সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগ সিডিউলভুক্ত হলে অনুসন্ধানের জন্য আমলে নেবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহ।
বুধবার দুদক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
দুদক চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগ আমি দেখিনি। যে কোনো অভিযোগ দুদকের সিডিউলভুক্ত হলে তা আমলে নেয়া হয়। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগও দুদকের সিডিউল হয়, আমরা পরীক্ষা করে দেখবো। সিডিউলভুক্ত হলে আমলে নেয়া হবে।
এর আগে দুপুরে সাবেক সেনাপ্রধান ও যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসা জেনারেল আজিজ আহমেদের দুর্নীতি অনুসন্ধান করতে দুদকে আবেদন করেন সালাহ উদ্দিন রিগ্যান নামের একজন আইনজীবী।
দুর্নীতিতে জড়িত থাকার অভিযোগে এনে জেনারেল আজিজ আহমেদসহ তার পরিবারের সদস্যদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর বলেছে, আজিজ আহমেদের কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার প্রতি জনগণের বিশ্বাসকে ক্ষুণ্ন করতে ভূমিকা রেখেছে।
দুদক চেয়ারম্যান বরাবর করা ওই আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী রিগ্যান বলেন, দুর্নীতির অভিযোগে আজিজ আহম্মেদের বিরুদ্ধে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা ও জাতীয় দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত রিপোর্ট জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন’ করেছে। জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর সুনাম ক্ষুণ্ন হয়েছে। দেশের সাধারণ জনগণের সেনাবাহিনীর প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস ক্ষুণ্ন করে।
তিনি আরও বলেন, কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় দুর্নীতি দমন কমিশন এতো বড় অভিযোগ প্রকাশিত হওয়ার পরওে অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে নাই। যা দুদকের নিষ্ক্রিয়তা। এ বিষয়ে যথাযথ অনুসন্ধানের উদ্যোগ গ্রহণ করে জানানোর জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো।