বিএনপিকে ধ্বংস করতে খালেদা জিয়াকে প্রায় সাত বছর ধরে সরকার বন্দি করে রেখেছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, সরকারের সেই হীন চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি আরও বেশি শক্তিশালী হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ মে) নয়াপল্টনে বিএনপি কার্যালয়ের নিচতলায় জিয়াউর রহমানের ৪৩তম শাহাদাতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আলোকচিত্র প্রদর্শনী অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন। এ আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
গয়েশ্বর বলেন, ‘আজকে দেশের মানুষের আস্থার স্থলে পরিণত হয়েছেন তারেক রহমান। আর প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, এই তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করার কথা। তিনি যেদিন আসবে, তার ঢেউয়ে আপনারা কোথায় ভেসে যাবেন তা চিন্তা করুন। প্রধানমন্ত্রী প্রায়ই বলেন, যুদ্ধের সময় খালেদা জিয়া কোথায় ছিলেন? আমি বলছি... জিয়াউর রহমান সম্মুখ যোদ্ধার অপরাধে দুই শিশু সন্তানসহ বন্দি রাখা হয় খালেদা জিয়াকে। আপনি প্রধানমন্ত্রী সে সময় কোথায় ছিলেন? সে সময় ধানমণ্ডির ৩২ নম্বর বাড়ির ভাড়া কারা দিয়েছে? কারা আপনার বাসায় নিরাপত্তা দিতো?’
‘আপনি (প্রধানমন্ত্রী) যুদ্ধের সময় যখন মেডিকেল চেক-আপ করাতেন, তখন সে গাড়ির চালকও ছিলো পাকিস্তানি আর্মি। আপনি পাকিস্তানিদের টাকায় খাবার খেয়েছেন। যাদের কোনও অবদান নেই তারাই এগুলো বলতে পারে। স্বাধীনতা যুদ্ধ থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র সবই জিয়া পরিবারের অবদান।’
বিদেশি রেমিট্যান্স ও গার্মেন্টসের ওপর ভর করে সরকার রাষ্ট্র চালাচ্ছে উল্লেখ তিনি বলেন, ‘এগুলোও জিয়াউর রহমানের অবদান। জিয়া শুধু বীর উত্তম নন, উত্তমের উত্তম। জিয়াউর রহমানের সততা নিয়ে কারও কথা বলার সুযোগ নেই।’
এতে সভাপতিত্ব করেন ছাত্রদলের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দীন নাসির।
আরও বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সিনিয়র সহসভাপতি আবু আফসান মো. ইয়াহিয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক আমান উল্লাহ আমান, দপ্তর সম্পাদক (সহ সভাপতি পদমর্যাদা) জাহাঙ্গীর আলম, প্রচার সম্পাদক (যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদমর্যাদা) শরিফ প্রধান শুভ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সভাপতি গনেশ চন্দ্র রায় ও সাধারণ সম্পাদক নাহিদুজ্জামান শিপন প্রমুখ।