ঢাকা ০২:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বাংলা বাংলা English English हिन्दी हिन्दी

সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০২:৪৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪
  • / ৩৯৪ বার পড়া হয়েছে
৭১ নিউজ বিডির সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ডিসি-ইউএনওদের বর্তমান গাড়িগুলো বেশ পুরনো এবং সেগুলো সারতে খরচ আরও বেশি হচ্ছে। নতুন গাড়িগুলো উপযুক্ত গাড়ি। তাছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘প্রগতি’র কাছে ১৬১টি গাড়ি তৈরির সরঞ্জাম রয়েছে। প্রতি গাড়ির খরচ পড়ছে ৩৫ লাখ টাকা। ১৬১টি গাড়ির তৈরির সরঞ্জাম দেশেই থাকায় সরকারের শুল্ক বেঁচে যাচ্ছে।

সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি সরকার করে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। বলেন, যোগ্য লোককে যোগ্য স্থানেই নিয়োগ দেয়া হয়। অসঙ্গতি থাকলে সরকার যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়।

তিনি জানান, বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৭৮ জন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২২ জনকে গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৬৯ জনকে লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৭৭ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরীর ক্ষেত্র আগের চেয়ে বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারের মোট অনুমোদিত পদ সংখ্যা ১৯ লাখ ১৫১ জন। শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা জনপ্রশাসন, পদায়ন, পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় ভীষণ দুর্বল ও ব্যর্থ ছিল।

মন্ত্রী দাবি করেন, এক ক্যাডারের সাথে আরেক ক্যাডারের বৈষম্য সরকার করে না, করতে চায়ও না। এরপরও কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়লে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।

প্রশাসনে পদায়ন ও পদোন্নতিতে নীতিমালা যথাযথ অনুসরণ করা হয় না, এই অভিযোগ সত্য নয়। অনেক কর্মকর্তা বিদেশে স্কলারশিপে যান, লিয়েনে যান, মিশনে যান। তাই শূন্যস্থান পূরণে অনেককে পদায়ন-পদোন্নতি দিতে হয়।

বিসিএস এ নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে, এ শঙ্কা অমূলক। বরং উল্টোটা হচ্ছে। প্রতি ব্যাচেই গড়ে শতকরা ২৬ থেকে ২৮ ভাগ নারী নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন। বিশেষ বিসিএসগুলোতে তারা সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ। নারী কোটা বাদ হলেও নারীদের অংশগ্রহণ কমছে না বরং বাড়ছে।

মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১১ জন সচিব নারী, এছাড়া বড় বড় পদগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীর উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

সরকারি চাকরিতে ৩ লাখ ৭০ হাজার পদ খালি : জনপ্রশাসনমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০২:৪৮:২২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৮ মে ২০২৪

সরকারি চাকরিতে অনুমোদিত পদ ১৯ লাখ ১৫১টি। এর মধ্যে শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি। জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।

মঙ্গলবার (২৮ মে) সচিবালয়ে গণমাধ্যম কেন্দ্রে বাংলাদেশ সেক্রেটারিয়েট রিপোর্টার্স ফোরাম (বিএসআরএফ) আয়োজিত ‘বিএসআরএফ সংলাপে’ অংশ নিয়ে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, ডিসি-ইউএনওদের বর্তমান গাড়িগুলো বেশ পুরনো এবং সেগুলো সারতে খরচ আরও বেশি হচ্ছে। নতুন গাড়িগুলো উপযুক্ত গাড়ি। তাছাড়া সরকারি প্রতিষ্ঠান ‘প্রগতি’র কাছে ১৬১টি গাড়ি তৈরির সরঞ্জাম রয়েছে। প্রতি গাড়ির খরচ পড়ছে ৩৫ লাখ টাকা। ১৬১টি গাড়ির তৈরির সরঞ্জাম দেশেই থাকায় সরকারের শুল্ক বেঁচে যাচ্ছে।

সচিবসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি সরকার করে না বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। বলেন, যোগ্য লোককে যোগ্য স্থানেই নিয়োগ দেয়া হয়। অসঙ্গতি থাকলে সরকার যাচাই সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়।

তিনি জানান, বিভিন্ন অভিযোগে ২০১৯ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত ১৭৮ জন কর্মকর্তাকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে ২২ জনকে গুরুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৬৯ জনকে লঘুদণ্ড দেয়া হয়েছে। ৭৭ জনকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে।

সরকারি চাকরীর ক্ষেত্র আগের চেয়ে বাড়ছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০১৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭ জনকে নিয়োগ দেয়া হয়েছে। সরকারের মোট অনুমোদিত পদ সংখ্যা ১৯ লাখ ১৫১ জন। শূন্য পদ রয়েছে ৩ লাখ ৭০ হাজার ৪৪৭টি।

২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত যে সরকার ক্ষমতায় ছিল, তারা জনপ্রশাসন, পদায়ন, পদোন্নতি প্রক্রিয়ায় ভীষণ দুর্বল ও ব্যর্থ ছিল।

মন্ত্রী দাবি করেন, এক ক্যাডারের সাথে আরেক ক্যাডারের বৈষম্য সরকার করে না, করতে চায়ও না। এরপরও কোনো অসঙ্গতি ধরা পড়লে সরকার অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে।

প্রশাসনে পদায়ন ও পদোন্নতিতে নীতিমালা যথাযথ অনুসরণ করা হয় না, এই অভিযোগ সত্য নয়। অনেক কর্মকর্তা বিদেশে স্কলারশিপে যান, লিয়েনে যান, মিশনে যান। তাই শূন্যস্থান পূরণে অনেককে পদায়ন-পদোন্নতি দিতে হয়।

বিসিএস এ নারীরা পিছিয়ে যাচ্ছে, এ শঙ্কা অমূলক। বরং উল্টোটা হচ্ছে। প্রতি ব্যাচেই গড়ে শতকরা ২৬ থেকে ২৮ ভাগ নারী নিয়োগের জন্য সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন। বিশেষ বিসিএসগুলোতে তারা সুপারিশপ্রাপ্ত হচ্ছেন গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ। নারী কোটা বাদ হলেও নারীদের অংশগ্রহণ কমছে না বরং বাড়ছে।

মন্ত্রী জানান, বর্তমানে ১১ জন সচিব নারী, এছাড়া বড় বড় পদগুলোতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নারীর উপস্থিতি ও অংশগ্রহণ রয়েছে।