্যাপারে জিরো ট্রলারেন্স। দুর্নীতির ব্যাপারে শেখ হাসিনা আপসহীন।

সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, আজিজ, বেনজীর ইস্যুতে সরকার বিব্রত নয়। কারণ সরকারের বিচার করার সৎ-সাহস আছে। সরকার তাদের অপরাধ অস্বীকার করে পার পেয়ে যাওয়ার সুযোগ দেয়নি। দুর্নীতির ব্যাপারে সরকারপ্রধান আপসহীন।

তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা সারা বিশ্বে একজন সৎ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পরিচিত। বাংলাদেশে তার জনপ্রিয়তার মূলে তার সততা ও পরিশ্রম। সরকার দুর্নীতির বিরুদ্ধে সবসময় ব্যবস্থা নিতে প্রস্তুত।

সরকার পরিবর্তন নিয়ে বিএনপির দাবি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সরকার পরিবর্তনের উপায় দুটি, একটা হলো গণঅভ্যুত্থান, আরেকটা হলো নির্বাচন। গণঅভ্যুত্থান বিএনপির গলাবাজিতে ছিল, বাস্তবে ছিল না। গণআন্দোলনও তারা করতে পারেনি। যে আন্দোলনে জনগণ সম্পৃক্ত নয় সে আন্দোলন কখনো সফল হয় না। জনগণ সম্পৃক্ত ছিল না বলেই তাদের আন্দোলন বার বার ব্যর্থ হয়েছে। তারা নির্বাচন বয়কট করার পরও ভোটার টার্ন আউট ৪২ শতাংশেরও বেশি। তারা বয়কট করে নির্বাচন ঠেকাতে পারেনি, জনগণের অংশগ্রহণও ঠেকাতে পারেনি।

ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপি নিজেদের অপরাধ ঢাকার জন্য অপপ্রচার করছে এবং অপরাধীদের ক্ষমা করেছে। তাদের আমলে অপরাধীদের কোনো দিন শাস্তি পেতে হয়নি। আজকে তারা বলে তারেক রহমানকে কীভাবে শাস্তি দেবেন? শাস্তি তো তিনি পেয়ে গেছেন। দুদকের মামলায় ৯ বছর কারাদণ্ড হয়েছে। সিঙ্গাপুরে অর্থ পাচারের কিছু টাকা বাংলাদেশ ফিরে পেয়েছে। অর্থ পাচারের মামলায় তারেক রহমানের সাত বছর সাজা ও ২০ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। একুশে আগস্টের গ্রেনেড হামলায় তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে। এখন শাস্তির বাস্তবায়নটা করতে হবে। শাস্তি কার্যকরে তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে। সে চেষ্টা অব্যাহত আছে। তার শাস্তি হতেই হবে।

তিনি বলেন, চট্টগ্রামে বিএনপি নেতা জামাল উদ্দিনকে গুম করে খুন করেছে বিএনপি। এর বিচার কে করেছে? সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের ব্যাপারে দুদক তদন্ত করে বের করছে। দুদক স্বাধীন। এই স্বাধীনতা শেখ হাসিনা দুদককে দিয়েছেন। দুদক সূত্র জানিয়েছে, বেনজীর আহমেদের অবৈধ সম্পদের বিষয়ে এখনো তদন্ত হচ্ছে এবং আরও তদন্ত হবে। তদন্ত হচ্ছে মানে মামলা হলে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। কোনো অপরাধী শাস্তি ছাড়া পার পাবে না শেখ হাসিনার আমলে। সাবেক সেনাপ্রধান আজিজ আহমেদ, তিনি যদি অপরাধী হন তার বিরুদ্ধেও তদন্ত করতে পারবে দুদক। অপরাধী হলে অপরাধের জন্য শাস্তি পেতেই হবে। তিনি যেই হোন।

ফখরুল এবং বিএনপি নেতারা এখন কথায় কথায় সাবেক আইজিপির দুর্নীতির কথা বলে। তাদের আমলে সাবেক আইজিপি আশরাফুল হুদা তার বিচার কি করেছেন তারা? রফিকুল ইসলাম, চট্টগ্রামে শেখ হাসিনার প্রাণনাশের সঙ্গে জড়িত এর বিচার কি বিএনপি করেছে? এসপি কহিনুর, যার হাতে কত রাজনৈতিক কর্মী নির্যাতিত হয়েছে, অন্তঃসত্ত্বা নারী পর্যন্ত রাজপথে মিছিল করতে গিয়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তার নির্যাতন, দুর্নীতির কথা ঢাকা শহরের মানুষের মুখে মুখে। তার বিচার কি হয়েছে? তাদের আমলে যেসব নেতাকর্মী দুর্নীতি করেছে, হাওয়া ভবনের দুর্নীতি, এসবের বিচার কি তারা করেছে?

এসময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এসএম কামাল হোসেন, উপ প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল আউয়াল শামীম ও উপ দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।