‘আওয়ামী লীগের লক্ষ্য দেশের সম্পদ লুট করা’
- আপডেট সময় : ১০:৩৮:৫২ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৯ মে ২০২৪
- / ৩৭৬ বার পড়া হয়েছে
নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগ ১০ শতাংশ আসন পাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানী ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে এক আলোচনায় ফখরুল এ কথা বলেন।
জনগন থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় পরাজয়ের ভয়েই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিকে নাকচ করা হচ্ছে বলেও দাবি করেন মির্জা ফখরুল।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটাই লক্ষ্য দেশের সম্পদ লুট করে বিদেশে পাঁচার করা। জেনারেল আজিজ ও বেনজীর আহমেদের অপকর্মের দায়ে সরকারের পদত্যাগ দাবি করেন বিএনপি মহাসচিব।
দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক সেনা প্রধান আজিজ আহমেদকে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা, সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদের পরিবারের বিপুল সম্পত্তি জব্দের বিষয় নিয়ে কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, কোন অবস্থায় বাংলাদেশকে নিয়ে এসেছে যে, সাবেক পুলিশ প্রধান, তার আজকে হাজার হাজার দুর্নীতির চিত্র পত্রপত্রিকায় বেরিয়ে আসছে। তাকে আপনি (সরকার) লালন করেছেন। অনেক আগে স্যাংশন দেওয়ার পরও তাকে আপনি আইজি বানিয়েছেন।
ফখরুল বলেন, একইভাবে আজকে সাবেক সেনাপ্রধান, তাকে স্যাংশন দেয়া হয়েছে একটা মাত্র কারণে, সে বাংলাদেশে লুট করেছে, চুরি করেছে এবং নির্বাচনে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, এই দায় এই সরকারের, যারা আজকে জোর করে ক্ষমতা দখল করে বসে আছেন।
সরকারকে পদত্যাগ আহ্বান জানিয়ে ফখরুল বলেন, আমি বার বার বলছি যে, আপনাদের রিজাইন করা উচিত এই কারণে। বেনজীর বা আজিজ কেন তৈরি হয়? একজন আজিজ শুধু নয়, একজন বেনজীর শুধু নয়, অসংখ্য আজিজ ও বেনজীর আপনারা তৈরি করেছেন, যারা লুট করে খাচ্ছে। একটাই কাজ, লুট করা। আমরা যখন ছোট ছিলাম, আমাদের মা কোলে নিয়ে ঘুম পাড়াতে গিয়ে বলতেন, ছেলে ঘুমাল, পাড়া জুড়াল, বর্গী এল দেশে।
তিনি বলেন, বর্গী কারা? বর্গী সেই সমস্ত লুটেরা যারা বর্মা থেকে আসত। এসে লুট করে সব নিয়ে চলে যেত। এটাকে তখন বাংলাদেশের মানুষ ভয় পেত। সেজন্য গান হয়েছিলো ‘ছেলে ঘুমালো, পাড়া ঘুমালো, বর্গী এল দেশে।’ আজকে তারা (আওয়ামী লীগ) বর্গীতে পরিণত হয়েছে। তাদের একমাত্র কাজ বাংলাদেশের সম্পদ লুণ্ঠন করে বিদেশে পাচার করে সেখানে সম্পদ গড়ে তোলা।
বিএনপির আন্দোলনকে জোরদার করতে সবাইকে জেগে ওঠার আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন এখন জেগে উঠার সময় এসেছে। জেগে উঠবে সেই তরুণ-যুবক। আমাদেরকে বেরিয়ে আসতে হবে। সমস্ত ভয়-ভীতি সবকিছু তাচ্ছিল্য করে আমাদের দেশমাতৃকার ডাকে, আমাদের ‘মা’ বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষ্যে ও তার ডাকে, আমাদেরকে নেতা তারেক রহমানের ডাকে আসুন আমরা সবাই বেরিয়ে পড়ি। আমরা একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলি। যে ভয়াবহ দানব আমাদের সবকিছু তছনছ করে দিচ্ছে, তাদেরকে পরাজিত করে সত্যিকার অর্থে একটা জনগণের রাষ্ট্র, গণতন্ত্রের রাষ্ট্র নির্মাণ করতে সক্ষম হই।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন আহমদেরে সভাপতিত্বে এবং প্রচার সম্পাদক শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আব্দুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, এজেডএম জাহিদ হোসেন, শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য আবদুস সালাম, মামুন আহমেদ, অর্থনীতিবিদ মাহবুবউল্লাহসহ অন্যরা।